এয়ো তুমি, তোমার কি সাজে এ বেশ
এয়ো তুমি, তোমার কি সাজে এ বেশ?
![]() |
| এয়ো তুমি, তোমার কি সাজে এ বেশ? |
রাবণপুত্র বীরবাহু যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করার পর রাবণ যুদ্ধে যেতে চায়। রাবণপুত্র মেঘনাদ বাবাকে যুদ্ধে যেতে দিতে নারাজ, মেঘনাদ যাবে যুদ্ধের অধিনায়ক হয়ে। মেঘনাদের অভিষেক হচ্ছে। সবাই আনন্দে মশগুল।
এ অবসরে রাবণের ভ্রাতৃবধূ সরমা সঙ্গোপনে সীতাকে দেখতে আসে। আসবার সময় সে সিঁদুর কৌটা নিয়ে আসে। সীতাকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনপূর্বক প্রণাম করে- সীতার দিকে তাকিয়ে সরমার বুকটা হু-হু করে ওঠে।
সীতার স্বামী জীবিত, বিবাহিতা হিন্দু রমণীর ললাটে সিঁদুর থাকাটা বাঙালি ধর্মাশ্রিত সংস্কৃতির অংশ। রাবণ তাকে ধরে এনেছে— ফলে তার ললাট দীর্ঘদিন যাবৎ সিঁদুরশূন্য।
সরমা তাই দেবী সীতার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেছে, সে অনুমতি করলে সরমা সীতার ললাটে সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে সে ধন্যা হবে। সরমার এ উক্তির মধ্য দিয়ে মধুসূদন বাঙালি সংস্কৃতি ও সীতার প্রতি অপরিসীম দরদ প্রদর্শন করেছেন।
