পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ JSC, SSC, HSC

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ যারা খুজতেছো তাদের জন্য আমরা পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ টা নিয়ে আসছি। এই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ ক্লাস ৮ম শ্রেনী, দশম শ্রেনী ও এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের জন্য। তোমরা খুব ভালো করে পড়ে নিবা এই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ টি। চলুন আমরা এবারে জেনে নেই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ JSC, SSC, HSC
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ JSC, SSC, HSC

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ

মুল্ভাব: 

সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে কোনাে মানুষের জন্ম হয় না। মানুষ কর্মের মাধ্যমে গড়ে তােলে। পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে। উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমের সমষ্টিই সৌভাগ্য ।

সম্প্রসারিত ভাব: 

যিনি জন দান করেন তিনি প্রসূতি। মা যেমন সন্তানের প্রসূতি, তেমনি কঠোর পরিশ্রম হলাে সৌভাগ্যের প্রসূতি বা উৎস। মানুষকে তার কর্মফল ভােগ করতে হয়। ভালাে কাজের ফল ভালাে, মন্দ কাজের সুড়ল মন্দ। কোনাে কাজই আবার সহজ নয় । কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজও সহজ হয়। জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের কোনাে বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনাে তার ভাগ্যকে গড়ে তুলতে পারেনি। জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি লাভ করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। ছাত্রজীবনে কঠোর পরিশ্রম করে শিক্ষালাভ না করলে সাফল্য লাভ সম্ভব নয় । পরিশ্রম ছাড়া জাতীয় উন্নতি লাভ করা যায়

মন্তব্য: 

শ্রমই হলাে উন্নতির চাবিকাঠি। যে-জাতি পৃথিবীতে যত বেশি পরিশ্রমী, সে-জাতি তত উন্নত। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই জাতির সৌভাগ্য অর্জন করা যায় ।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: সৌভাগ্য সকলেরই কাম্য। কিন্তু এ সৌভাগ্য অনায়াসলব্ধ নয়। একে অর্জন করতে হয় নিরলস পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনায়। তবেই সৌভাগ্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করা যায়।

সম্প্রসারিত ভাব: সংস্কৃতে একটি কথা আছে– দৈবলব্ধ অর্থের কল্পকাহিনি দুর্বল কাপুরুষের স্বপ্নবিলাস মাত্র। পৃথিবীতে সকল নির্মাণ ও সৃষ্টির পেছনে রয়েছে প্রচুর পরিশ্রম। বিশ্বসভ্যতা আপনা-আপনি গড়ে ওঠেনি। তা গড়ে উঠেছে যুগে যুগে কালে কালে বহু মানুষের অপরিসীম পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য । শ্রমকে উন্নতির চাবিকাঠি বলা হয়। প্রতিষ্ঠা, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সুনাম, মর্যাদা ইত্যাদি অর্জনের জন্য পরিশ্রম করা প্রয়োজন । নয়তো ব্যর্থতা এসে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে । শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে আনে নিদারুণ অভিশাপ। নিরন্তর ও নিরলস শ্রম সাধনায় জীবনাকাশ থেকে দারিদ্র্যের ঘনঘটা হয় অপসারিত এবং জীবনের আঁধার গগন সফলতার নবীন সূর্যালোকে হয়ে ওঠে উদ্ভাসিত । আধুনিক বিশ্বের প্রত্যেকটি উন্নত জাতির উন্নয়নের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেসব জাতির প্রত্যেকেই নিরন্তর প্রচেষ্টা ও শ্রম সাধনার বিনিময়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে। একমাত্র শ্রমের মাধ্যমেই ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য । নিরলস শ্রম সাধনায় সাফল্য অর্জনের ফলেই জীবজগতে মানুষ আজ শ্রেষ্ঠত্ব লাভে ধন্য হয়েছে। বস্তুত জগতে মানুষের প্রতিটি সাফল্যের মূলে রয়েছে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। পরিশ্রমের সোপান বেয়েই মানুষ ওঠে সাফল্যের চূড়ায় ।

মন্তব্য: পরিশ্রমই গড়ে দেয় মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ। যে জাতি পৃথিবীতে যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম এবং সাধনাই জাতির সৌভাগ্যের নিয়ামক।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যদি তোমাদের এই পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো লাগে তাহলে এখনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে রেখে দিন । আর তোমার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করে নিও। এই রকমই নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আর কে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ