ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing এর সুবিধা কি ও অসুবিধা কি

আসসালামু আলাইকুম। আমাদের আজকের ব্লগের বিষয় হলো ক্লাউড কম্পিউটিং কী ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি ও অসুবিধা কি? ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার ও ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে জানুন।

ক্লাউড কম্পিউটিং কী ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি
 ক্লাউড কম্পিউটিং কী ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি

হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ক্লাউড কম্পিউটিং কী ও Cloud Computing এর সুবিধা কি ও অসুবিধা গুলো। ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য কি ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর ধারণা আসে কত সালে আসে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আরটিকেল টি পুরোটা পড়ুন।

সুচিপত্রঃ ক্লাউড কম্পিউটিং কী | ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) | ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কি বুঝায়

ধরা যাক, তােমাদের ঘরে ২০ জনের খাবার রান্না করার মতাে হাড়ি-পাতিল এবং খাবার খাওয়ার জন্য থালা-বাসন এবং বসার জন্য চেয়ার টেবিল রয়েছে। তােমাদের বাসায় ১৫০ জন মেহমান আসবে। এজন্য তােমরা কি বাকি ১৩০ জনের জন্য হাড়ি-পাতিল, ১৩০ টি থালা এবং ১৩০ টি চেয়ার। কিনবে? 

এতগুলাে জিনিস কেনার জন্য অনেক টাকা প্রয়ােজন। এছাড়া এগুলাে রাখার জন্য অনেক জায়গা প্রয়ােজন। এক্ষেত্রে অত টাকা খরচ না করে নিকটস্থ কোনাে ডেকোরেটর থেকে এসব জিনিস যত সময়ের জন্য দরকার তত সময়ের জন্য ভাড়ায় আনা হয়। 

এতে করে নিজের প্রয়ােজনও মিটে এবং অনেক টাকা খরচও বেঁচে যায়। ঠিক তদ্রপ প্রয়ােজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার Hardware ও Software ব্যবহার করা যায়। 

এ পদ্ধতিকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলা হয়। ইন্টারনেট নির্ভর কম্পিউটিং হচ্ছে cloud কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি কম্পিউটিং প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট এবং কেন্দ্রীয় রিমােট সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা এবং এপ্লিকেশনসমূহ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম। 

এতে ওয়েবে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যবহারকারীকে ক্লায়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ধরা যাক, একটি কোম্পানির ছয়টি সার্ভার দরকার। এগুলাে ক্রয় করে সেটআপ করা এবং মেইনটেনেন্স করতে অনেক খরচ হবে। 

সবসময় এগুলাের ব্যবহার না হলেও খরচ কমানাে যাবে না। কিন্তু কোম্পানিটি যদি ক্লাউড কম্পিউটিং সুবিধা নেয় (আমাজন ডট কমের ক্লাউডে m1.medium মেশিন ভাড়া নেয়) তাহলে ঘণ্টা হিসেবে বিল দিতে হলে খরচ অনেক কম হবে। 

যতক্ষণ ব্যবহার। হবে ততক্ষণের বিল দিতে হবে। পাওয়ারফুল মেশিন চালাবার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ বা মেশিন রুম ঠাণ্ডা রাখার হকার নেই। লাে-কনফিগারেশনের কিছু মেশিন রাখলেই হবে, আর থাকতে হবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট। 

অফিসের এ লােপাওয়ার কম্পিউটারগুলাে দিয়ে ক্লাউডের ভার্চুয়াল মেশিনগুলােকে এক্সেস করতে পারবে। যেহেতু মেশিনগুলাে আমাজনের সার্ভারে, আর সেগুলাের মেইটেন্যান্সের ঝামেলা নেই, খরচও নেই। 

হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেমােরি ডিভাইসের ডেটা আগুনে। পড়ে যাওয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রভৃতি ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখতে ক্লাউড কম্পিউটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। 

ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে (Defination of Cloud Computing) 

কাউড কোনাে নির্দিষ্ট প্রযুক্তি নয়, বরং এটা একটা ব্যবসায়িক মডেল। অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং-এ বেশকিছু নতুন পুরনাে প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌছে দেয়া হয়। 

যেসব ক্রেতার অল্প সময়ের জন্য কম্পিউটার দরকার বা তথ্য রাখার জায়গা দরকার, কিন্তু অল্প সময়ের জন্য কম্পিউটার কেনার পেছনে অজস্র টাকা খরচের ইচ্ছে নেই, তারা ক্লাউডের মাধ্যমে ক্লাউড সেবাদাতার কাছ থেকে কম্পিউটার বা স্টোরেজ স্পেস ভাড়া নেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং (NIST) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা নিম্নরূপ ক্লাউড কম্পিউটিং হলাে ক্রেতার তথ্য ও বিভিন্ন এপ্লিকেশনকে কোনাে সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসাের্স করার এমন একটি মডেল যাতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে।

১, রিসাের্স স্কেলেবিলিটি: ক্রেতা যতাে চাবে, সেবাদাতা ততােই অধিক পরিমাণে সেবা দিতে পারবে। 

২. অন-ডিমান্ড সেবা: ক্রেতা যখন চাবে, তখনই সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার ইচ্ছায় যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে। 

৩, পে-অ্যাজ-ইউ-গাে: ক্রেতাকে আগে থেকে কোনাে সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে, তার জন্যই কেবল পয়সা দেবে।।

তাহলে এক বাক্যে বলা যায় - কম্পিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে, ক্রেতার সুবিধামতাে চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার অনুযায়ী ভাড়া দেওয়ার সিস্টেমই হলাে ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ক্রেতারা সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড প্রোভাইডারের ক্লাউডের সাথে যুক্ত হন। নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম আঁকার সময়ে ক্রেতা ও সার্ভারের মাঝের ইন্টারনেটের অংশটিকে কে অনেক আগে থেকেই মেঘের ছবি দিয়ে বােঝানাে হতো। সে থেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটি এসেছে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ইতিহাস (History of Cloud Computing) | ক্লাউড কম্পিউটিং এর ধারণা আসে কত সালে

১৯৬০ সালে জন ম্যাক ক্যাথি ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে মতামত দেন এভাবে, “কম্পিউটেশন একদিন সংগঠিত হবে পাবলিক ইউটিলিটি হিসেবে।” তবে প্রকৃতপক্ষে এ ধারণা ভিত্তি লাভ করেছে ১৯৯০ সালের দিকে । 

নব্বই এর দশকের শেষে বড় বড় কোম্পানি ইন্টারনেটে ব্যবসার আশায় বিশাল বিনিয়ােগ করে ডেটা সেন্টার আর নেটওয়ার্কে। ২০০০ সাল নাগাদ হঠাৎ করে পরা ব্যবসাটাই ধ্বসে যায়, ফলে অনেকে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। তাদের ডেটা সেন্টারের মাত্র ৫% এর মতাে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং বাকিটা সময়ে সিস্টেম অলস হয়ে বসে থাকতাে। 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দিয়ে অলস বসে থাকা কম্পিউটারগুলােকে কাজে লাগানাের বুদ্ধি থেকেই শুরু হয় ক্লাউড কম্পিউটিং যুগের। ২০০৫ সাল থেকে আমাজন ডট কম ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড বা EC2 শুরু করে। 

এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ক্লাউড কম্পিউটিংকে। আইবিএম, মাইক্রোসফ্ট, গুগল থেকে শুরু করে প্রচুর কোম্পানি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত।

ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার | ক্লাউডের মডেল (Model of Cloud Computing) 

ক্লাউড কী সেবা দিচ্ছে, তার ভিত্তিতে ক্লাউডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা

১. Infrastructure-as-a-Service (laas) বা অবকাঠামােগত সেবা। 

২. Platform-as-a-Service (Paas) বা প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা। 

৩. Software-as-a-Service (Saas) বা সফটওয়্যার সেবা।

laas : Infrastructure-as-a-Service (অবকাঠামােগত সেবা) 

অবকাঠামাে ভাড়া দেয়ার সার্ভিস। যেমন, আমাজন ইলাস্টিক কম্পিউট ক্লাউড (EC2) এর উদাহরণ। EC2-তে ডেটা সেন্টারের প্রতি সার্ভারে ১ থেকে ৮টি ভার্চুয়াল মেশিন চলে, ক্লায়েন্টরা এগুলাে ভাড়া নেন। 

ভার্চুয়াল মেশিনে নিজের ইচ্ছেমতাে অপারেটিং সিস্টেম বসানাে চলে। এতে সুবিধা হলাে, সবকিছু ইউজার নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আর অসুবিধা হলাে, সবকিছুর ব্যবস্থা ইউজারকে নিজেকেই করতে হয়।

Paas : Platform-as-a-Service (প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা) 

এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে ভাড়া দেয়া হয় প্ল্যাটফর্ম, যার উপরে এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন ইউজারেরা। যেমন- গুগলের অ্যাপ ইঞ্জিন এর উদাহরণ। এ সার্ভিস ব্যবহার করলে গুগল তাদের এপিআই ব্যবহার করতে দেবে, সেটার সুবিধা অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারবে। এ অ্যাপ্লিকেশন চলবে গুগলের ক্লাউডে। 

SaaS : Software-as-a-Service (সফটওয়্যার সেবা)

সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস হলাে ক্লাউডভিত্তিক এমন একটা সেবা, যেখানে ইউজারেরা ক্লাউডের উপরে চলছে এমন রেডিমেইড। সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে। যেমন, Google Docs । গুগল ডক দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজই করা যায় | (ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন)

ক্লাউডের ডিপ্লয়মেন্ট 

মডেল ক্লাউডের ব্যবহারকারী কারা, তার ওপরে ভিত্তি করে কয়েক রকমের মডেল চালু আছে। নিচে এগুলাের বর্ণনা দেয়া হলাে। 

পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud) 

পাবলিক কাউড হলাে এমন ক্লাউড যা সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত। যে টাকা দেবে, সেই সার্ভিস পাবে, এমন ক্লাউডকে বল। হয় পাবলিক ক্লাউড। যেমন- আমাজনের EC2। এসব ক্লাউডে সুবিধা হলাে যে কেউ এর সেবা নিতে পারে। আর অসুবিধাটা হলাে একই জায়গায় একাধিক ক্লায়েন্টের আনাগােনার ফলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। 

কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud)

কমিউনিটি ক্লাউডও শেয়ার করা হয় অনেকের মাঝে, পাবলিক ক্লাউডের মতাে যে টাকা দেয়, সেই সার্ভিস পায়। তবে পার্থক্য হলাে একটি ক্ষুদ্রতর কমিউনিটির লােকজনই এর সুবিধা নিতে পারে। ধরা যাক, ঢাকার কল্যাণপুর কলােনির লােকজনের চাহিদা। 

মেটানাের জন্য একটা ক্লাউড বসানাে হলাে, কেবল কল্যাণপুর কলােনিবাসীই এর সার্ভিস নিতে পারবে। তাহলে সেটা পাবলিক ক্লাউড না হয়ে হবে প্রাইভেট ক্লাউড। কারণ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঐ এলাকার লােকজনেই এটা ব্যবহার করতে পারছে। 

সুবিধা হলাে, কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকে বলে এখানে অনেক সমস্যা যেমন সিকিউরিটির সমস্যাগুলাে নেই। আর অসুবিধা হলাে এখানে ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত বলে খরচ বেড়ে যাবে। 

প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud) 

প্রাইভেট ক্লাউডকে ক্লাউড বলা চলে কিনা এ নিয়ে মতভেদ আছে। এ রকম ক্লাউড হলাে কোনাে বড় সংস্থার নিজের নানা সার্ভিস। চালাবার জন্য নিজের ডেটা সেন্টারকেই ক্লাউড মডেলে ব্যবহার করা। সমস্যা হলাে, এতে করে কিন্তু খরচ অনেক হচ্ছে, নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হচ্ছে, ম্যানেজ করার জন্য লােক রাখা হচ্ছে। 

তবে বড় সংস্থার ক্ষেত্রে সুবিধাও আছে, কোনাে বড় কোম্পানিতে ১০টি ডিপার্টমেন্ট থাকলে ১০টি ডেটা সেন্টার না বসিয়ে ১টিকেই ক্লাউড মডেলে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ধরা যাক, বাংলাদেশ সরকার তার নানা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার ব্যবহারের খরচ কমাতে চায়। সেক্ষেত্রে একটা সরকারি প্রাইভেট ক্লাউড ভালাে সমাধান হতে পারে। 

হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud)

হাইব্রিড ক্লাউড হলাে পাবলিক আর প্রাইভেটের সংমিশ্রণ। এখানে প্রাইভেট ক্লাউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানাে হয়, আর প্রাইভেট ক্লাউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেয়া হয়। 

পাবলিক ক্লাউডের চেয়ে হাইব্রিড ক্লাউডের খরচ বেশি, কারণ স্থানীয় স্থাপনাতাে বানাতেই হচ্ছে এখানে। তবে স্থানীয়ভাবে কাজ করিয়ে নেয়ার সুবিধাগুলাে থাকছে, তার সাথে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানােরও একটা ব্যবস্থা এখানে থাকছে পাবলিক ক্লাউডে পাঠানাের মাধ্যমে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি (Advantages of Cloud Computing) 

ক্লাউড ব্যবহার করে নানা রকমের অনলাইন সার্ভিসে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন

১. অপারেটিং খরচ কমানােঃ ক্লাউড ব্যবহার করে অপারেটিং খরচ (Operating cost) যথেষ্ট পরিমাণ কমানাে সম্ভব। 

২. প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধাঃ ক্লাউডে স্টোরেজ নিয়ে কোনাে চিন্তা নেই। যখন যত দরকার সুলভ মূল্যে তখন তত | স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে। এখানে প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে। 

৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণঃ ক্লাউডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ। ব্যবস্থা থাকে বিধায় সার্ভিস গ্রহণকারী গ্রাহকের এসব বিষয় নিয়ে কেনাে চিন্তা করতে হয় না। 

৪. সহজে তথ্য প্রবেশাধিকার: ক্লাউডে রেজিস্ট্রিকৃত গ্রাহকরা তার ডেটাবেজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনাে অবস্থান থেকে যে কোনাে সময় ডেটা একসেস করতে পারে। 

৫. সফটওয়্যার খরচ কমঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক সফটওয়্যার সার্ভিসসহ সার্ভিস নিলে প্রয়ােজন অনুযায়ী সফটওয়্যারও সুলভে ব্যবহার করতে পারবে। 

৬. সহজপ্রাপ্যতা (Flexibility): ক্লাউড কম্পিউটিং এর গ্রাহক তার প্রয়ােজন অনুযায়ী সার্ভিস নিতে পারে। শুরুতে একটি সার্ভার ভাড়া নিয়ে প্রয়ােজনে যে কোনাে সময় একশটি সার্ভারও ভাড়া নিতে পারবে। ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে বিল দিতে হবে। কম ব্যবহার করলে কম বিল দিতে হবে। 

৭. নিরাপত্তা: ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলাের কারিগরি দক্ষতা, ব্যাকআপ ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। তাই কোনাে ছােট প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত নিজস্ব সেটআপের চেয়ে এগুলাে বেশি নিরাপদ। 

৮, ছােট ও প্রাথমিক উদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ: একটি ছােট বা মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়েক লাখ টাকা। দিয়ে একটি সার্ভার কেনা, তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভালাে বেতনে দক্ষ লােক রাখা, সফটওয়্যার কেনা কঠিন। ক্লাউড কম্পিউটিং এ খরচ ও ঝামেলা অনেকাংশে কমিয়ে এনে সে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। 

৯. বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী/গবেষকদের সুবিধা ; অনেকসময় বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য সাময়িকভাবে বিশাল কম্পিউটিং সুবিধা প্রয়ােজন হয় যা প্রতিষ্ঠা করা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে ক্লাউড সুবিধা নিয়ে কাজ করতে পারে। 

১০. সহজ পরিবর্তনঃ প্রচলিত প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ এতে অনেক লােকবল ও অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত থাকে। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে এ ধরনের কোনাে সমস্যা নেই।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা কি (Disadvantages of Cloud Computing) 

১. নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না বিধায় তথ্যের নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম। 

২. সার্ভার ডাউন: মেইনটেন্যান্স বা হ্যাকিং অথবা অন্য কোনাে কারণে সার্ভার ডাউন হলে সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় । 

৩. ফি প্রদান: নির্ধারিত সময় অন্তর নির্ধারিত ফি দিতে হয়, না দিলে এ সার্ভিস বন্ধ করে দিলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। 

৪. ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ: প্রােগ্রাম বা এ্যাপ্লিকেশনের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ কম থাকে বা থাকে না। 

৫. প্রশিক্ষণ: সাধারণত কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়ােজন হয়। 

৬. ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীলতা: যেহেতু এ পদ্ধতি সম্পূর্ণ ইন্টারনেটভিত্তিক। তাই ইন্টারনেট কানেকশনে কোনাে সমস্যা হলে অথবা গতি স্লো হলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। 

৭. স্টোরেজ লিমিট: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টোরেজের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে। 

৮. স্লো স্পিড:বড় ফাইল আপলােড বা ডাউনলােড ধীর গতির হতে পারে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্লাউড কম্পিউটিং কী | Cloud Computing এর সুবিধা কি

বন্ধুরা আমরা আজকে জানলাম ক্লাউড কম্পিউটিং কী ও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা কি ও এর ধারণা কত সালে আসে এসব বিষয়। আশা করি আমাদের আজকের এই আরটিকেল টি তোমাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন আরটিকেল পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Tech Master
    Tech Master 20 August

    ক্লাউড কম্পিউটিং কী জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ