বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি ।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি

উত্তর : ভূমিকা : বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৬৯ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দিয়ে অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের পক্ষে তোফায়েল আহমদ, সিরাজুলল আলম খান, শাহাজান সিরাজ, আসম আবদুর রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন সর্ব সম্মতিক্রমে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তেমনি তারা স্বাধীন বাংলার পতাকার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী ১৯৭০ সালের ৭ই জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, ১১৬ নং কক্ষ, আসম আবদুর রবের কক্ষ, এই কক্ষে বসে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা বাঙালির এক কৃতী সন্তান সিরাজুল আলম খানের পরামর্শে আসম আবদুর রব, সাজাহান সিরাজ, কাজী সারেফ আহমদ, মনিরুল ইসলাম ওরফে মার্শাল মনি বাঙালি জাতির জন্য স্বাধীনতার পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করেন। আলাপ- আলোচনার মাধ্যমে পতাকা তৈরির পরিকল্পনা সব ঠিকঠাক কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ আঁকতে জানেন না। সবাই চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন। 

তখন সম্ভবত সাজাহান সিরাজ বলেন, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শিব নারায়ণ দাস ঢাকায় আছে। সে ভালো পোস্টার লেখে। সবাই আলোচনা করে পতাকার কাঠামো তৈরি করে। মানচিত্র অংকন করেন শিব নারায়ণ দাস। 

নীলক্ষেতের নিউ পাক ফ্যাংশান টেইলাস (বিহারী মালিক)-এর মোঃ হোসেন, মোঃ নাসির উলাহ আবদুল, আব্দুল খালেক মোহম্মদী নির্দেশ মতো পতাকা তৈরি করে দেন।

উপসংহার : আলোচ্য আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তৈরি ও উত্তলন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ২ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তলন করেন আসম আবদুল রব আর বগুড়াতে প্রথম পতাকা উত্তলন করে জনাব সমতাজউদ্দীন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নেপথ্য কাহিনী কি । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ