নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন  টি।

নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন
নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন

নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন

৬ মে, ২০২২

বরাবর

পরিচালক

গণশিক্ষা কার্যক্রম

ঢাকা।

বিষয়: নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ এলাকার প্রতিবেদন।

সূত্র: গ.প.শ/২৫ (৩)/2022

২ মে, ২০২২

জনাব,

আপনার আদেশপ্রাপ্ত হয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার শিমুলতলি গ্রামের নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করছি। 

শিমুলতলী গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ প্রয়োজন

শিমুলতলি এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি ছোট গ্রাম। তবে গ্রামটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং এখানে সাক্ষরতার হারও খুব কম। এ গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ লোকই নিরক্ষর। শহর থেকে দূরে অবস্থিত গ্রামটি উন্নয়নের অনেক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। গ্রাম থেকে নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব না হলে এখানকার মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। সেজন্য এ গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। এজন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গ্রামের লোকদের অবহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে গ্রামের শিক্ষিত লোকেরা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া গণশিক্ষার জন্য গণশিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এজন্য মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জায়গা সাময়িকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্রামের লোকজন বিকালবেলায় সেখানে সমবেত হয়ে সাক্ষরতার পাঠ গ্রহণ করবেন। নিরক্ষর পুরুষ ও মহিলারা সন্ধ্যার পর পাঠ নেবেন। গণশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবে স্কুল-কলেজে পড়ছে এমন শিক্ষার্থীরা। তারা তাদের অবসর সময়ে বা ছুটির দিনে গণশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকতার কাজ করবে। গ্রামের শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারবেন। তবে শিক্ষকতার কাজটি হবে স্বেচ্ছামূলক। গণশিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে সাক্ষরতার প্রসার ঘটাতে হবে। বর্তমানে দেশজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা গণশিক্ষার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সাক্ষরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নব্য সাক্ষরদের চর্চা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি এলাকাবাসীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে। এছাড়া গ্রামীণ জনজীবনের উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাসমূহ গ্রামে সম্প্রসারণ করতে হবে। আর্থিক কর্মকাণ্ডের সাথেও তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তবেই শিক্ষার প্রতি তারা আগ্রহী হয়ে উঠবে ।

নিবেদক

ইনামুল হক, মাঠকর্মী,

গণশিক্ষা কেন্দ্র, গাইবান্ধা জেলা শাখা

* [এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে|

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে কোনো বিশেষ এলাকার তথ্যানুসন্ধান সংবলিত একটি প্রতিবেদন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ