স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো  টি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

জয়ন্ত মজুমদার ॥ ফরিদপুর ॥ ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এ জনপদের মানুষের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। শুধু এ অঞ্চলেই নয়; সমগ্র বিশ্বে বিশ শতকের উল্লেখযোগ্য চাঞ্চল্যকর ঘটনাবলীর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধ অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে দেখিয়েছিল তার শৌর্য ও সাহসিকতা। বাঙালি প্রমাণ করেছিল বীরত্বে সে পৃথিবীর অন্য জাতির তুলনায় পিছিয়ে নেই। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে এই জাতি প্রোথিত করেছিল তাদের স্বাধীনতার স্তম্ভ। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে পৌছে বাংলাদেশ । বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ঘোষণা করে । এর আওতায় বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল, স্বনির্ভর ও আধুনিক ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার ঘোষণা করে ‘রূপকল্প-২০২১'। উল্লেখিত সময়সীমায় মধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে দেশব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে আয়োজিত ১০ দিন ব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসব। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ৫টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বৈচিত্র্যময়, সংগ্রামী জীবনের নানা অনুষঙ্গকে উপজীব্য করে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাছাড়া ইংল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রধান উপহার হচ্ছে— স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন। তাছাড়া, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিরসন, শিশু মৃত্যুর হার প্রায় শূণ্যের কোঠায় আনয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির অবিশ্বাস্য অনুপাত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উত্থান, করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পাওয়া, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ বিশ্বব্যাপী দারুণভাবে সমাদৃত ও চর্চিত হয়েছে। এর ফলে মহিমান্বিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, আমরা আদায় করেছি বিশ্ববাসীর সমীহ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। বছরব্যাপী দেশের নানা জায়গায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে আয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান । এসব অনুষ্ঠানে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও চোখে পড়ার মত ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ