স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন  টি।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন
স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন

পদ্মা সেতু ঘুরে এসে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের গৌরবময় অর্জন

"উম্মে হোমায়রা কলি ॥ মতিঝিল ॥ ২৬ জুলাই ২০২২ ॥ অতি সম্প্রতি আমি আমার কলেজের কয়েকজন বন্ধুর আয়োজনে পদ্মা সেতু ভ্রমণ করে এসেছি । উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন, ২০২২ তারিখে উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্মা বহুমুখী সেতু। সেতুটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সেতুটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে উদীয়মান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির অন্যতম প্রতীক হিসেবে। আমরা মোট ১০ জন একটি মিনি বাসে করে পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা শুরু করি। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ের সুবাদে আমরা ১ ঘণ্টার মধ্যে মাওয়া টোল প্লাজা এলাকার পৌছে যাই। আমরা বাস থেকে নেমে চারপাশটা ভালো করে অবলোকন করতে থাকি। অপর প্রান্ত থেকে ছুটে আসা দ্রুতগতির গাড়িগুলো শোঁ শোঁ শব্দ করে কয়েক মুহুর্তের মধ্যে দৃষ্টিসীমা থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গাড়িগুলোর দ্রুত-ঘূর্ণায়মান চাকাগুলো যেন বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির কথাই জানান দিচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই পদ্মার দুই প্রান্তে মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে । মানুষ ও যানবাহনের চাপে দিনরাত সরগরম থাকা মাওয়া ঘাট এখন তার সেই চিরচেনা ব্যস্ততা হারিয়েছে। মাওয়া-জাজিরা দুই প্রান্তেই গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এদিকে যাত্রীর অভাবে ভাটা পড়েছে ঢাকা বরিশালসহ বিভিন্ন নৌ-রুটে চলাচলকারী লঞ্চ ব্যবসায় । নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। এভাবে পদ্মার দুই তীরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার এসেছে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন। নির্ধারিত টোল পরিশোধের পর আমাদের বাস মূল সেতুতে চলতে শুরু করে। বাসের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু কম ছিল । ফলে আমরা প্রমত্তা পদ্মার বিশালতা, সেতুর দৈর্ঘ্য এবং অবকাঠামোগত তাৎপর্য অনুধাবন করতে সক্ষম হই। আমি আমার মোবাইলের ভিডিও চালু রেখে বাহিরের নান্দনিক দৃশ্যগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি। জাজিরা প্রান্তে এসে সবাই বাস থেকে নেমে চারপাশ ঘুরে দেখা এবং সেলফি নেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সবাই এক জায়গায় একত্র হয়ে বসে হালকা নাস্তা করি যা ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল । আমি দেখি, সবার চোখেমুখে তৃপ্তি ও প্রাপ্তির এক যুগপৎ দীপ্তি ফুটে উঠেছে। এ যেন একটি বিজয় যা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন । আপ্লুত হয়ে পড়ি আমি নিজেও, ভেতরে কে যেন অমৃতধারা প্রবাহিত করে দিল । কিছুক্ষণ গল্প গুজবের পর আমাদেরকে ফেরার পথ ধরতে হলো। পদ্মার স্বচ্ছ ও নির্মল পানিতে বিকেলের সূর্যকিরণ দেখতে দেখতে আমাদের বাস পদ্মা সেতু পার হয়। রাস্তায় যানবাহনের চাপ থাকায় আমাদের ঢাকায় ফিরতে একটু বেশি সময় লাগে । সদ্য দেখে আসা পদ্মা সেতুর সতেজ অভিজ্ঞতা এবং ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে সবাই নিজ নিজ আবাসে ফিরে যাই।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রতিবেদন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ