আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা কর ।
![]() |
| আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা কর |
আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে কতিপয় মুসলিম মনীষী। তাদের কাব্য ও সাহিত্যে চর্চার মাধ্যমে আব্বাসীয় যুগে সোনালী অধ্যায় রচনা করে। যার সুবাতাস আজও পৃথিবীর মানুষকে সুবাসিত করেছে।
তারা জানত যে, একটি জাতিকে সভ্য জাতিতে পরিণত করতে হলে মূলে কাজ করে শিক্ষা। আর শিক্ষা ও সাহিত্যের বিস্তারের জন্য আব্বাসীয়রা অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। আর খলিফাগণের রাজদরবার ছিল কবি-সাহিত্যিকদের প্রাণকেন্দ্র ।
→ আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান : আব্বাসীয় যুগে আরবি অভিজাত প্রথার বিরুদ্ধে পারস্যবাসীর যে আন্দোলন শুরু করে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাহিত্য। নিম্নে আব্বাসীয় আমলে সাহিত্য ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান আলোচনা করা হলো :
১. হাসান বিন সাধিত (র) : সাহিত্যে হাসান বিন সাবিত (রা.) এর অবদান অতুলনীয়। মহানবি (সা) -এর পৃষ্ঠপোষকতায় খ্যাতিমান এ কবি অনেক কবিতা রচনা করেছেন। স্বয়ং মহানবি (সা.) এর প্রচারণায় তিনি মার্জিত ও রুচিশীল কবিতা ও সাহিত্যে চর্চায় অভাবনীয় অবদান রেখেছেন।
২. জালাল উদ্দিন রুমী : সাহিত্যে জালাল উদ্দিন রুমী বিস্ময়কর কৃতিত্ব রেখেছেন। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, কবি, দার্শনিক ও সুফি হিসেবে সর্বজনবিদিত। তার রচিত “মসনবী” উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এটি সুফিদের জন্য আলোর দিশারী।
উল্লেখিত রুবি, সাহিত্যিক ছাড়া আরো অনেকে সাহিত্যে ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে আলামা ইকবাল, আনসারী ইবনে খালিখান, সম্রাট শাহজাহান, সম্রাট বাবর, সম্রাট আলাউদ্দিন হোসেন শাহ উল্লেখযোগ্য ।
৩. আমির খসরু : আমির খসরুর অবদান ছিল সাহিত্যে ক্ষেত্রে। তিনি কবিতা, সাহিত্যে, সুর ও সংগীত ইত্যাদি ক্ষেত্রে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, কবি, ঐতিহাসিক, সরকার ও সংগীতজ্ঞ। তবে তিনি মূলত কবি সম্রাট হিসেবেই পরিচিত ছিল অধিক।
৪. মালিক শাহ : মালিক শাহ ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম কবি ও সাহিত্যিক। তিনি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন। তিনি তার রাজধানীতে সাহিত্যের প্রসার ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য তিনি কবি, সাহিত্যিক ও জ্ঞানী-গুণীদের সম্মান করতেন ।
৫. আবুল কাসেম ফেরদৌসী : সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আবুল কাসেম ফেরদৌসী। তিনি গজনীর সুলতান মাহমুদের সভাকবি ছিলেন। তিনি সুলতানদের নির্দেশে ষাট হাজার শোক সংবলিত শাহনামা রচনা করে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এছাড়াও তিনি পারসি সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন ।
৬. মহামতি আকবর : মুঘল সম্রাট আকবরও সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। তিনি স্বয়ং সাহিত্যে চর্চার পাশাপাশি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। আবুল ফজলের “আইন-ই-আকবরি” “আকবরনামা” এবং নিজামুদ্দিনের “তাবাকাত-ই-আকবরী তার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত হয়।
৭. পারস্যের শেখ সাদী : পারস্য কবি শেখ সাদী সাহিত্যে অতুলনীয় অবদান রাখেন। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তার অবদান রয়েছে। উপদেশ ও নীতিজ্ঞান বিষয় “বুসতা” ও “গুলিস্তা” গ্রন্থ দুখানা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। মূলত তিনি নীতি বিষয়ক গ্রন্থই লেখতেন বেশি। তাঁর নীতিবিষয়ক কবিতা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই উপমা হিসেবে খ্যাত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জ্ঞানবিজ্ঞান যদিও আরো আগে থেকে সূচনা হয়েছিল কিন্তু আব্বাসীয় আমলে মুসলমানদের হাতে এসে উৎকর্ষ লাভ করে।
সাহিত্যে ক্ষেত্রে মুসলমানগণ বিভিন্নমুখী প্রতিভা দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তারা বহুমুখী প্রতিভা দ্বারা সভ্যজগৎকে আলোকিত করেন। তাদের অবদান সত্যিই অতুলনীয় ।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ আব্বাসীয় আমলে সাহিত্যে মুসলমানদের ভূমিকা নিরূপণ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আব্বাসীয় আমলে সাহিত্যে মুসলমানদের ভূমিকা নিরূপণ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।
