আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।

আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর
আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

 উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনের ইতিহাসে যে কয়েকজন খলিফা শাসনভার গ্রহণ করেন তার মধ্যে আবু জাফর আল-মনসুর (৭৫৪-৭৭৫) সর্বশ্রেষ্ঠ খলিফা। 

আস-সাফফাহ এর চেয়ে অনেক দৃঢ়ভাবে তিনি নতুন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন আব্বাসীয় বংশের দ্বিতীয় খলিফা। তার অদম্য সাহস, অক্লান্ত পরিশ্রম, দূরদর্শিতা ও কূটনৈতিক জ্ঞানের ফলে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সকল শত্রুকে দমন করতে সক্ষম হন। 

তিনি শুধু বিদ্রোহদমন করেননি। আব্বাসীয় রাজ্য বিস্তারে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। নতুন নতুন নগর প্রতিষ্ঠা, জনহিতকর কার্যবলি, শিল্প ও সংস্কৃতি, স্থাপত্য শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে তার আল মনসুরকে মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগের স্থাপতি বলা হয়। 

তার সুদীর্ঘ ২১ বছরের রাজত্বকালে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রাজ্য পরিচালনা করে খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেন ।

আবু জাফর আল মনসুরের পরিচয় : আবু জাফর আল মনসুর ছিলেন আবুল আব্বাস আস-সাফফার এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা এবং মুহাম্মাদ ইবনে আলীর পুত্র। তিনি আব্বাসীয় বংশের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন । মুহাম্মদ (সা.) এর নিকট আত্মীয় ।

সিংহাসন আরোহণ ও উপাধি গ্রহণ : ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে আবুল আব্বাসের মৃত্যু হয়। সে সময় তার ভ্রাতা আবু জাফর হজ উপলক্ষে মক্কায় ছিলেন। 

তার ঈসা আবু জাফরকে কুফার পরবর্তী খলিফা হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে কুফায় ফিরে এসে “আল-মনসুর বা বিজয়ী ” উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসন আরোহণ করেন।

— প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আল মনসুরের কৃতিত্ব : আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আল মনসুরের কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

১. আব্দুল্লাহ বিন আলীর বিদ্রোহ দমন : আব্দুল্লাহ বিন আলী ছিলেন সিরিয়ার শাসনকর্তা ও আল মনসুরের পিতৃব্য। পূর্ববর্তী খলিফা আস সাফফাহ তাকে মারওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযানের বিনিময়ে উত্তরাধিকার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

কিন্তু ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে আস সাফফাহ প্রাণত্যাগ করলে আল মনসুর খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন। ফলে মুহাম্মাদ বিন আলী সর্বাগ্রে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। আব্দুল্লাহর বিদ্রোহ দমনের জন্য খলিফা সেনাপতি আবু মুসলিমকে নাসিবিনে প্রেরণ করেন। 

১৭ হাজার সৈন্য নিয়ে প্রতিপক্ষ মোকাবিলার জন্য আব্দুল্লাহ অগ্রসর হয়। নাসিবিন প্রান্তরে উভয় দলের মধ্য দীর্ঘ ৫ মাস যুদ্ধ চলার পর আব্দুল্লাহ ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।

২. আবু মুসলিমকে হত্যা : আবু মুসলিমের সহায়তার ফলে আব্বাসীয় খিলাফতের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল এবং তিনিই বিপদকালে এই খিলাফতকে রক্ষা করেছিলেন। 

কিন্তু তার প্রয়োজন শেষে হয়ে গেলে খলিফা তার ক্রমবর্ধমান প্রতিপত্তির ভীত হয়ে তাকে হত্যার সংকল্প করেন। তিনি খোরাসান প্রদেশের স্বাধীন শাসক ছিলেন। 

নিজ প্রদেশে ফিরে যাওয়ার সময় আবু মুসলিমকে যাত্রাভঙ্গ করে খলিফার রাজসভায় আসতে বলা হয়। রাজসভায় খলিফার সাথে কথা বলার সময় বিশ্বাসঘাতকতা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় আবু মুসলিমকে।

৩. রাওয়ানদিয়ার বিদ্রোহ দমন : বিদ্রোহী রাওয়ানদিয়ার বিদ্রোহ দমনে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। এই সময় পারসি উগ্রপন্থিদের এক নতুন উৎসাহী গোষ্ঠী “রাওয়ানদিয়ার” খলিফা আল মনসুরকে আল্লাহর সমগোত্রীয় বলে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগেন। 

খলিফা আল মনসুর তাদের এ প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। এ ধরনের ইসলাম বিরোধী মতবাদ প্রচারের প্রতিবাদে তাদের ৭৫৮ খ্রি. নৃশংসভাবে দমন করা হয়।

৪. সানবাদের বিদ্রোহ দমন : আবু মুসলিমকে হত্যার পর | সাম্রাজের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ দেখা দেয়। আবু মুসলিমের হত্যার প্রতিবাদে মাজুসী সম্প্রদায়ের নেতা সানবাদের নেতৃত্বে পারস্য ও খোরাসানে এক ভয়াবহ বিদ্রোহ দেখা দেয়। 

তিনি নিজেকে আবু মুসলিমের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণকারী হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু রাজকীয় বাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে এ বিদ্রোহী নেতা পরাজিত ও নিহত হয়।

৫. মেসোপটেমিয়ার বিদ্রোহ দমন : আবু মুসলিমকে হত্যার প্রতিবাদে অনুরূপভাবে এ বিদ্রোহ মেসোপটেমিয়াতেও দেখা দেয়। এ বিদ্রোহী বাহিনীর নিকট খলিফা বাহিনী বারবার পরাজিত হতে লাগলো। 

কিন্তু পরবর্তী বছর খলিফা বাহিনী এ  বিদ্রোহ দমন করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। এ বিদ্রোহ দমনে তার বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় ৷

৬. খোরাসানের বিদ্রোহ দমন : খলিফা আল মনসুরের বিরুদ্ধে খোরাসানের শাসনকর্তা ৭৫৯ খ্রিস্টাব্দ বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এ বিদ্রোহ দমনের উদ্দেশ্যে খলিফা তদীয় পুত্র আল মাহদি ও সেনাপতি খোজাইমাকে খোরাসানে প্রেরণ করেন। 

তারা বিদ্রোহী শাসনকর্তাকে পরাজিত ও হত্যা করে রাজধানীতে ফিরে যায়। কিন্তু তারা রাজধানীতে ফেরার সুযোগে উস্তাদ সীসের নেত্বত্বে ৭৬৭ - ৬৮ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় খোরাসানবাসীরা বিদ্রোহ করে। খলিফা নেতা উস্তাদ সীসকে বন্দি করে বিদ্রোহ দমন করেন।

৭. গ্রিকদের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর : খলিফা আল মনসুর এশিয়ার মাইনরে গ্রিকদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি করেছিলেন। ৭৫৬ খ্রিস্টাব্দ সম্রাট কনস্টানটাইন সিরিয়া বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে মালাসিয়া অধিকার করে নেয়। 

কিন্তু পরবর্তী বৎসর মুসলিম বাহিনী তা পুনরায় দখল করে নেয়। খলিফা পরিস্থিতি দেখা সম্রাজ্যের সাথে বন্দি বিনিময় ব্যবস্থা করে ৭ বছরের জন্য এক যুদ্ধ বিরতি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর ।

৮. তাবারিস্তানে অভিযান : তাবারিস্তানের শাসকর্তা ইস্পাহানি | ইসামের আনুগত্য আস্বীকার করে আল মনসুরের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ৭৬০ খ্রিস্টাব্দে আল মনসুর একটি শক্তিশালী মুসলিম বাহিনী তার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। 

ফলে তাবারিস্তানের শাসনকর্তা ইস্পাহানী এর বিদ্রোহী বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে। কিন্তু পরবর্তী বছর এ শাসনকর্তা পুনরায় বিদ্রোহ করলে খলিফা বাহিনী তা কঠোর হস্তে দমন করে।

৯. মুহাম্মাদ ও ইব্রাহিমের পরাজয় ও মৃত্যু : হযরত আলীর প্রপৌত্র আব্দুল্লাহর দুই পুত্র মুহাম্মাদ ও ইব্রাহিম এই সময় খিলাফত দাবি করেন। তারা হজে উপস্থিত না হওয়ায় প্রথম হতেই খলিফা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখতে লাগলেন। 

শিয়া সম্প্রদায় আব্বাসীয়দেরকে ন্যায্য খলিফা বলে মনে করতো না। আলীর বংশধরকে ইসলামের প্রকৃত ইমাম মনে করতো। এদিকে মুহাম্মাদ মদিনায় খলিফারূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন। ইব্রাহিমের সমর্থনে ফরেস, ওয়াফিত ও বসরায়, আহওয়াজে এ বিদ্রোহ দেখা দিল। 

কিন্তু খলিফার নির্দেশে ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ ও ইব্রাহিম এবং তাদের পরিবারবর্গকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১০. উত্তর আফ্রিকায় বার্বার ও খারেজিদের বিদ্রোহ দমন : আল মনসুরের রাজত্বকালে বহুদিন যাবৎ আফ্রিকা খিলাফত হতে বিচ্ছিন্ন ছিল । 

আফ্রিকার বার্বার ও খারেজিগণ খিলাফতকে অস্বীকার করল। খলিফা তাদের বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি যুদ্ধ চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ৭৭২ খ্রিস্টাব্দ ইয়াজিদ বিন হাসান মুহাল্লাবির নেতৃত্বে ৬০ হাজার সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। 

তিনি বিদ্রোহীদের চরমভাবে পর্যুদস্ত করেন। আব্বাসীয় প্রতিনিধি হিসেবে এ অঞ্চলে তিনি শাসনভার গ্রহণ করেন ।

১১. আর্মেনিয়া, খোরাসান, সিজিস্তান ও হামাদানের বিদ্রোহ দমন : সাম্রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও বিভিন্ন সমর বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল । আর্মেনিয়ায় খাজার জাতি প্রবেশ করে বহু লোককে বন্দি করে নিয়ে গেলে খলিফা সেখানে এক সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন। 

কিন্তু তারা পরাজিত হয়। আর্মেনিয়ায় বহুদিন ধরে যুদ্ধ চলতে থাকে। অন্যদিকে হিরাতের শাসনকর্তা উসতাদ সীস নিজেকে পয়গম্বর হিসেবে ঘোষণা করে এবং খোরাসান ও সিজিস্তানের এক বিশাল অংশ অধিকার করে নেয়। 

অবশেষে খোজাইমা তুমুল যুদ্ধ করে এই বিদ্রোহী বাহিনীকে দমন করে। আবার . মাসুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা হামাদানে আলীপন্থিরা বিদ্রোহ করলে খলিফা তা কঠোর হস্তে দমন করেন।

১২. বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা : খলিফা আল মনসুরের খিলাফতের  সবচেয়ে অনবদ্য কীর্তি হলো বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা। আলী সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ দমনের পর তিনি একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। 

তিনি খলিফা আল আব্বাসের প্রতিষ্ঠিত রাজধানীকে সাম্রাজ্যের রাজধানীর জন্য নিরাপদ মনে করেননি। কারণ, আলীপন্থি ও রোমান আক্রমণের ভয় ছিল। তাই অনেক চিন্তার পর দজলা নদীর তীরে রাজধানী শহর “বাগদাদ” নির্মাণ করেন। 

খালিদ বিন বারমাককে এই শহর নির্মাণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি প্রায় ১,০০,০০০ জন শ্রমিক ও নির্মাণ শিল্পী দ্বারা দীর্ঘ ৪ বছরে প্রায় ৪৮,৮৩,০০০ দিরহাম ব্যয় করে এ নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। 

তবে এ নগরীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ৭৬২ খ্রিস্টাব্দ। আর এ বাগদাদ নগরীর নাম দেওয়া হয় “দারুস সালাম” অর্থাৎ শান্তির নগরী 

১৩. রাজ্য বিস্তার : খলিফা আল মনসুর অভ্যন্তরীণ শাসনের ভিত্তি শক্ত করে রাজ্য বিস্তারে মনোযোগ দেন। তিনি তার পুত্র মাহদির নেতৃত্বে তাবারিস্তান, গীলান ও দায়লা মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেন। 

কুর্দিস্তানের কুর্দি ও এশিয়ার মাইনরে জর্জিয়া, মশুল প্রভৃতি অঞ্চলের উপজাতিরা আব্বাসীয় সাম্রাজ্যে গোলযোগ সৃষ্টি করলে সেনাপতি খালিদ বিন বার্মাকে সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। 

তাছাড়া তিনি সম্রাট ৪র্থ কনস্টানটাইনকে পরাজিত করে মালাসিয়া দুর্গ জয় করেন। এভাবে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৪. গুপ্তচর ও পুলিশ বাহিনী গঠন : খলিফা আল মনসুরে কর্তৃক গুপ্তচর ও পুলিশ বাহিনী গঠন আববাসীয় প্রশাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তিনি সাম্রাজ্যের খবরাখবর জানার জন্য গুপ্তচর বাহিনী গঠন করেন। 

সাম্রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তিনি স্থায়ী সৈন্যদল ও পুলিশ বাহিনী গঠন করেন ।উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন, বহিঃশক্তির আক্রমণ প্রতিরোধ, রাজ্য বিস্তার, নগর প্রতিষ্ঠা, শান্তি-শৃঙ্খলা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, স্থাপত্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছেন তাকে নিঃসন্দেহে আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা যায়। 

আব্বাসীয় বংশের প্রথম শাসক সময় ও সুযোগের অভাবে শাসনব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করে যেতে পারেননি, কিন্তু আল মনসুর ক্ষমতা গ্রহণের পর সাম্রাজ্যেকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তাই তাকে আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন । আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ