আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ।

আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ
আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ

আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ

উত্তর : ভূমিকা : সময়ের বিবর্তনে সমাজস্থ নারীর প্রতি বৈষম্য রোধ ও নারী মুক্তির বার্তা নিয়ে যতগুলো নারীবাদী গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়েছে তার মধ্যে উত্তর আধুনিক নারীবাদ অন্যতম। 

অন্যান্য নারীবাদী গোষ্ঠীর ন্যায় উত্তর আধুনিক নারীবাদের নারীর পরাধীনতার কারণসমূহ চিহ্নিত করে নারী মুক্তির জন্য বিভিন্ন পথের সন্ধান দেয়। 

উত্তর আধুনিক নারীবাদ নারীর অধস্তনতার জন্য আধুনিকতার সাথে পিতৃতন্ত্রের সম্পর্ক নিরূপণ ও নারীর মুক্তির জন্য আধুনিকতার বিরোধিতা করে।

→ আধুনিক নারীবাদ : আধুনিক নারীবাদী তত্ত্বের মূলকথা হলো চিন্তনের বিধি সমাজস্থ নারী ও পুরুষের বৈষম্যের জন্য দায়ী। নারী ঔপন্যাসিক ও দার্শনিক হেলেন সিকসু দেখান যে, কিভাবে পুরুষের লেখনী নারীর ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে। 

হেলেন মনে করেন, ‘পুরুষ বিনা কারণে বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে পরস্পর বিরোধী দুই মেরুতে অবস্থিত বিপরীত শব্দকে পাশাপাশি রেখে যুগল শব্দ তৈরি করে যা সর্বদাই একটির ওপর অন্যটি প্রভাব বিস্তার করে।”

হেলেন আরও মনে করেন যে, এই বিপরীত শব্দগুলো ব্যবহার করেই মূলত নারী ও পুরুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ইরিগারে বলেন, “নারীকে পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ জানা যায় না।” কারণ পুরুষতান্ত্রিক চিন্তার কাঠামো থেকে নারী সম্পূর্ণ জানা অসম্ভব । 

তাই নারীকে প্রকৃতপক্ষে জানতে হলে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকেই জানতে হবে। কেননা পুরুষ যখন নারীর দিকে তাকায় তখন সে নারীকে না দেখে পুরুষের প্রতিচ্ছবি বা অনুরূপ দেখে। যেখানে নারী পুরুষকে প্রতিফলিত করে না সেখানে নারীর অস্তিত্ব থাকে না। 

ইরিগারে টোকে ‘অনুরূপতত্ত্ব' বলে অভিহিত করেছেন। এভাবেই তিনি পাশ্চাত্যের দর্শন ও দার্শনিকদের এরূপ চিন্তার সমালোচনা করেন। নারী ও পুরুষের সহযোগিতার ভিত্তিতেই সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব 

যেহেতু পুরুষের লেখনীর মাধ্যমে নারীকে নিকৃষ্ট বিবেচনা করা হয় সেহেতু নারীরা যদি তাদের লেখনীর দ্বারা তাদের চিন্তনের বিধিতে পরিবর্তন আনেন। তাহলে সমাজে নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব অস্তিত্বের বিনাস সম্ভব হবে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাশ্চাত্য বিশ্বে পুরুষের লেখনীর দ্বারা যে বিপরীত শব্দযুগলের তৈরি হয় তাতে নারী নিকৃষ্ট অর্থেই বিবেচিত হয়েছে। পুরুষ পিতৃতন্ত্রের ধারক ও বাহক বিধায় পুরুষের লেখনী নারীর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। 

আর এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই হেলেন সিকসু নারীকে নারী সম্পর্কে লেখনীর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সিকসু বলেন, “নারীর লেখনী হবে এমন যেন এর দ্বারা সমাজ ও সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটে।”

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আধুনিক নারীবাদ বলতে কী বুঝ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ