bangla data

এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর ।

এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর
এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর

এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে কি কি উপসর্গ দেখা যায় আলোচনা কর

অথবা, এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট জটিলতাসমূহ বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : ১৯৮১ সালে আমেরিকায় প্রথম এইডস ধরা পরার পর গত ২৯ বছরে এটি বিপুল বেগে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। বিশ্বে প্রতিদিন ৮০০০ লোক এইডস রোগে মারা যাচ্ছে। 

২০০৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট (HIV/ AIDS) এ মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০ লক্ষ। বিশ্বের সবদেশেই এ দেখা যাচ্ছে। মূলত যৌন সংসর্ঘ্যের কারণেই HIV হয়ে থাকে। 

এইচ আইভি /এইড এর কনা কাল নাগিনী মাথার মত দুলছে চারপাশে। সুতরাং এইডস/ HIV ভয়াবহতা খুবই করুণ ।

→ এইচ আইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট উপসর্গ/জটিলতা : HIV বাইরাসের আক্রমণের ফলে মানবদেহে নানারকম উপসর্গ দেখা দেয়। নিম্নে যে সমস্ত জটিলতা বা উপসর্গ দেখা যায় তা আলোচনা করা হলো :

১. যৌন ক্রিয়ার সংক্রমিত রোগসমূহ : এইচ আইভি HIV আক্রান্ত রোগীরা যৌন ক্রিয়ার সংক্রমিত অন্য রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। প্রকৃত পক্ষ যৌন ক্রিয়ার সংক্রমিত রোগ STD তে আক্রান্ত রোগেরাই HIV তে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি 1

২. রক্তস্বল্পতা ও রক্তদুষ্টি : HIV রোগীদের রক্তস্বল্পতা নানা কারণে হতে পারে। আয়রন এবং ফলিক এসিড দিয়ে সুফল পাওয়া যায়। 

এ রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্তে নিউমোক্কাস Preumococcus অথবা সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম কারণে মূলক রক্তদুষ্টি অবস্থার উৎপত্তি হয়। এছাড়া HIV তে আক্রান্ত হলে রক্তে অনুচক্রিয়া বা প্লেটলেট হ্রাস পেতে থাকে ।

৩. ফুসফুস প্রদাহ বা নিউমোনিয়া ৬০% AIDS রোগী ফুসফুস প্রদাহের উপসর্গ দেখা দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা Preumocystis Carini দ্বারা ঘটে। 

কয়েক সপ্তাহ দরে আক্রান্ত ব্যক্তিটির শুকানো কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপসর্গ থাকে তা হলে বিশ্রামেই অবস্থা ও শ্বাসের গত দ্রুত থাকে ।

৪. কেপোসিস অবুধ বা কেমোসিস সার্কোমতা : কেমোসিম মার্কোমা হন রক্তনালের অবুধ নিউমোনিয়ার পর এটাই হলো এইডস এর দ্বিতীয় প্রধান প্রকাশের সাধারণত অবুধ পায়ে হয় এবং আস্তে আস্তে বিকাশ করে। 

সমকামী এইডস রোগীদের সাধারণত এ রোগ হয়। যারা সমকামী নয়। সেসব এইডস রোগগ্রস্তদের মাঝে এ রোগ বিরল।

৫. শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা : HIV এইচ আইভিতে আক্রান্ত রোগী সহজেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা দরকার যে রোগী যক্ষ্মায় ঔষধগুলো ঠিকমত খাচ্ছে কি না । 

যদি রোগী নিয়মিতভাবে যক্ষ্মা রোগের ঔষধ সেবন করে তবে বুঝতে হবে তিনি অন্য রোগে ও আক্রান্ত হয়েছে।

৬. পরিপাকতন্ত্রের রোগ : পরিপাকতন্ত্রে এইডস তন্ত্রের কোপোসিস অবুধ Kaposis Sarcoma Of the gut বা সুযোগ সন্ধানী আক্রমণ বা খাদ্য নলের প্রদেহ অতবা ক্রমবর্ধমান পায়ুর হার্পিস ও পরবর্তীতে উদরাময় প্রকাশ পেতে পারে ।

৭. লসিকা গ্রন্থি ফোলা : HIV আক্রান্ত ব্যক্তির লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। এটাকে ইংরেজীতে বলে লিস্কোডেনোপ্যাথি। 

HIV এর আক্রমণ চাড়ায় অন্যন্য রোগের কারণে এটা হতে পারে। যক্ষ্মা ও দুর্বল ভাইরাসের আক্রমণ ছাড়াই এটি ক্যান্সারের একটি প্রধান উপসর্গ এবং জটিল চর্মরোগের ও প্রদান লক্ষণ এটি ।

৮. মুখে, ঘা, কফ, কাঁশি ও শ্বাসকষ্ট : HIV আক্রান্ত রোগীর মুখে ঘা থাকে। মুখের ভেতরের চামড়ায় সাদা পর্দায় ঢাকা থাকে। এ ঘা খুবই ব্যথাদায়ক। 

এছাড়া HIV আক্রান্ত ব্যক্তির কফ কাঁশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে এটা সাধারণ জীবাণু থেকে শুরু করে যক্ষ্মা বা ক্যান্সার রোগ ও হতে পারে ।

৯. মস্তিষ্কের সংক্রমণ : HIV আক্রান্ত ব্যক্তির ৫০% ব্যক্তি মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে শরীরের অন্য কোনো জায়গায় দেখা না দিলে এ মস্তিষ্ক তার প্রভাব পরে। HIV ভাইরাস এ প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন করে। ফলে ব্যক্তির মানসিক বিভ্রান্তি স্মৃতিবংশ অকাল বার্ধক্য ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায় ।

১০. টিউমার : AIDS আক্রান্ত ব্যক্তির Kaposis Sarcoma (KS) নামক টিউমার দেখা দেয়। এ রোগটি ১৯৮১ সালে চিহ্নিত করা হয়। তখনকার সময় থেকেই AIDS কে মহামারি রোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

এটা এক ধরনের Gammaherpes Kaposis Sarcoma Associated Herps Virus হিসেবে দেখা হয়। টিউমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন জায়গায় চামড়ায় বিভিন্ন রক্তের মাংসপিণ্ডের উত্থান হয়।

১১. মাথা ব্যথা HIV আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়ই মাথা ব্যথা অনুভব করের। যদি স্বাভাবিকভাবে এটাকে উড়িয়ে দেওয়া ঠিক না কারণ যেকোন ধরনের মেনিনজাইটিস সিফিলিস এবং HIV পজেটিভ রোগের লক্ষণ হতে পারে। মাঝে মাঝে ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে ও মাথা ব্যথা হয় ।

১২. গর্ভজাত সন্তান সংক্রমণ : গর্ভকালীন সময়ে শিশুর মা HIV তে আক্রান্ত হলে সন্তান তাতে আক্রান্ত হয়। মায়ের শরীরে HIV ভাইরাস যতই বেশি হবে শিশুর ততই HIV তে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

১৩. যৌন সংক্রমণ : সাধারণত অনেক HIV ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির অনেক যৌনবাহিত রোগ যথা STD হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

এর কারণ হলো এইচ আইভি আক্রান্ত ব্যক্তির বীর্য, রক্ত ও যৌনরসে ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি থাকে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, HIV পজেটিভ রোগীদের পারতপক্ষে কম ঔষধ সেবন করা উচিত। কারণ শক্তিশালী যেকোনো এ্যান্টিবায়োটিক শরীরকে দুর্বল করে এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। 

এটি একটি জীবন ধ্বংসকারী ভাইরাস তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেতাবেক যে যে ঔষধ দেবেন সেগুলোর Course complete করে খাওয়া নতুন শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট জটিলতাসমূহ বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম এইচআইভি (HIV) ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট জটিলতাসমূহ বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ