যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে ।

যক্ষ্মা কি  যক্ষ্মা কাকে বলে
যক্ষ্মা কি  যক্ষ্মা কাকে বলে

যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে

উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বে যে সমস্ত সংক্রমণ ব্যাধি রয়েছে তার মধ্যে যক্ষ্মার ভয়াবহতা ও প্রকোপ অনেক বেশি অনেক শিল্পোন্নত দেশে অর্থ সম্পদ উন্নত জীবন ব্যবস্থা এবং বিগত ৪০ বছর দরে কেমোথেরাপির বহুল ব্যবহার যক্ষ্মাকে এক লঘু সমস্যা হিসেবে দ্বার করাতে সক্ষম হয়েছে। 

যক্ষ্মা সাধারণত পুষ্টিহীন, দরিদ্র, ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেশি জন্মায়। WHO এর হিসাব মতে বিশ্বে প্রতি ১৫-২০ সেকেণ্ডে ১জন যক্ষ্মার রোগী মারা যায়।

যক্ষ্মা : যক্ষ্মা হলো এক প্রকার মারাত্মক সংক্রামক রোগ। অনেকে আবার একে টিবি বা ক্ষয়রোগ বলে থাকেন। বিশ্বে যত সংক্রামক রোগ আছে যক্ষ্মা তার মধ্যে অন্যতম। 

যক্ষ্মার জীবাণু সাধারণত কফ ও থুথু এর মাধ্যমে ছড়ায় এবং বাতাসে ভেসে বেড়ায় যা কাশি এবং থুথু থেকে যক্ষ্মা জীবাণু সম্বলিত বিন্দুকণা তৈরি হয়। 

একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে নিঃশ্বাসের সাথে এসব বাতাস ভেসে বেড়ানো জীবাণু/ বিন্দুকণা প্রবেশ করে যক্ষ্মা রোগ ঘটাতে পারে।

→ যক্ষ্মারোগের লক্ষণ : নিম্নের যেকোনো একটি কারণ দেখা দিলে ব্যক্তির যক্ষ্মা হয়েছে বলে মনে করা হয় । 

১. তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাঁশি হওয়া। 

২. কাশির সাথে মাঝেমাঝে রক্ত বের হওয়া। 

৩. তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বুকে ব্যথা।

৪. তিন সপ্তাহের বেশি দিন ধরে জ্বর যা সাধারণত বিকেলের দিকে আসে, অন্য কারণে যক্ষ্মা হয়েছে বলে মনে হয় তবে যক্ষ্মা হলেই রোগীর কফ পরীক্ষা করতে হবে।

→ যক্ষ্মা যেভাবে ছড়ায় : প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ ছড়ায় । তাছাড়া

১. যক্ষ্মাক্রান্ত কাশির রোগীর সাথে যারা থাকে। একই ঘরে থাকলে তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে যক্ষ্মার জীবাণু ফুসফুসে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত যারা কাশির রোগীর খুব “ কাছাকাছি থাকে তাদের ।

২. সংক্রমিত মা তার ছেলেমেয়েদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন। ছোট ঘরে বা শোবার ঘরে এ রকম পিতামাতাই সন্ত ানের ক্ষতির কারণ হয়ে দ্বারাতে পারে ।

৩. ছোট শিশুরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর নিকট হতে আক্রান্ত হয়।.

→ বর্তমান যক্ষ্মা পরিস্থিতি : WHO এর ভাষ্যমতে প্রতিবছর ৯২ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১৭ লাখ মানুষ মারা যায় । 

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায়, ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ৬৫ হাজার মানুষ মারা যায়। বিশ্বে প্রতি ১৫-২০ সেকেন্ড ১জন করে যক্ষ্মা রোগী মারা যায় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই এ কথার ভিত্তি নাই। বর্তমানে যদিও বিশ্বে যক্ষ্মা রোগীর পরিমাণ, দিন দিন বেরে চলছে তথাপি এমন যক্ষ্মাকে পুরোপুরি জয় করা যায় । তবুও বর্তমানে বিশ্বে যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রমণ রোগ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যক্ষ্মা কি | যক্ষ্মা কাকে বলে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ