bangla data

যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর ।

যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর
যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর

যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর

  • যক্ষ্মা বলতে কি বুঝ? বাংলাদেশে যক্ষ্মার ভয়াবহতা উল্লেখ কর

উত্তর : ভূমিকা : যক্ষ্মা এক প্রকার সংক্রামক রোগ। সংক্রামক ব্যাধিগুলোর অন্যতম হলো যক্ষ্মা। WHO এর হিসাব অনুযায়ী প্রতি ১৫-২০ সেকেন্ড বিশ্বে একজন যক্ষ্মারোগী মারা যায়। 

বাংলাদেশে আগের তুলনার যক্ষ্মার ঔষধ সরকারিভাবে দেওয়া হয় এবং যক্ষ্মার রোগ নির্ণয় সরকারিভাবে করা হয়। তবু ও আগের তুলনায় বর্তমানে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুর মাধ্যমে এ সংক্রামিত রোগ ছড়িয়ে থাকে ।

→ যক্ষ্মা : যক্ষ্মা এক প্রকার মারাত্মক সংক্রামক রোগ । অনেকে আবার এটিকে টিবি বা ক্ষয়রোগ বলে থাকেন। যক্ষ্মা বিশ্বের মত সংক্রামক রোগ আছে যক্ষ্মা তার ভিতর অন্যতম । 

যক্ষ্মার জীবাণু কফ ও থুথুর মাধ্যমে ছড়ায়। কাশি এবং থুথু থেকে যক্ষ্মা জীবাণু সম্বলিত বিন্দুকণা তৈরি হয় যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। সুস্থ ব্যক্তির শরীরে এসব বিন্দুকণা নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করে যক্ষ্মা রোগ ঘটাতে পারে।

→ নিম্নে যক্ষ্মা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. বর্তমান বিশ্বে যক্ষ্মা পরিস্থিতি : যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যক্ষ্মা রোগের হার কমছে, কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার ফলে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই গত ২০ বছরের তুলনায় বর্তমানে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর মতে পৃথিবীতে ১৯৯০ সালে যক্ষ্মা রোগ ছিল ৭.৫ মিলিয়ন যা ২০০০ সালে ১০.২ মিলিয়নে পরিণত হয়েছে। এ সংখ্যা ২০১০ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

২. বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগের পরিস্থিতি : বাংলাদেশে যক্ষ্মা একটি অন্যতম সংক্রামক রোগ। বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ সংক্রামক যক্ষ্মা রোগী। 

সকল যক্ষ্মা রোগই সংক্রামক নয়; বরং যে সমস্ত ব্যক্তির কাছে যক্ষ্মার জীবাণু বদ্যমান সে সমস্ত রোগীই সংক্রামক হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ নতুন করে যক্ষ্মার রোগে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এমডি আর টিবি যক্ষ্মা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম। 

এদেশে ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে যক্ষ্মার মারা যেত ৭৫ জন যা কমে ২০০৯ সালে হয় প্রতি লাখে ৪৫ জন । আবার যক্ষ্মার আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে যে ২২ টি দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ । 

বাংলাদেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগেই এর অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে এক সময় ধারণা করা হত যক্ষ্মা হলে মানুষ আর বাঁচে না। 

গ্রাম বাংলার প্রবাদ ছিল যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা কিন্তু বর্তমানে যক্ষ্মার উন্নতর চিকিৎসার ফলে এ কথার আর ভিত্তি নাই । চিকিৎসার যক্ষ্মা সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যক্ষ্মা আমাদের দেশে অতি সহজে একটি রোগে পরিণত হয়। যক্ষ্মা একটি মারাত্মক ব্যাধি। 

পৃথিবীর অন্যন্য দেশের মত বাংলাদেশে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং আস্তে আস্তে বাংলাদেশে তা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে। তবু ও বর্তমানে সরকারি ওবেসরকারি সংস্থার কিছুটা কমিয়ে আসছে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যক্ষ্মা কাকে বলে ও বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ