যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর ।

যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর
যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর

যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর

  • অথবা, যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগগুলো বিশ্লেষণ কর ।

উত্তর : ভূমিকা : যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। যক্ষ্মা সাধারণত বায়ুর থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। আগের কার দিনে বলা হতো যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই। 

কিন্তু বর্তমানে স্লোগান হলো যক্ষা হলে রক্ষা নাই । এ কথায় ভিত্তি নাই সুতরাং আমরা বলতে পারি যক্ষ্মা তখন নিরাময়যোগ্য রোগ। বর্তমানে সরকার ও বেসরকারিভাবে নানা রকম পদক্ষেপ নেয়া হয় যাতে যক্ষ্মা কমিয়ে আনা যায় ।

যক্ষ্মা রোধকল্পে সে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয় তা আলোচনা করা হলো :

→ যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ : বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম সকল ও প্রশংসনীয়। 

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় সর্বপ্রথম যক্ষ্মা কর্মসূচি চালু করে নাটবি নামের একটি সংখ্যা। নাটাব জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নামে পরিচিত ছিল। 

কিন্তু সরকারিভাবে সর্বপ্রথম ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। 

যার পরিচালনায় ছিলেন ব্রিটিশ চিকিৎসক ড. ডিমার্ক পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের তৎকালীন ১৯টি জেলায় এবং ২৫টি মহাকুমায় ৪৪টি টিবি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

এছাড়া তৎকালীন ৪টি বিভাগে ও ৪টি টিবি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এভাবে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪১ বন্দর শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক যক্ষ্মার চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। 

কিন্তু বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান দেশ যক্ষ্মার চিকিৎসা শহরকেন্দ্রিক হওয়ার গ্রাম বাংলায় জনসাধারণের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।

১৯৯৩ সালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত এদেশে ও ব্যাপক প্রকোপ দেখা দেয়। বিশ্বের এ অবস্থায় প্রেক্ষিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমারজেন্সি Global Emergency ঘোষণা করে আর তার সাথে সাথে নতুন ডায়াগনোসিম ও চিকিৎসা পদ্ধিতে উদ্ভাবন ও চালু করে এর নাম দেওয়া হয় ডিওটিএস যার পুরো নাম ডিরেক্টালি আবজাবভ শর্ট ট্রিটমেন্ট কোর্স থেরাপি Directy observed short treatment Course therapy) বিশ্ব ব্যাংকের (WB) আর্থিক সহযোগিতায় ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ২টি পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করে। এ প্রজেক্ট দুটি ছিল বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জ। 

প্রজেক্টগুলো আশানুরূপ সাফল্য হওয়ায় পরবর্তীর্তে দেশের সকল জেলা ও থানা শহরে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়। এর পরবর্তীতে Directy observed treatment এর আওতায় ৮৫১টি যক্ষ্মা কেন্দ্র ও ২০৫০ টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র চালু করা হয়। 

২০১০ সালে ঢাকায় (শ্যামলিতে) জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প কালচারাল ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। ২০০৭ সালে ঢাকায় জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে Cultural laboratory স্থাপন করা হয়েছে। 

দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ও এভাবে Cultural laboratory নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। বর্তমানে দেশের সবগুলো করা হয়। 

বর্তমানে দেশের সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত যক্ষ্মা নিরাময় কেন্দ্র নিরাময় কেন্দ্র থেকে গরিব ও অসচ্ছল যক্ষ্মা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩২ জন এমডি আর রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত কার্যক্রম রয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। 

কিন্তু অধিকাংশ জনসংখ্যার এদেশে এসব উদ্যোগ যথেষ্ট ফলপ্রসূ হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রিয়ার পজেটিভ রোগীর কেস ডিটেকশনের ক্ষেত্রে এখন ৭০ ভাগ ব্যর্থতা রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ কি কি বিস্তারিত আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ