খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর  ।

খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর
খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর

খলিফা আল মনসুরের কৃতিত্ব বিচার কর

উত্তর : ভূমিকা : খলিফা আবু জাফর আল মনসুর অক্লান্ত পরিশ্রমে, অদম্য সাহস, দূরদর্শিতা ও কূটনীতির বলে এই বংশের ভেতরের এবং বাইরের সকল শত্রুকে দমন করে এবং এই বংশকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। 

আর এই কারণে আবু জাফর আল মনসুরকে আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি তাঁর বংশের স্থায়িত্ব বিধানকল্পে খলিফার পার্থিব ক্ষমতার সাথে জনসাধারণের আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের সংযোগ স্থাপন করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সুন্নী মতবাদের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

→ আল মনসুরের কৃতিত্ব : আল মনসুরের অসাম্যান্য কৃতিত্বের জন্য তাকে এই সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। নিম্নে তার কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

১. বিদ্যোৎসাহী নরপতি : আল মনসুর একজন শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী নরপতি ছিলেন। পরবর্তীকালে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আব্বাসীয়গণ যে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন খলিফা মনসুরই এর গোড়াপত্তন করেন। খলিফা নিজেও বিজ্ঞান ও গণিত শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন।

২. অনুবাদ বিভাগ স্থাপন : আল মনসুরের আমলে হযরতের বাণীসমূহ হাদিস গ্রন্থরূপে সংগৃহীত হয়। তফসির সংকলনও তাঁর শাসনামলেই সম্পন্ন হয়। তিনি তাঁর শাসনামলে প্রাচীন আরবি কবিতাসমূহ পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। 

তাঁর দরবারে অনেক জ্ঞানীগুণীজনের সমাবেশ ঘটেছিল। খলিফা তাঁদের সাহায্যে একটি অনুবাদ বিভাগ স্থাপন করে গ্রিক, পারসিক, সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষায় লিখিত বহু মূল্যবান গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনুবাদ করার ব্যবস্থা করেন। 

তাঁর নির্দেশে এরিস্টটল, ইউক্লিড ও টলেমির বিজ্ঞান গ্রন্থগুলো এবং ভারতীয় জ্যোতিষ্ক শাস্ত্র সিদ্ধান্ত', 'খণ্ডকা-খাদ্যকা' এবং গল্প পুস্তক 'হিতোপদেশ' আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল।

৩. নতুন সভ্যতার উদ্ভব : আল মনসুরের শাসনামলে আরবীয়, ভারতীয়, গ্রিক এবং ইরানি সভ্যতার সংমিশ্রণে যে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে ওঠে তা বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছিল।

৪. স্থাপত্য শিল্প : আল মনসুরের শাসনামলে স্থাপত্যশিল্পের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছিল। বিশ্ববিখ্যাত বাগদাদ নগরী এবং রাফিফা নামক শহরটি তিনিই নির্মাণ করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বস্তুত তাঁর অক্লান্ত চেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আব্বাসীয় খিলাফতের গৌরবের পটভূমি রচিত হয়েছিল। এ সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে তাকে আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি ছিলেন আব্বাসীয় বংশের প্রাণপুরুষ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ