std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় ।

std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়
std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

যৌন সংক্রামক রোগের কারণ ও প্রতিরোধের উপায়গুলো আলোচনা কর 

  • অথবা, যৌনরোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বা প্রতিরোধ ব্যবস্থাসমূহ বর্ণনা কর
  • অথবা, STD কী এবং কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

উত্তর : ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বে সঙ্গমজনিত রোগের আওতায় বহুরোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর কিছু কেবল সঙ্গমজনিত আর কিছু মাধ্যমজনিত রোগ ছাড়াও অন্যভাবে ছড়ায়। 

এইডস, উপদংশ, প্রমেহসহ অন্যান্য সঙ্গমজনিত রোগ অনেকটা রোধ বা আরোগ্য করা যায় যদি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। 

নিজেরা যদি এ রোগ সম্পর্কে সচেতন না হয় তবে এ রোগ যেহেতু বংশগত কারণ আছে তাই সন্তান-সন্ততির হতে পারে ।

→ যৌন সংক্রামক রোগ : পূর্বে গ্রিক দেশের দেবী ভেনাস এর নামানুযারী যৌন সঙ্গমজনিত রোগগুলোতে ডাক্তারি ভাষায় একত্রে ভেনারিয়েল ডিজিজ বলা হতো। 

এরপর ১৯৮৩ সালের ১ নভেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় বিশেষজ্ঞ দলের সভায় সর্বপ্রথম পুরোনো নাম ভেনাজিয়েল ডিজিজ Xenerial diseac পরিবর্তে সঙ্গম সংক্রমিত রোগ বা Sexualhy Transmitted Disease (STD সংক্ষেপে) নামকরণ করা হয়। 

যৌন মিলনের ফলে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগগুলোকে রতিজ ব্যাধিও বলা হয়। শারীরিক মিলন বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে যে রোগ ছড়ায় তাকে যৌন ব্যাধি বা STD বলা হয় ।

→ যৌন রোগের কারণ : যৌন সংক্রামক রোগ বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এ সমস্ত জীবাণুর মধ্যে অন্যতম Virus হলো এইচ আইভি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, প্রটোজোয়া, ক্রামাইটিয়া, প্যারামাইট প্রভৃতি এসব জীবাণু বিভিন্ন মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

→ যৌন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা/উপায় : নিম্নলিখিত উপায়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে যৌন সংক্রমিত রোগগুলো প্রতিরোধ করা যায় ।

১. যৌন রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে অবাধ অনিরাপদ ঝুঁকিপূর্ণ সকল প্রকার দৈহিক মিলন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে ।

২. ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও আদর্শ মেনে চলে শুধুমাত্র একজন বিশ্বস্ত নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। তবে এ দুজনের কোনো একজন যদি পূর্বে বা বর্তমানে অন্য কোনো অনিরাপদ দৈহিক মিলন হয়ে থাকে তবে তাদের উভয়ের যৌন রোগ হতে পারে।

৩. উপরিউক্ত ক্ষেত্রে যদি কোনো একজনের যৌন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে প্রতিবার মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।

৪. ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ও সুস দিয়ে ইনজেকশন নিতে হবে। ৫. সুচি প্রয়োগ অর্থাৎ ইনজেকশন বা ত্বক ভেদকারী যন্ত্রপাতি (যথা- আকুপাংচার সুচ ইত্যাদি) যাতে দূষিত না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

৬. শিরাপথে মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীদের নিবৃত করতে হবে, নিবৃত করতে না পারলে তারা যাতে অন্তত একবার ব্যবহারের পর পরিত্যাজ্য সিরিঞ্জ ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও শুক্রদানের পূর্বে রক্তে কোনো ভাইরাস বা রোগ জীবাণু আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।

৮. কোনো সঙ্গমজনিত রোগ আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

৯. HIV এইচ আইভি আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভধারণ করা উচিত নয়। গর্ভধারণ করলে সন্তানেরও হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই তা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০. অপরের ব্যবহার করা টুথ ব্রাশ দাড়ি কাটার ব্লেড ইত্যাদি ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।

১১. যৌন অপরাধ তথা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি যাতে কম হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কবার্তার সাথে সাথে মহিলাদের উগ্র সাজসজ্জা ও নির্জন একাকি চলাফেরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১২. সর্বসাধারণের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ, আদর্শ ও চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মসজিদ মন্দিরের ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ।

১৩. থাকার ঘরে বা অন্য কোথাও রক্ত বা শারীরিক তরল পদার্থ পড়লে ৯ ভাগ ক্রিম ও ১০ ভাগ পানি মিশিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

১৪. সর্বসাধারণকে যৌন সংক্রামক রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে অধিক সচেতন করতে হবে।

১৫. শুরুতেই রোগ যাতে ধরা পড়ে তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। আর রোগীদের অকপটে তার সমস্ত গোপন সমস্যার কথা বলতে হবে।

১৬. রোগীদের সবগুলো যৌন সাথীকে খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য রোগীকে অভয় দিতে হবে যে তার দেওয়া তথ্য গোপন রাখা হবে এবং সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা হবে না।

১৭. রোগী জনসাধারণ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এমনভাবে শিক্ষাদান করতে হবে যা যৌন আচরণে পরিবর্তন এবং সংক্রমণের হার হ্রাস পায় ।

১৮. জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এইডসসহ অন্যান্য যৌন সঙ্গমজনিত রোগ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাপ্রতিষ্ঠান এতে জড়িত থাকতে পারে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যৌন সংযম পালন ও নিরাপদ যৌন মিলনই যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান উপায়। বিবাহের বাইরে বহুসঙ্গমতা ও যৌনকামীতা সর্বদাই পরিহার করা উচিত। 

তাছাড়া যৌন রোগের সংক্রমণ ও ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অধিক সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার সভা সেমিনার সিম্পোজিয়াম পোস্টার লিফলেট বিতরণ করা যায় । এর মাধ্যমে যৌনবাহিত রোগ কিছুটা কমে আসবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম std কিভাবে ছড়ায় ও std কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ