খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন।
![]() |
খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন |
খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন
উত্তর : ভূমিকা : ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে খলিফা হিসেবে ক্ষমতায় আসেন আবু জাফর আল-মনসুর। তিনি ছিলেন আব্বাসীয় বংশের দ্বিতীয় খলিফা। তিনি ছিলেন খলিফা আবুল আব্বাসের ছোট ভাই। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার বলে রাজকার্য পরিচারনা করেছিলেন।
১. বিদ্রোহ দমন : ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে ক্ষমতায় আসায় পর থেকে তিনি বিভিন্ন বিদ্রোহ দমনে সচেষ্ট হন। তিনি তার পিতৃব্য আব্দুল্লাকে দমন করেন। ধর্মভ্রষ্ট রাওয়ান্দিয়া সম্প্রদায়কে বাগদাদ থেকে বহিষ্কার করেন।
খোরাসান ও তাবারিস্তানের বিদ্রোহ তিনি শক্ত হাতে দমন করেন। তিনি আলী বংশীয় মুহাম্মদ ও ইব্রাহীমকে হত্যা করেন। এসব বিদ্রোহ দমনের কারণে তাকে আব্বাসীয় বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
২. এশিয়া মাইনরের ক্ষমতা বিস্তার : এশিয়া মাইনরের মানুষজন প্রথমে আব্বাসীয় খেলাফতের আনুগত্য স্বীকার করেননি। খলিফা মনসুর খালিদ ইবনে বার্মাককে এশিয়া মাইনরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করলে জর্জিয়া, মুসল, কুর্দিস্থানের আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৩. রাজ্য বিস্তার : ৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে খলিফা মনসুর রোমান সম্রাট চতুর্থ কনস্টান্টাইনকে পরাজিত করে সালাসিয়া দুর্গ অধিকার করে নেন। এছাড়াও তিনি তাবারিস্তান, কুর্দিস্তান, আর্মেনিয়া ও উভয় আফ্রিকা জয় করে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য বিস্তার করেন।
৪. রাজধানী স্থানান্তর : আলীপন্থিদের দ্বারা আক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় তিনি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হাশেমিয়া হতে টাইগ্রিস নদীর তীরে মনমুগ্ধকর পরিবেশে বাগদাদ গ্রামকে রাজধানীতে রূপান্তরিত করেন।
৫. প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ : খলিফা মনসুর তার রাজ্যের প্রদেশগুলোর সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে তাতে শাসক নিযুক্ত করেন। ...এছাড়া তিনি গভর্নরসহ কল রাজকর্মচারীদের বদলির প্রথা চালু করেন।
৬. শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী ও গুপ্তচর বাহিনী গঠন : রাজ্যকে | সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত করার লক্ষ্যে তিনি একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, খলিফা আল-মনসুর তার সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন | যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর জন্যই তাকে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খলিফা আল মনসুরকে আব্বাসীয় খেলাফতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।