খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও।

খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও
খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও

খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও

উত্তর : ভূমিকা : আরব্য উপন্যাসের নায়ক খলিফা হারুন- অর রশীদ ছিলেন আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম শাসক। তার শাসনকাল ছিল অতীব চমকপ্রদ এবং গৌরবান্বিত। 

তার শাসনকালে আরব রাজনীতিতে মাওয়ালীদের প্রভাব সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া এই সময় মহিলাদের রাজনৈতিক প্রভাবও কম ছিল না। তিনি প্রজারঞ্জক শাসক হিসেবে যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

→ খলিফা হারুন অর রশিদের পরিচয় : নিম্নে খলিফা হারুন অর রশিদের পরিচয় বর্ণনা করা হলো :

১. জন্ম ও পরিচয় : হারুন অর রশীদ ছিলেন খলিফা আল মাহদীর পুত্র এবং খলিফা আল হাদীর ভ্রাতা। তার মায়ের নাম ছিল খায়জুরান। হারুন অর রশীদ ছিলেন আব্বাসীয় রাজবংশের ৫ম শাসক। তার প্রকৃত নাম ছিল হারুন অর রশীদ ছিল তার ধারণকৃত উপাধি।

২. খিলাফত লাভ : হারুন অর রশিদের ভ্রাতা আল হাদীর মৃত্যুর পর ৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ২৫ বছর বয়সে বাগদাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তিনি ৮০৯ খ্রি. পর্যন্ত আব্বাসীয় খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

৩. শ্রেষ্ঠ শাসক : হারুন অর রশীদ আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তৎকালীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নরপতিগণের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তিনি ন্যায়বিচারক, প্রজারঞ্জক শাসনকর্তা হিসেবে বিশ্বে সমধিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। 

অরাজকতা দমন করতে এবং প্রজাসাধারণের অবস্থা স্বয়ং অবগত হবার জন্য তিনি ছদ্মবেশে নগর ভ্রমণ করতেন। নিয়ম অনুযায়ী আব্বাসীয় শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্ব পারস্যের শিয়া মতাবলম্বী বার্মাকি পরিবারের উপর ন্যস্ত ছিল। 

তার সুদীর্ঘ তেইশ বছরের শাসনামলে রামাকি বংশ সতেরো বছর শাসনকার্য পরিচালনা করে সাম্রাজ্যের সুখ ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করে।

৪. চরিত্র : খলিফা হারুন অর রশীদ একজন ধর্মপ্রাণ খলিফা ছিলেন । তিনি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। ন্যায়বিচার ও দানশীলতার জন্য হারুন জগদ্বিখ্যাত ছিলেন। 

তিনি প্রজাসাধারণের মাঝে অকাতরে ধনসম্পদ দান করতেন। তার চরিত্রের আরেকটি গুণ ছিল ভালো-মন্দের অপূর্ব সম্মিলন। তিনি বিরোধীদের প্রতি যেমন কঠোর ছিলেন তেমনি প্রজাসাধারণ ও বন্ধুদের সাথে ছিলেন অত্যন্ত সহৃদয়। 

তবে তিনি অতিমাত্রায় অন্যের কথায় বিশ্বাসী ছিলেন বলে তার অকৃত্রিম বন্ধু বার্মাকি পরিবারের ধ্বংস সাধন করেছিলেন যা ছিল তার চরিত্রের এক দুর্বল বৈশিষ্ট্য।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আরব্য উপন্যাসের সহস্র রজনীর নায়ক হারুন অর রশিদের রাজত্বকালে নানা দিক দিয়ে ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। 

এ প্রসঙ্গে আমির আলী বলেন যে, “ঐতিহাসিক সমালোচনার দৃষ্টিতে যাচাই করলেও তিনি সর্বকালের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি ও শাসকগণের অন্যতম বলে বিবেচিত হবেন।”

আর্টিকেলের শেষকথাঃ খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খলিফা হারুন অর রশীদের পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ