মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর ।

মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর
মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর

মালিক শাহের কৃতিত্ব সমূহ আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : সেলজুক বংশের মধ্যে মালিক শাহ ছিলেন | সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বিখ্যাত শাসনকর্তা মালিক শাহের রাজত্বকালে সেলজুকীয় আধিপত্য গৌরবে সর্বোচ্চ শিখরে উপনীত হয়। 

আড়ম্বর, ঐশ্বর্য, ও জনকল্যাণের দিক দিয়ে মালিক শাহের শাসনামলে অথবা আরব শাসনের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি আব্বাসীয় সাম্রাজ্য নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজধানী ইস্পাহান থেকে বাগদাদে স্থানান্তরিত করেন ।

→ মালিক শাহের কৃতিত্ব : নিম্নে মালিক শাহের কৃতিত্বসমূহ তুলে ধরা হলো :

১. রাজ্যের সংহতি বিধান : মালিক শাহ রাজ্য সম্প্রসারণ অপেক্ষা রাজ্যের সংহতি বিধানে বেশি মনোযোগী ছিলেন। এ জন্য চীনের সীমান্ত থেকে পশ্চিম ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত এবং উত্তর জর্জিয়া থেকে দক্ষিণ ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃতি মালিক শাহের বিশাল রাজ্যের সুখ শান্তি বিরাজ করতো।

২. বিদ্রোহ দমন : মালিক শাহের কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্রোহ দমন। তিনি এ সকল বিদ্রোহ সাফল্যের সাথে দমন করেন। এ সকল বিদ্রোহের একটি তার ভ্রাতার নেতৃত্বে সংঘটিত হয় । বিদ্রোহ দমন করতে মালিক শাহ ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।

৩. সাহিত্য ও ললিতাকলার পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান : মালিক শাহের উদার পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সাহিত্য ও ললিতাকলা সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। এ সময় ফারসি ভাষা চর্চার প্রতি অভূতপূর্ব তৎপরতা প্রদর্শিত হয়। 

এই জন্য সৈয়দ আমির আলী তার History of Sarasins গ্রন্থে বর্ণনা করেন। মালিক শাহের রাজত্বকালে উদার পৃষ্ঠপোষকতার ফলে সাহিত্য ও ললিতা কলার সমৃদ্ধি লাভ করেছিল ।

৪. সিয়াসত নামা : নিজামূলকের সিয়াসত নামা রাজ্যের শাসন প্রণালীর উপর লিখিত একটি গবেষণামূলক রচনা বলে মনে করা হয়। আর সুলতান মালিক শাহের শাসনামলে তার বিশেষ অনুরোধে সিয়াসতনামা গ্রন্থটি রচনা করা হয়। 

রাজনৈতিক নীতিমালা সম্বলিত একটি গ্রন্থই ছিল না, বরং তাতে, দরবার, বিচার প্রণালীর সামরিক বিভাগ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলি, উপর ব্যবহারিক উপদেশসমূহ লিপিবদ্ধ ছিল।

৫. স্থাপত্যশিল্পে পৃষ্ঠপোষকতা : সেলজুক সুলতান মালিক শাহের স্থাপত্যশিল্পে ব্যাপক অবদান পরিলক্ষিত হয়। মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, ইত্যাদি স্থাপনে এক মহৎ পরিচয় তুলে ধরেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মালিক শাহ একজন জ্ঞানী, মহান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। তবে তার রাজত্বকালকে সমৃদ্ধ করতে নিজামুলকের অবদান ছিল ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অংশ বিশেষ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মালিক শাহের কৃতিত্বসমূহ লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মালিক শাহের কৃতিত্বসমূহ লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ