টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর ।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর | typhoid keno hoy

  • টাইফয়েড রোগের কারণ উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ আলোচনা কর ।
  • অথবা, টাইফয়েড রোগের কারণ, উপসর্গ ও লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দাও ।

উত্তর : ভূমিকা : মানবদেহ প্রায়ই বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হয় এমনকি জ্বর, কালাজ্বর, মাথাব্যথা টনসিল ইত্যাদি। কিন্তু মাঝে মাঝে স্বাভাবিক জ্বর অস্বাভাবিক হয়ে যায়। 

আগেকার দিনে টাইফয়েড কে স্বাভাবিক মেয়াদি জ্বর বলা হতো। টাইফয়েড জ্বর কমবেশি প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়। চিকিৎসায় টাইফয়েড পুরোপুরি দমন করা যায়।।

→ টাইফয়েড রোগের কারণ : জ্বর মানুষের জীবনে প্রায় একটি স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষ মাঝে মাঝেই জ্বরে আক্রান্ত হয়। 

মালমোনেলা টাইফি ও বিজার্ভার নামক জীবাণু হচ্ছে মানুষের মধ্যে | টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড রোগের সংক্রমণ ঘটানোর জন্য দায়ী ।

→ উপসর্গ ও লক্ষণ : টাইফয়েড রোগ হলে তার বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা যায় । নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর জ্বর প্রতিদিন ওঠানামা করে । 

২. জ্বরের মাত্রা দিনের থেকে সাধারণত রাতে বেশি হয় । 

৩. ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়া জ্বরকেই স্টেপল্যাফ্যাসন ফিভার বলে । 

৪. জিহ্বা পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, জিহ্বার কিনারা পরিষ্কার অথবা ভিতরের দিকে ময়লা / অপরিচ্ছন্ন আচ্ছাদিত এলাকা বা সেন্ট্রালি কোর্টেড রং দেহের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত তাপের তুলনায় নাড়ির গতি তুলনামূলকভাবে কম থাকা বা বিলেটিভ ব্যাডি কার্ডিয়া ইত্যাদি উপসর্গাদি আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে পাওয়া গেলে এবং জ্বর যদি বেশ কয়েকদিন স্থায়ী থাকে তখন ধারণা করে যে রোগীর আন্ত্রিক জ্বর বা এনটেরিক ফিভার হয়েছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জ্বর আমাদের দেশের জনগণের নিয়মিত রোগ হিসেবে সঙ্গী হয়ে গেছে আর এ জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলেই টাইফয়েড আকার ধারণ করে যা বাংলাদেশের জনগণের নিকট খুবই পরিচিত। ইনজেকশন নিলে টাইফয়েড ভালো হয়ে যায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ