একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী।

একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী
একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী

একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় গবেষণা নকশা প্রণয়ন একটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা উপযুক্ত নকশা ব্যতীত কোন গবেষণাই তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। আর একটি উত্তম গবেষণা নকশায় গবেষণা সম্পর্কিত কাজের ধাপ বা পর্যায়ের একটি সামগ্রিক চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় ।

একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য : যে গবেষণা নকশার সর্বনিম্ন মাত্রার পক্ষপাতিত্ব এবং উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্ভরযোগ্যতা বজায় থাকে তাকেই উত্তম নকশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি উত্তম গবেষণা নকশায় সাধারণত নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান থাকে ।

১. সঠিক উপাত্ত সংগ্রহের উপযোগী : সঠিক উপাত্তের ওপর গবেষণার সাফল্য নির্ভরশীল। একটি উত্তম গবেষণা নকশা গবেষণাধীন বিষয় বা সমস্যা সম্পর্কিত সঠিক উপাত্ত সংগ্রহের উপযোগী হতে হবে। কেননা গবেষণার উদ্দেশ্যকে সফল করে তোলার জন্য উত্তম গবেষণা নকশাকে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহে উপযোগী হওয়া একান্ত আবশ্যক ।

২: গবেষণার উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত : একটি উত্তম গবেষণা নকশাকে অবশ্যই উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে তা না হলে গবেষণা নকশার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পায়। ফলে গবেষণার মূল উদ্দেশ্যও ব্যাহত হয় । তাই উত্তম গবেষণা নকশার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত হওয়া।

৩. দৈবভুল হ্রাস ও ভুলের পরিমাণ নির্ণয় : একটি উত্তম গবেষণা নকশায় এমন বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে যাতে সংগৃহীত উপাত্তের দৈবভুল কম হয় এবং এ ভুলের পরিমাণ নির্ণয় করা যায় । 

কোনো বিষয় বা সমস্যা অনুসন্ধানে দৈবভুলের উদ্ভব হয় প্রধানত গবেষকদের ব্যক্তিগত পার্থক্য এবং নানারকম অজ্ঞাত শর্তের প্রভাবে। 

এ ধরনের ভুল সম্পূর্ণরূপে দূর করা সম্ভব না হলেও গবেষণা নকশা সঠিকভাবে প্রণীত হলে অনেক ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হ্রাস করে ভুলের পরিমাণ পরিমাপ করা যায় । 

৪. নমনীয়তা : একটি উত্তম গবেষণা নকশা অবশ্যই নমনীয় প্রকৃতির হতে হবে। কেননা গবেষণার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতকৃত গবেষণা নকশাটি কার্যক্ষেত্রে বা ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে 

গিয়ে অনেক সময় তাতে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করতে হয় । তাই একটি উত্তম গবেষণা নকশাকে নমনীয় প্রকৃতির হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

৫. সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের নিদের্শনা : গবেষণা কাজটিতে অধিক সময়; শ্রম ও অর্থ ব্যয় হবে, যা কাম্য নয় । একটি উত্তম গবেষণা নকশায় গবেষণার জন্য প্রাপ্ত সম্পদের সুষ্ঠু ও সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গবেষণা কাজটি সম্পাদনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।'

৬. স্থায়ী ভুল সংশোধন : উত্তম গবেষণা নকশা গবেষণার জন্য সংগৃহীত উপাত্তের স্থায়ী ভুল সংশোধনের উপযোগী হবে। কেননা পরীক্ষণমূলক গবেষণার ক্ষেত্রে বাহ্যিক চলককে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে বাহ্যিক চলক অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। 

যার কারণে গবেষণার জন্য সংগৃহীত উপাত্তের স্থায়ী ভুলের সম্ভাবনা থাকে কিন্তু গবেষণা নকশা সুষ্ঠুভাবে প্রণীত হলে উপাত্তের এ ধরনের স্থায়ীভুলের সম্ভাবনা থাকে না । 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একটি উত্তম গবেষণা নকশায় গবেষণা কর্মকাণ্ডের সার্বিক কর্মসূচির বিবরণসহ গবেষণার যৌক্তিক কাঠামোর উল্লেখ থাকে । 

আর উত্তম গবেষণা নকশার অনুসরণে গবেষণা কাজটি পরিচালিত হলে সেটি সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা যায় এবং এতে গবেষণার উদ্দেশ্য সহজেই বাস্তবায়ন করা যায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একটি উত্তম গবেষণা নকশার বৈশিষ্ট্য কী কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ