অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রকল্প পরীক্ষণের যৌক্তিকতা বর্ণনা কর।

অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী
অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী

অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী

  • অথবা, প্রকল্প পরীক্ষণের যৌক্তিকতা বর্ণনা কর। 
  • অথবা, অনুমান যাচাইয়ের যৌক্তিকতা আলোচনা কর।

উত্তর ভূমিকা : এক ধরনের সিদ্ধান্ত হলো পূর্বানুমান, যা যাচাই সাপেক্ষ। এটি এমন এক ধরনের বিবৃতি, যা ভবিষ্যৎ কোন ঘটনা বা ঘটনার ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করে। আর যাচাই বলতে অনুমিত বিবৃতিটির গ্রহণ বা বর্জন উভয়কেই বুঝায়। 

কোন গবেষণার সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশেই যথাযথ পূর্বানুমানের উপর নির্ভর করে। কোন ভালো পূর্বানুমান গঠন ছাড়া গবেষণা কার্য সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না। এটি সমস্ত গবেষণা কার্যক্রমকে পরিচালিত ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

অনুকল্প/পূর্বানুমান যাচাইয়ের যৌক্তিকতা : কোন গবেষণাই পূর্বানুমান ছাড়া পরিচালনা সম্ভব নয়। নিচে পূর্বানুমান যাচাইয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হলো :

১. তথ্য সংগ্রহে সহায়তা : পূর্বানুমান আমাদের গবেষণা সমস্যার উত্তর পাওয়ার জন্য যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে তা নির্ধারণ করতে এবং ঐসব তথ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করতে সাহায্য করে। 

পূর্বানুমান ব্যতীত গবেষণার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ সম্ভব নয়। আর তথ্যসংগ্রহ ছাড়া কোন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা কোন গবেষকের পক্ষে সম্ভব নয় ।

২. সংশ্লিষ্ট বিষয় গ্রহণ : কোন গবেষণার পূর্বানুমান উপস্থিত থাকলে অনুসন্ধান কাজে কি কি বিষয় অনুমোদন, গ্রহণ ও বর্জন করতে হবে তা নির্ধারণ করা সহজ হয়। 

পূর্বানুমান যাচাইয়ের দ্বারা গবেষণা কাজে যে বিষয়গুলো প্রয়োজন তা যথার্থভাবে জানা যায় । এটি গবেষণা কাজে ব্যবহৃত সকল বিষয় সম্পর্কে গবেষককে সতর্ক করে দেয় ।।

৩. যথোপযুক্ত গবেষণা পদ্ধতি নির্ধারণ : পূর্বানুমান যাচাই গবেষকগণকে যথোপযুক্ত গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। 

এর মাধ্যমে গবেষক সংশ্লিষ্ট গবেষণা পরিচালনার জন্য যেসব পদ্ধতি প্রচলিত তা থেকে যথার্থ ও সঠিক পদ্ধতি বেছে নিতে পারে। পূর্বানুমান যাচাইয়ের মাধ্যমে গবেষক প্রাসঙ্গিক ও যথার্থ তথ্য সংগ্রহ কাজে মনোযোগী হয়ে ওঠে।

৪. পরবর্তী গবেষণার দিকনির্দেশনা : উত্তম পূর্বানুমান যাচাই গবেষককে অতি সহজেই পরবর্তী গবেষণার দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তাই গবেষক সঠিক ও যথার্থ পূর্বানুমান যাচাইয়ের মাধ্যমে 

পরবর্তীতে কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করলে সমাজের উপকার হবে, তার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। পূর্বানুমান যাচাই অবশ্যই গবেষণা পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

৫. অন্যান্য :  i. তত্ত্ব উন্নয়নে পূর্বানুমান যাচাই প্রত্যক্ষ সহায়তা দান করে। 

ii. এর সাহায্যে একমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরেই অনুসন্ধান কার্য চালানো যায় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকে বর্জন করা সম্ভব হয়। 

iii. একটি পূর্বানুমান যাচাই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের দিক নির্দেশ করে এবং যথেষ্ট পরিমান পূর্ব অভিজ্ঞতার উপরে প্রতিষ্ঠিত হলে অনুসন্ধানের কার্যক্রমকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যেকোনো সামাজিক ও সংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণা কাজে পূর্বানুমান প্রয়োগ এবং যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি গবেষণার ক্ষেত্রে তত্ত্ব ও অনুসন্ধানের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য অপরিহার্য বিধায় পূর্বানুমান বিচারের যৌক্তিতা গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অনুমান যাচাইয়ের যৌক্তিকতা আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অনুকল্প যাচাইয়ের যৌক্তিকতা কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner