বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর।

বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর
বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর

বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর

উত্তর ভূমিকা : সমাজ নিয়ত পরিবর্তনশীল। এ পরিবর্তনশীলতার সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য রাষ্ট্রীয় নানা মৌলিক বিষয়ে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। সংবিধানের সংশোধনের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশেও এ পর্যন্ত সংবিধানে ১৬ বার সংশোধনী আনা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি : বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। একে সাধারণ আইন প্রণয়ন পদ্ধতিতে সংশোধন করা যায় না; সংশোধন করা যায় বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে। 

সংবিধানে বিধান রয়েছে যে, জাতীয় সংসদ সংবিধানের যেকোনো বিধানকে সংশোধন করতে পারে। তবে এজন্য নিম্নলিখিত ২টি শর্ত পালন করতে হবে। 

প্রথম শর্ত : সংবিধান সংশোধনকে কোনো বিলেই সংসদের বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হবে না, যদি না উক্ত বিলের দীর্ঘ শিরোনামে সংবিধানের কোনো বিধান সংশোধন করার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ উক্ত বিলের শিরোনামে অবশ্যই সংবিধানে সংশোধন করার বিষয়টি স্পষ্টত উল্লিখিত থাকবে।

দ্বিতীয় শর্ত : সংবিধান সংশোধনের বিল সংসদের মোট সদস্যের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হবে। এভাবে কোনো বিল গৃহীত হলে সেই বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য তার নিকট পেশ করা হবে। 

সংবিধানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “এরূপ কোনো বিলই সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট পাঠানো হয় তখন তিনি সাত দিনের মধ্যে বিলটিতে সম্মতি দান করবেন। তিনি তা করতে অসমর্থ হলে উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বিলটিতে সম্মতি দান করেছেন বলেন গণ্য করা হবে এবং বিলটি বিধিবদ্ধ ও কার্যকর হবে।

উল্লিখিত ২৮টি শর্ত ছাড়াও সংবিধান সংশোধনের একটি বিশেষ দিক রয়েছে। রাষ্ট্রপতির পনেরতম সংশোধন আদেশে (১৯৭৮ সাল) বলা হয়, সংবিধানের প্রস্তাবনা, রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি এবং রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ও ক্ষমতা সম্পর্কে কোনো সংশোধন প্রস্তাব সংসদ কর্তৃক গৃহীত হয়ে রাষ্ট্রপতির নিকট সম্মতির জন্য উপস্থাপিত হলে রাষ্ট্রপতি এক গণভোটের আয়োজন করবেন। 

নির্বাচন কমিশন এরূপ গণভোট পরিচালনা করবে। এরূপ গণভোটে সংশোধনের সপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট প্রদত্ত হলে রাষ্ট্রপতি গণভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার তারিখে বিলে সম্মতি দিয়েছেন বলে গণ্য করা হবে। 

তারপর বিলটি বিধিবদ্ধ ও কার্যকর হবে। আর গণভোটে বিলটি বিপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট প্রদত্ত হলে রাষ্ট্রপতি উক্ত তারিখে বিলে সম্মতি দানে বিরত রয়েছেন বলে গণ হবে। ফলে বিলটির আর বিধিবদ্ধ ও কার্যকর হবে না । 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের সংবিধান একটি বিধিবদ্ধ দলিল হলেও এর সংশোধনী একটি অবধারিত বিষয়। তাই এদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময়ই তা পরিবর্তনের পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। 

উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসারে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হয়ে থাকে । বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জীবনে এবং সামাজিক ক্ষেত্রে সংবিধানের সংশোধনীসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ