দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সংক্ষেপে লেখ।

দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর
দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সংক্ষেপে লেখ ৷
  • অথবা, দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার উল্লেখ কর।

উত্তর ভূমিকা : বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বহুল ব্যবহৃত প্রত্যয় হলো দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা; দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরি প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াকে গ্রামীণ উন্নয়নের অবস্থার নির্ণায়ক একটি মানসম্মত প্রক্রিয়াও বলা যেতে পারে। 

একটি গুণগত পদ্ধতি হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতি সংযোজিত হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নের নতুন কল্পনা যাচাই করা হয়। দ্রুত সমীক্ষার পরিচালনার জন্য বহু বিষয়ের পণ্ডিতদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার : বর্তমানে সামগ্রিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয় দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বর্তমান বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত একটি ধারণা। 

দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা যে কোনো গ্রামের বা শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের পূর্বে এর সাফল্য ব্যর্থতার সমীক্ষায় ব্যবহৃত হয় । এছাড়া এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :

১. গবেষণার বিষয়বস্তু নির্বাচন : গবেষণা ও উন্নয়নের বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। বহু বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি দল, বিভিন্ন কল্পনা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে, 

কোনো সমস্যা অধ্যয়ন করতে কিংবা কোনো বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা পরিচালনার পদ্ধতি নির্ধারণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

২. প্রশ্নমালা প্রণয়ন : দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য উপযোগিতা হলো এ পদ্ধতির দ্বারা প্রশ্নমালা প্রণয়ন করা অত্যন্ত সহজ । শুধু তাই নয়, নমুনার আকার ও স্থান নির্ধারণে এবং রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। 

এ পদ্ধতি কোনো বিষয়ে সংগৃহীত তথ্যসমূহের সংযোজনের কাজেও সহায়তা প্রদান করতে পারে। কখনো কখনো ক্লাস চেক করার ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

৩. প্রজেক্ট ডিজাইন, বাস্তবায়ন ও ফলো-আপ : দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, উন্নয়নের সম্ভাবনা ব্যাখ্যা এবং প্রকল্পের ডিজাইন এবং তা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে গবেষণা করা সম্ভব তা নির্ধারণেও এ পদ্ধতি সহায়তা করে। কোনো প্রকল্পে মনিটারিং এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি সহায়তা করে ।

8. সিদ্ধান্ত গ্রহণ : সমস্যা নির্ধারণ এবং যথাযথ কার্যাবলি সম্পাদনের পর একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গবেষণার প্রধানতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। 

দ্রুত গ্রামীণ পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। এ পদ্ধতি গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুকূলে যুক্তি উপস্থাপন করে ।

৫. সাধারণীকরণ' : এ পদ্ধতি সাধারণীকরণেরও সহায়তা করে কিংবা সাধারণীকরণের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে থাকে । এভাবে গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণের ক্ষেত্রে যেসব কৌশল অনুসরণ করা হয় তার সীমাবদ্ধতাকে সুস্পষ্ট করে তোলে । 

৬. পরিকল্পনা বাস্তবায়ন : প্রস্তাবিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা ব্যবহার করা হয়। বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, উন্নয়নের সম্ভাব্যতা, ব্যাখ্যা এবং বাস্তবায়নর জন্য এ পদ্ধতি সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান করে ।

৭. জরিপ ও গবেষণা পদ্ধতি : কোনো বিষয়ে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ বা গবেষণা পদ্ধতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এমনকি কোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতির মান উন্নয়নে কিংবা অনুসৃত পদ্ধতির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে 

এ পদ্ধতি কোনো বিষয়ে সংগৃহীত তথ্যসমূহের সংযোজনের কাজেও সহায়তা প্রদান করতে পারে। কখনো কখনো ক্রস চেক করার ক্ষেত্রে, প্রশ্নমালার প্রধান বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রাম ও শহরের মধ্যকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করাই হলো দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের গ্রামীণ উন্নয়নের বিকল্প নেই। 

কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক গঠন, আর্থসামাজিক বৈশিষ্ট্য, গবেষণার পদ্ধতি নির্ধারণ, বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান এবং সর্বোপরি আধুনিক কল্যাণকামী ভিত্তি রচনা করার জন্য দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের জন্য এ পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দ্রুত গ্রামীণ সমীক্ষার ব্যবহার উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ