মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর।

মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর
মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর

মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর

উত্তর ভূমিকা : মৌলিক গবেষণা জ্ঞান অর্জন এবং তত্ত্ব সৃষ্টির বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যানুসন্ধান প্রক্রিয়া। আর ফলিত গবেষণা সমস্যা সমাধান ও কর্মসূচি বাস্তবায়নমূলক পথনির্দেশিকা আবিষ্কার প্রক্রিয়া। 

তবে সামাজিক গবেষণায় এ দুটি প্রত্যয় কোনো না কোনোভাবে অনুসৃত হয়। জ্ঞান সৃষ্টির প্রচেষ্টায় সামাজিক গবেষণায় এসব কার্যক্রম অত্যন্ত গঠনমূলকভাবে ভূমিকা পালন করে ।

● মৌলিক ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য : উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক হলো সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা এবং জ্ঞানের নতুন নতুন শাখা সম্প্রসারণ করা। নিম্নে মৌলিক ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো :

পার্থক্যের বিষয়

১. সংজ্ঞাগত

২. উদ্দেশ্যগত

৩. পরিধিগত

৪. পদ্ধতিগত

মৌলিক গবেষণা

প্রধানত জ্ঞান সৃষ্টির জন্য যে গবেষণা পরিচালিত হয় তাকে মৌলিক গবেষণা বলে।

নতুন তত্ত্ব সৃষ্টি এবং পুরানো তত্ত্বের ফলিত গবেষণা।

যে গবেষণা বাস্তব কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় তাকে ফলিত গবেষণা বলা হয়।

গবেষণার বিভিন্ন সমস্যার কার্যকারণ সম্পর্ক জানা কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা, এ ধরনের | এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য

মৌলিক গবেষণার বিষয়বস্তু বা পরিধি হলো | ফলিত গবেষণার বিষয়বস্তু বা পরিধি হলো মাঠ অনেকটা আচরণ অনুসন্ধান ।

মৌলিক গবেষণা সাধারণত পরীক্ষামূলক পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং উপাত্তের যথার্থতা যাচাই করে।

বাস্তবায়নগত মৌলিক গবেষণা বিজ্ঞানের সূত্রগুলো সৃষ্টি করে এবং বিজ্ঞানকে যথার্থরূপে গড়ে তোলে যাতে বিজ্ঞান নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির প্রয়াস পায় । পর্যায়ে জ্ঞানের অনুশীলন ঘটানো এবং সমস্যা সমাধান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

ফলিত গবেষণা সাধারণত উপাত্তের ফলাফল বাস্তবে রূপদানের চেষ্টা করে এবং জ্ঞানের উপযোগিতা সৃষ্টি করে। এটি জরিপ পদ্ধতির অনুসারী যা কর্মসূচি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করে।

ফলিত গবেষণা বাস্তবায়ন ও উদ্ভাবনমূলক দর্শনে বিশ্বাস করে। যা সঠিক ভূমিকার ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উল্লিখিত পার্থক্য মৌলিক ও ফলিত গবেষণায় আমরা বিশেষভাবে লক্ষ করি । মৌলিক গবেষণা বিশেষভাবে সামাজিক বিজ্ঞানের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। আর ফলিত গবেষণা সমাজকল্যাণ বা সমাজকর্মের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয় অথবা সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির ভিত্তিতে এর ভিত্তি রচিত হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার পার্থক্য আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ