নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন বলতে কী বুঝ।

নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি
নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি

নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি

  • অথবা, নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন বলতে কী বুঝ?
  • অথবা, নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কাকে বল?

উত্তর ভূমিকা : যে কৌশলের সাহায্যে সমগ্রক থেকে প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা বাছাই করার পর ঐ নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে যাচাই করা হয় এবং সমগ্রক সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় তাকে নমুনায়ন বলে। 

মূলত নমুনায়ন হলো একটি কৌশল। নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন হলো নমুনা নির্বাচনের হাতিয়ার, যার মাধ্যমে সমগ্রকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায় ।

নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন : নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন সামাজিক গবেষণায় একটি বহুল ব্যবহৃত কৌশল। এ পদ্ধতিতে নমুনা নির্বাচনের সময় গবেষক কতজনের নমুনা নির্বাচন করবেন, শ্রেণি ব্যাপ্তি কী হবে তা নির্ধারণ করে গবেষণা কাজ পরিচালনা করেন । 

কেননা এ পদ্ধতিতে সমগ্রককে কোনো একটি ক্রম অনুসারে সাজিয়ে সমব্যাপ্তিতে নমুনা এককসমূহ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি সুনির্দিষ্ট ব্যাপ্তিতে দৈবচয়িত পন্থায় নির্বাচনের কৌশলকে নিয়মতান্ত্রিক দৈবচয়িত নমুনা বলা হয় । 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনো একটি গ্রামের ছোট একটি পাড়ায় বসবাসরত লোকের সংখ্যা ১০০। গবেষক এখান থেকে ২৫ জনের একটি নমুনা নির্বাচন করতে চান। এক্ষেত্রে ১০০ জন লোকের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে বা ১০০ জন লোককে ক্রমিক নম্বরে চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে ।

 শ্রেণি ব্যাপ্তি হবে (১০০ + ২৫) = ৪ । অতএব, দেখা গেল প্রথম নমুনা এককটি হলো ৪ ক্রমিকধারী একক বা লোক । এখন শ্রেণি ব্যবধান অনুযায়ী প্রতি ৪ সদস্য অন্তর, অর্থাৎ ৪৬তম, ৫০তম ইত্যাদি এককগুলো নমুনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। 

এভাবে ২৫ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হলে তা হবে নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন। অতএব বলা যায়, নমুনা নির্বাচন করতে করতে তালিকার শেষ এককে চলে গেলে আবার তালিকার শুরুতে চক্রাকারে চলে আসতে হবে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণায় নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন পদ্ধতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নমুনায়নের প্রকারভেদগুলো একেক নমুনার ক্ষেত্রে কার্যকরী নমুনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

এ পদ্ধতিতে সমগ্রক থেকে প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা বাছাই করার পর ঐ নমুনা পরীক্ষা করার মাধ্যমে সমগ্রক সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিয়মতান্ত্রিক নমুনায়ন কাকে বল। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ