পরিমাপের পর্যায়গুলো কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পরিমাপের পর্যায়গুলো কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পরিমাপের পর্যায়গুলো সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

পরিমাপের পর্যায়গুলো কী
পরিমাপের পর্যায়গুলো কী

পরিমাপের পর্যায়গুলো কী

  • অথবা, পরিমাপের পর্যায়গুলো সংক্ষেপে বর্ণনা কর। 
  • অথবা, পরিমাপের পর্যায় বা স্তরগুলো উল্লেখ কর ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তথ্য পরিমাপ। এটি এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বস্তু, ঘটনা বা বিষয়কে যাচাই করা হয়। 

পরিমাপ বিষয়টি একটি গাণিতিক বিষয় হলেও সামাজিক গবেষণায় এর বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পরিমাপযোগ্য বিষয়ের ন্যায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক তথ্যও পরিমাপযোগ্য। তাই সামাজিক গবেষণায় তথ্য পরিমাপের বিভিন্ন স্তর বা ধাপ রয়েছে।

পরিমাপের পর্যায় বা ধাপসমূহ : সামাজিক বিজ্ঞানে তথ্য পরিমাপ বলতে কোনো তথ্য বা ঘটনাকে অন্য কোনো মানদণ্ডে তুলনা করা হয় । এ তথ্য পরিমাপের কতকগুলো সুনির্দিষ্ট স্তর বা ধাপ রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. নামসূচক পরিমাপ বা স্কেল : স্কেল হচ্ছে পরিমাপের বিশেষ কৌশল। সাধারণত পরিমাপের যে পদ্ধতিতে বস্তু বিষয় বা অবস্থার নাম বা স্তরের ভিত্তিতে শ্রেণীকরণ করা হয় তাকে নামসূচক পরিমাপ বা স্কেল বলে। নামসূচক পরিমাপ হচ্ছে নামকরণ বা স্তরায়ন প্রক্রিয়া । 

বিভিন্ন গুণাত্মক বিষয় যেমন— বস্তু, ব্যক্তি বা ঘটনা বা উত্তরগুলোকে সমরূপতার ভিত্তিতে শ্রেণীকরণ করা হয় এবং সাধারণভাবে তাদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয় যাকে নামসূচক পরিমাপ বলে ।

২. ক্রমসূচক পরিমাপ বা স্কেল : সাধারণত যে পরিমিতিমাপক পদ্ধতিতে কোনো উপাত্ত বা তথ্যসারিকে নির্দিষ্ট ক্রমসূচক মান দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে ক্রমসূচক পরিমাপ বা স্কেল বলে। 

অন্যকথায়, যে কৌশল বা পদ্ধতিতে কতকগুলো চলককে তাদের অবস্থানগত ক্রম অনুযায়ী সাজানো হয় তাকে ক্রমসূচক পরিমাপ বলে। সামাজিক গবেষণায় ব্যবহৃত গুণাত্মক বিষয়কে যখন সাধারণভাবে 

শ্রেণীকরণ করে প্রকাশ বা বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয় না তখনই ক্রমসূচক স্কেলের আবশ্যকতা দেখা দেয় । এ পদ্ধতিতে বিষয়গুলোকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুণের ভিত্তিতে ক্রম অনুযায়ী সাজানো হয় । 

৩. ব্যাপ্তিসূচক অনুপাত বা স্কেল : যে মাপক পদ্ধতিতে প্রতিটি তথ্যের সংখ্যাসূচক মানের সাহায্যে পরিমাণগত একক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় তাকে ব্যাপ্তিসূচক পরিমাপ বলে। 

অন্যকথায়, যদি কোনো পর্যবেক্ষণকে দক্ষতার ভিত্তিতে অর্থাৎ একটি অপরটি থেকে বৃহত্তর আকারে সাজানো হয় এবং একটি থেকে অপরটির পার্থক্য সুস্পষ্ট হয় আর এ পার্থক্যের পরিমাণ সবসময়ই অপরিবর্তনীয় থাকে তখন এ ধরনের পরিমাপকে ব্যাপ্তিসূচক পরিমাপ বলা হয় ।

৪. অনুপাতসূচক পরিমাপ বা স্কেল : পরিমাপের চতুর্থ পর্যায় বা স্কেল হলো অনুপাতসূচক পরিমাপ। যে পরিমাপ পদ্ধতিতে বিভিন্ন চলক যেমন— ওজন, সময়, দৈর্ঘ্য প্রভৃতির মান নিরপেক্ষ '০' (শূন্য) থাকে 

এবং সংশ্লিষ্ট চলকগুলোকে সমান ব্যবধান বা বিরতিতে ক্রমানুসারে শ্রেণীকরণ করা হয় তাকে অনুপাতসূচক পরিমাপ বা স্কেল বলে। 

এ ধরনের সূচকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যখন দুটি চলকের মধ্যে অনুপাত নির্ণয় করা হয় তখন অনুপাত মানটি চলক দুটি হতে ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করে। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পরিমাপের উল্লিখিত পর্যায়গুলোর প্রতিটিই সামাজিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মধ্যে নামসূচক পরিমাপটি গবেষণায় সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। 

এছাড়া ক্রমসূচক ও ব্যাপ্তিসূচক অনুপাতও মোটামুটি সঠিক মান প্রকাশ করে। আর অনুপাতসূচক পরিমাপ পর্যায়টি সুনিশ্চিত মান প্রকাশ করে বলে এটিকে শ্রেষ্ঠ মাপক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পরিমাপের পর্যায়গুলো কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পরিমাপের পর্যায় বা স্তরগুলো উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ