পরিমাপ কাকে বলে

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পরিমাপ কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পরিমাপ কাকে বলে।

পরিমাপ কাকে বলে
পরিমাপ কাকে বলে

পরিমাপ কাকে বলে

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে পরিমাপ। এটি এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বস্তু, ঘটনা বা বিষয়কে যাচাই করা হয়। 

পরিমাপ বিষয়টি একটি গাণিতিক বিষয় হলেও সামাজিক গবেষণায় এর বহুল ব্যবহার লক্ষণীয় । প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পরিমাপযোগ্য বিষয়ের ন্যায় সামাজিক অবস্থাও পরিমাপযোগ্য । 

পরিমাপ : সাধারণত পরিমাপ বলতে বুঝায় কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ের মানদণ্ড যাচাই করা। পরিমাপ হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো সংখ্যাতাত্ত্বিক বিষয় বা অন্য কোনো প্রতীক বা ঘটনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাস্তবভিত্তিক উপাদানে বিভক্ত করা হয়। 

সামাজিক বিজ্ঞানে পরিমাপ বলতে কোনো ঘটনাকে অন্য কোনো মানদণ্ডে তুলনা করা হয় । পরিমাপ প্রক্রিয়াটি মূলত একটি গাণিতিক বিষয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে যেভাবে পরিমাপকে বুঝানো হয়ে থাকে সেভাবে সামাজিক বিজ্ঞানসমূহে বুঝানো হয় না। 

সামাজিক বিজ্ঞানীদের যুক্তিতে সামাজিক অবস্থা ও ব্যবস্থা পরিমাপযোগ্য । একজন গবেষক গবেষণার সমস্যা নির্বাচন করার পরপরই তার গবেষণাকর্মের জন্য পরিমাপ নির্ধারণ করেন। 

গবেষণা প্রকল্প যাচাইয়ে চলকের পরিমাপ করা প্রয়োজন হয়। এছাড়া সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত বয়স, শিক্ষা, মর্যাদা, আচরণ, অবস্থা, মনোভাব দৃষ্টিভঙ্গি প্রভৃতি বিষয়সমূহ পরিমাপের সাহায্যে শ্রেণিবিন্যস্ত ও তুলনা করা সম্ভব ।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা :

ই. আর. বেবি (E. R. Babbie) বলেন, “পৃথিবীতে যা কিছু অস্তিত্বশীল তাই পরিমাপ করার উপযোগী।”

সি. এফ. ন্যাকমিয়াস ও ডি. ন্যাকমিয়াস (C. F. Nachmias & D. Nachmias) বলেন, “পরিমাপ হচ্ছে সংখ্যার নির্দিষ্টকরণ অথবা অন্যান্য প্রতীক যা নিয়ম অনুসারে অভিজ্ঞতালব্ধ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।”

অ্যান্থনি ওয়ালশ (Anthony Walsh) বলেন, “পরিমাপ হচ্ছে নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে পর্যবেক্ষণ সংখ্যা আরোপের প্রক্রিয়া।”

এস. এস. স্টিভেনস (S. S. Stevens ) পরিমাপের সংজ্ঞায় বলেন, "Measurement may be viewed as a procedure in which one assigns numerical numbers or other symbols to empirical properties according to rules". 

অর্থাৎ, পরিমাপ একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে যার মাধ্যমে কেউ সংখ্যাতাত্ত্বিক বিষয়, সংখ্যা বা অন্য কোনো প্রতীককে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাস্তবভিত্তিক উপাদানে বিভক্ত করতে পারে ।

ক্যাম্পবেল (Champbel) বলেন, “পরিমাপ হলো কোনো নিয়মানুসারে বস্তু বা ঘটনায় সংখ্যা আরোপ করা।”

বালক ও বালক (Blalock & Blalock) বলেন, “পরিমাপ হলো কোনো অবস্থার পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশে প্রকৃত চলক হিসেবে বিভিন্ন সংখ্যা নির্ধারণ যার মাধ্যমে সন্নিবেশিত সংখ্যাসমূহের অবস্থান প্রতিফলিত হয় ।”

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পরিমাপ মূলত এক ধরনের তুলনা। পরিমাপের বিষয়টি সংখ্যাতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের বিষয় হলেও সামাজিক গবেষণায় পরিমাপ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। 

বিশেষ করে সামাজিক গবেষণায় সংগৃহীত তত্ত্বসমূহ বিশেষ মানদণ্ডের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়। মূলত আধুনিক সমাজবিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় সমাজ গবেষণায় পরিমাপ একটি স্বীকৃত মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পরিমাপ কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পরিমাপ কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ