অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

  • অথবা, অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
  • অথবা, অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

উত্তর ভূমিকা : সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষ একত্রে মিলেমিশে বাস করলেও সময়ের বিবর্তনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয় । 

এরূপ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ সংগঠিত হয়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলে। 

সময়ের প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিক সংগঠনের দোষত্রুটির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কাঠামোতে অনানুষ্ঠানিক প্রশাসনের আবির্ভাব ঘটেছে।

অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য : বর্তমান সময়ে আনুষ্ঠানিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় অনানুষ্ঠানিক সংগঠন কার্যকর রয়েছে। 

প্রায়শই আনুষ্ঠানিক সংগঠনের অকার্যকারিতার কারণে অনেক কাজ অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে । নিম্নে অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :

১. সুনির্দিষ্ট কাঠামোর অভাব : সাধারণত অনানুষ্ঠানিক সংগঠনে সুনির্দিষ্ট কাঠামোর অভাব পরিলক্ষিত হয়। ফলে এমন সংগঠনে নিয়মিত কর্মীবাহিনীর উপস্থিতিও লক্ষ করা যায় না। এসব সংগঠনের কর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়েই কাজ করে থাকেন।

২. সার্বক্ষণিক কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি : অনানুষ্ঠানিক সাংগঠনিক কাঠামোর সার্বক্ষণিক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় না।

 এখানে সময় ও প্রয়োজন অনুসারে কর্তৃপক্ষের আবির্ভাব ঘটে। কাজ সম্পাদিত হওয়ার পর এসব কর্তৃপক্ষের বিলোপসাধন ঘটে ।

৩. দৈনন্দিন অফিসহীনতা : আনুষ্ঠানিক সংগঠনের মতো অনানুষ্ঠানিক সংগঠনে কোনো দৈনন্দিন অফিসের কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয় না। 

এসব সংগঠনে আনুষ্ঠানিক সংগঠনের মতো দৈনন্দিন কার্যাবলি পরিচালিত হয় না। এখানে কল্যাণমুখী ও জনকল্যাণমূলক কাজ অধিক সম্পাদিত হয়।

৪. বেতনভুক্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতি : যেসব সংগঠন অনানুষ্ঠানিক হিসেবে পরিচিত ঐসব সংগঠনে পরিচালনা কার্যক্রমের জন্য কোনো বেতনভুক্ত কর্মচারী কাঠামো নেই। 

সংগঠনের প্রত্যেকেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে থাকেন। তারা ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে সমাজ ও মানবকল্যাণের প্রতি অধিক মনোযোগ দিয়ে থাকেন।

৫. জনকল্যাণমুখিতা : সাধারণত অনানুষ্ঠানিক সংগঠনসমূহ কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় না । প্রায় সব অনানুষ্ঠানিক সংগঠনই সমাজকল্যাণ ও জনসেবার মহান লক্ষ্যে পরিচালিত হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অনানুষ্ঠানিক সংগঠন প্রশাসনিক দিকের চেয়ে মানবিক দিকসমূহের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। 

আনুষ্ঠানিক অফিসের অভাব, সার্বক্ষণিক কর্তৃপক্ষের অভাব প্রভৃতি সীমাবদ্ধতা থাকলেও অনানুষ্ঠানিক সংগঠন মানুষের সৃজনশীল গুণাবলির বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অনানুষ্ঠানিক সংগঠনের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ