bangla data

বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য
বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

ক. দ্বিনিষেক কী?

খ.বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো?

গ. A ও B ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ ফুলের চিত্র আঁক ও বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো

ঘ. ফল ও বীজ সৃষ্টিতে A এবং B পরস্পর নির্ভরশীল — বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণু ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার সাথে মিলিত হওয়ার ঘটনাই হলো দ্বিনিষেক।

. বায়ুপরাগী ফুলের ৪টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ—

i. বায়ুপরাগী ফুল হালকা ও মধুগ্রন্থিহীন। 

ii. এসব ফুলে সুগন্ধ নেই ।

iii. এরা সহজেই বাতাসে ভেসে যেতে পারে। 

iv. এদের গর্ভমুণ্ড আঁঠালো ও শাখান্বিত।

.. চিত্র-A দ্বারা পুংস্তবক ও চিত্র-B দ্বারা স্ত্রীস্তবক চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ ফুলের চিহ্নিত চিত্র নিম্নে দেয়া হলো-

চিত্র: সম্পূর্ণ ফুলের চিহ্নিত চিত্র

. উদ্দীপকের চিত্র- A ও B দ্বারা যথাক্রমে পুং ও স্ত্রী স্তবককে বোঝানো হয়েছে। ফুলের এ দুটি অংশ ফল ও বীজ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পুংস্তবকের পরাগধানীতে পরাগরেণু তৈরি হয়। পরাগরেণু অঙ্কুরিত হওয়ার সময় এর নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে নালিকা নিউক্লিয়াস ও জনন নিউক্লিয়াস তৈরি করে। পরবর্তীতে জনন নিউক্লিয়াস থেকে পুংগ্যামেট তৈরি হয়। অন্য দিকে স্ত্রীস্তবকের অভ্যন্তরে থাকে ডিম্বক। 

ডিম্বকের ভেতর বিভিন্ন ধারাবাহিক ধাপের মাধ্যমে স্ত্রী গ্যামেট বা ডিম্বাণু তৈরি হয়। পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেট গ্যামেটোফাইটিক (n) পর্যায়ের কোষ। পরাগায়নের পর পুংগ্যামেট স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে। 

নিষিক্ত ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড অবস্থা প্রাপ্ত হয়, যা স্পোরোফাইটিক পর্যায়ের (2n) প্রথম কোষ। নিষেকের পর ডিম্বাণু ভ্রূণে এবং ডিম্বক বীজে পরিণত হয়। 

বীজ স্পোরোফাইটিক পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে, যা থেকে নতুন স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদের জন্ম হয়। উদ্দীপকের চিত্র A ও B না থাকলে পুং ও স্ত্রীগ্যামেট তৈরি হতো না, ফলে নিষেক ক্রিয়া ঘটত না এবং সৃষ্টি হতো না নতুন ফল ও বীজ ।

সুতরাং, সংক্ষিপ্ত এ আলোচনা থেকে সহজেই বোঝা যায়, উদ্দীপকের চিত্র A ও B নতুন ফল ও বীজ সৃষ্টিতে একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বায়ুপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ