অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো

অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো
অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো

ক. দ্বিনিষেক কাকে বলে?

খ. অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো ।

গ. উদ্দীপকের চিত্র P থেকে চিত্র Q সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো। 

ঘ. উদ্দীপকে চিত্র-Q. ও চিত্র-R এর মিলন পরবর্তী তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. প্রায় একই সময়ে দু'টি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণু (n) ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার (2n) সাথে মিলিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে দ্বি-নিষেক বলে।

. বৃদ্ধ মূত্র সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে। অমরা মাতৃ জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রুণ এবং মাতৃ-জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত করে। 

এই অমরার মাধ্যমে বিপাকের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ ভূণদেহ থেকে মাতৃদেহে অপসারিত হয়, যা মানবদেহের রেচন অঙ্গ বৃক্কের মতো কাজ করে।

. উদ্দীপকের চিত্র-p হচ্ছে স্ত্রী জনন মাতৃকোষ এবং চিত্র-Q হচ্ছে ভ্রূণথলি। গর্ভযন্ত্র, প্রতিপাদ কোষ এবং গৌণ নিউক্লিয়াসের সমন্বয়ে গঠিত হয় ভ্রূণথলি ।

গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে যেখানে স্ত্রীজনন মাতৃকোষ (2n) সৃষ্টি হয়। এ কোষটি মিয়োসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড (n) কোষ সৃষ্টি করে, যার মধ্যে নিচের কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি কোষ বিনষ্ট হয়ে যায়। 

জীবিত কোষটির নিউক্লিয়াস মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দু'টি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং ভূণথলির দু'মেরুতে অবস্থান নেয়। এরপর এ দু'টি নিউক্লিয়াসের প্রতিটি পরপর দু'বার বিভাজিত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে। 

পরবর্তীতে দুই মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস ভ্রূণথলির কেন্দ্রস্থলে এসে পরস্পর মিলিত হয়ে গৌণ নিউক্লিয়াস (2n) সৃষ্টি করে। দুই মেরুর নিউক্লিয়াসগুলো সামান্য সাইটোপ্লাজম ও হালকা প্রাচীর সহকারে কোষের সৃষ্টি করে। 

ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে। এদের মাঝের বড় কোষটিকে ডিম্বাণু এবং অন্য কোষ দু'টিকে সহকারি কোষ বলা হয়। গভযন্ত্রের বিপরীত বা ডিম্বকমূলের দিকের কোষ তিনটিকে প্রতিপাদ কোষ বলে। এভাবেই ভূণথলি সৃষ্টি হয়।

. উদ্দীপকের চিত্র-Q হলো ভ্রূণথলি, যার ভেতরে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় এবং চিত্র-R হলো পরাগরেণু, যা পরবর্তীতে অঙ্কুরিত হয়ে দুটি পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু সৃষ্টি করে। চিত্র-Q ও চিত্র-R এ বিদ্যমান ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন হলো নিষেক। নিষেকের গুরুত্ব তথা তাৎপর্য অপরিসীম। আম, জাম,

নিষেকের পর ডিম্বকগুলো বীজে এবং গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশ রক্ষা করে। বীজ সৃষ্টি না হলে অধিকাংশ পুষ্পক উদ্ভিদই হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যেত। 

আবার উদ্ভিদের ফল এবং বীজের উপরই খাদ্যের জন্য প্রাণিকুল, বিশেষ করে মানুষ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। আমরা কাঁঠাল, লিচু, বেল, ধান, গম, ভুট্টা যা কিছুই খেয়ে থাকি তা সবই নিষেক ক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। 

আবার নিষেক ক্রিয়া না ঘটলে উদ্ভিদসমূহ হ্যাপ্লয়েড (n) অবস্থা হতে পুনরায় ডিপ্লয়েড (2n) অবস্থায় ফিরে আসতে পারত না। ফলে প্রজাতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটে যেত। 

তাই, চিত্র-Q ও চিত্র-R এ বিদ্যমান ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন তথা নিষেক পরবর্তী তাৎপর্য বা গুরুত্ব অপরিসীম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অমরা কীভাবে মানবদেহের রেচন অঙ্গের মতো কাজ করে ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ