মধুগ্রন্থি ভূমিকা লেখো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো

মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো
মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো

মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো

ক. জনন বলতে কী বোঝ?

খ.  মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো।

গ. উদ্দীপকের R অংশটির সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

ঘ. নিষেক ও দ্বিনিষেক প্রক্রিয়ায় P, Q, R ও S অংশের অংশগ্রহণ কীভাবে সম্পন্ন হয়?

প্রশ্নের উত্তর

. যে প্রক্রিয়ায় কোন জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাই জনন ।

. মধুগ্রন্থি থেকে মধু নিঃসৃত হয়। পতঙ্গ বা প্রাণী মধু খেতে ফুলের উপর ঘুরে বেড়ায়। সেই সময়ে ঐ ফুলের পরাগরেণু বাহকের পায়ে লেগে যায়। 

এই বাহকটি অন্য ফুলে গিয়ে বসলে তার গর্ভমুণ্ডে পরাগ লেগে যায়। ফলে পরাগায়ন ঘটে। এভাবে মধুগ্রন্থি পরাগায়নে ভূমিকা রাখে।

. উদ্দীপকে R অংশটি হলো ডিম্বাণু এবং তার দুই পাশে দুটি সহকারি কোষ । নিচে ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো-

ভ্রূণপোষক কলায় ডিম্বকরন্ধ্রের কাছাকাছি একটি কোষ আকারে সামান্য বড় হয়। এ কোষটি বিয়োজন বিভাজনের মাধ্যমে চারটি হ্যাপ্লয়েড কোষ । সৃষ্টি হয়। 

সর্বনিম্ন কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি কোষ নষ্ট হয়ে যায়। এই কোষটি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ভ্রূণথলিতে পরিণত হয়। কোষটির নিউক্লিয়াস বিভক্ত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। 

নিউক্লিয়াস দুটি ভ্রূণথলির দুই মেরুতে অবস্থান নেয়। এরপর নিউক্লিয়াস দুটি দুবার করে বিভাজিত হয়ে প্রতি মেরুতে চারটি করে নিউক্লিয়াস তৈরি করে। 

প্রতি মেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে এসে ডিপ্লয়েড গৌণ নিউক্লিয়াস তৈরি করে। মেরুর নিউক্লিয়াসগুলো সামান্য সাইটোপ্লাজম সহযোগে কোষ সৃষ্টি করে। 

ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের তিনটি কোষকে গর্ভমুণ্ড বলে। এর মাঝের কোষটি আকারে বড় হয়। এটিই ডিম্বাণু এবং তার সহযোগী দুটি কোষকে সহকারি কোষ বলা হয় এভাবেই ভ্রূণথলিতে ডিম্বাণু সৃষ্টি হয় ।

. উদ্দীপকে P ও Q হলো দুটো পুংজননকোষ এবং R ও S হলো ডিম্বাণু ও গৌণ নিউক্লিয়াস

পরাগায়নের ফলে পরাগরেণু গর্ভপত্রের গর্ভমুণ্ডে পতিত হয়। এরপর পরাগনালিকা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে গর্ভদণ্ড ভেদ করে এবং কিছু তরল পদার্থ শোষণ করে স্ফীত হয়ে উঠে। এক সময় এ স্ফীত অগ্রভাগ ফেটে দুটি পুংজনন কোষ ভ্রূণথলিতে মুক্ত হয়।

এর একটি ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় এবং জাইগোট সৃষ্টি করে। অপর, পুংজনন কোষটি গৌণ নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড (3n) সস্য কোষ সৃষ্টি হয়  পুং জননকোষের সাথে ডিম্বাণুর মিলনে জাইগোট তৈরির প্রক্রিয়া হলো নিষেক। 

অপরদিকে, প্রায় একই সময়ে আরেকটি পুং জননকোষ এবং গৌণ নিউক্লিয়াসের মিলনে সস্য কোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া দ্বিনিষেক । 

এভাবেই নিষেক ও দ্বিনিষেক প্রক্রিয়ায় দুটি পুংজননকোষ, ডিম্বাণু ও গৌণ নিউক্লিয়াস অংশগ্রহণ করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মধুগ্রন্থির ভূমিকা লেখো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ