বায়োলজিক্যাল ক্লক কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বায়োলজিক্যাল ক্লক কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বায়োলজিক্যাল ক্লক কি

বায়োলজিক্যাল ক্লক কি
বায়োলজিক্যাল ক্লক কি

দিনের বেলা উদ্ভিদ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দেহের অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বায়ুমণ্ডলে বের করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটির হার বিভিন্ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ প্রভাবকের উপর নির্ভরশীল। কখনো কখনো প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর।

ক. অবাত শ্বসন কী?

খ. বায়োলজিক্যাল ক্লক কী? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি বাহ্যিক প্রভাবকের দ্বারা কীভাবে প্রভাবিত হয়- ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ করো। 

প্রশ্নের উত্তর

. অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে সংঘটিত শ্বসন প্রক্রিয়াই হলো অবাত শ্বসন ।

. কিছু উদ্ভিদে পুষ্প প্রস্ফুটনের জন্য দীর্ঘ সময় আলোর দরকার হয়। স্বল্প আলোক ঐসব উদ্ভিদে পুষ্প উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। যেমন: লেটুস, ঝিঙা। 

আবার, কিছু উদ্ভিদের (যেমন- চন্দ্রমল্লিকা) ক্ষেত্রে দীর্ঘ আলোকের কারণে পুষ্প উৎপাদন ব্যাহত হয়। উদ্ভিদে আলো- অন্ধকারের এই ছন্দই হলো বায়োলজিক্যাল ক্লক ।

. উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন। কিছু বাহ্যিক প্রভাবকের দ্বারা প্রস্বেদন প্রক্রিয়াটি প্রভাবিত হয়। নিচে প্রভাবকগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হলো-

i. তাপমাত্রা: তাপমাত্রা বাড়লে সহজেই পানি বাষ্পে পরিণত হয় বলে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। তাপমাত্রা কমে গেলে স্বাভাবিক নিয়েমেই প্রস্বেদনের হার কমে যায়।

ii. আপেক্ষিক আর্দ্রতা: আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম হলে বায়ু অসম্পৃক্ত

থাকে ও জলীয়বাষ্প গ্রহণ করে ফলে প্রস্বেদনের হার বাড়ে। কিন্তু আপেক্ষিক আর্দ্রতা 'অধিক হলে বায়ু সম্পৃক্ত হওয়ার ফলে, জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে প্রস্বেদনের হার কমে যায়।

iii. আলো: আলোর উপস্থিতিতে পত্ররন্ধ্র খুলে যায়, ফলে প্রস্বেদনের হার বৃদ্ধি পায় । কিন্তু অন্ধকারে পত্ররন্ধ্র বন্ধ থাকায় এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

iv. বায়ু প্রবাহ: বায়ু প্রবাহের ফলে সম্পৃক্ত বায়ু দূরে সরে যায়, পত্রসমূহ আন্দোলিত হয় ও পত্ররন্ধ্রে চাপ পড়ে। ফলে অধিক হারে জলীয়বাষ্প পত্ররন্ধ্র পথে বের হয়।

. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন। এ প্রক্রিয়ার উপরে সজীব উদ্ভিদ কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম অনেকাংশে নির্ভরশীল। নিম্নে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো-

প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদের জাইলেম বাহিকায় টান পড়ে। এই টানের ফলে উদ্ভিদের মূলরোম কর্তৃক শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত হয়। 

এ টানের ঘাটতি হলে পানি শোষণ কমে যাবে এবং খাদ্য প্রস্তুতসহ অনেক বিপাকীয় কার্যক্রম শ্লথ হয়ে যাবে। প্রস্বেদনের ফলে পাতার মেসোফিল টিস্যুতে ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় যা পানি শোষণে সাহায্য করে। 

উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পত্রফলক কর্তৃক,  শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে পাতার কোষগুলোর তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখে।

সুতরাং, উদ্ভিদের জৈবনিক ক্রিয়া সচল রাখতে উদ্দীপকে বর্ণিত প্রস্বেদনের গুরুত্ব অপরিসীম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বায়োলজিক্যাল ক্লক কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বায়োলজিক্যাল ক্লক কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ