BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো

BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো
BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো

ক. জৈবমুদ্ৰা কী?

খ. BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো। 

গ. 'X' চিহ্নিত খাদ্যগুলোর পরিপাক ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো ।

ঘ. উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডটি যথার্থ কিনা? বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. উচ্চশক্তি ধারণ করে এবং প্রয়োজনে অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি যোগায় এরকম শক্তিসমৃদ্ধ যৌগই হলো জৈবমুদ্ৰা ।

. শরীর সুস্থতা এবং স্থূলতার মান নির্ণয়ে BMI এবং BMR মানদণ্ড দুটি খুবই উপযোগী। BMI মানবদেহের গড়ন ও চর্বির একটি সূচক নির্দেশ করে। 

অপরদিকে, BMR পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশ করে। এছাড়া, BMI-এর মান দেহের ওজন ও উচ্চতার উপর নির্ভর করে। কিন্তু BMR-এর মান বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভাস ও শরীরের গঠনের উপর নির্ভর করে।

. উদ্দীপকের 'X' চিহ্নিত খাদ্যগুলো হলো মাছ, মাংস ও ডাল, যেগুলো আমিষজাতীয় খাবার। নিচে আমিষজাতীয় খাবারগুলোর পরিপাক ক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো-

লালায় কোনো প্রোটিওলাইটিক এনজাইম না থাকায় মুখে আমিষজাতীয় খাদ্যের কোনো পরিপাক হয় না। পাকস্থলিতে পাচকরসের নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেন HCI-র উদ্দীপনায় সক্রিয় পেপসিন নামক উৎসেচকে পরিণত হয়। 

পেপসিন অম্লীয় মাধ্যমে জটিল আমিষকে আর্দ্রবিশ্লেষণ করে প্রোটিওজ ও পেপটোনে পরিণত করে। এ অর্ধপরিপাককৃত খাদ্য এরপর অম্লীয় কাইমে পরিণত হয় এবং ধীরে ধীরে ডিওডেনামে প্রবেশ করে। 

পাকমণ্ড বা কাইম ডিওডেনামে প্রবেশ করলে অগ্ন্যাশয় থেকে একটি ক্ষারীয় পাচকরস নিঃসৃত হয়। এই পাচকরসে আমিষ পরিপাকের এনজাইমগুলো থাকে। 

যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস অম্লীয় অবস্থায় খাদ্যকে ক্ষারীয় করে পরিপাকের উপযোগী করে তোলে। অগ্ন্যাশয় রসে বিদ্যমান ট্রিপসিনের সাহায্যে আংশিক পরিপাককৃত আমিষ ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড এবং সরল পেপটাইডে পরিণত হয়। এরপর পরিপাককৃত আমিষের খাদ্য উপাদান ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিলাই দ্বারা শোষিত হয়।

. সুষম খাদ্যতালিকার উপর নির্ভর করে খাদ্য পিরামিড গঠন করা হয়। একটি আদর্শ খাদ্য পিরামিডে শর্করাকে নিচে রেখে পরিমাণগত দিক বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে শাকসবজি, ফলমূল, আমিষ এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য সাজানো হয়। অর্থাৎ একটি আদর্শ খাদ্য পিরামিডের সবচেয়ে নিচে থাকে শর্করা এবং সবচেয়ে উপরে থাকে স্নেহজাতীয় খাদ্য।

উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডটি লক্ষ করলে দেখা যায়, সবচেয়ে নিচে রয়েছে আমিষ এবং পর্যায়ক্রমে শর্করা, ফলমূল ও শাকসবজি এবং স্নেহজাতীয় খাদ্য রয়েছে। 

আদর্শ খাদ্য পিরামিডের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, নিচের থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি স্তরে খাদ্যের পরিমাণগত তারতম্য রয়েছে। উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডে 

আমিষের পরিমাণ বেশি কিন্তু শর্করা, ফলমূল ও শাকসবজির পরিমাণ কম। এছাড়া এই খাদ্য পিরামিডটি সুষম খাদ্যতালিকা অনুসারে গঠিত হয়নি ।

অতএব বলা যায় যে, উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডটি একটি আদর্শ খাদ্য পিরামিডের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই উদ্দীপকের খাদ্য পিরামিডটি যথার্থ নয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম BMI ও BMR এর মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ