বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন .

বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন
বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন

জীববিজ্ঞান শিক্ষক ক্লাসে জীবনের শ্রেণিবিন্যাস পড়ানোর সময় মানুষ ও কুনোব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম উল্লেখ করে এর লেখার নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করলেন।

ক. কুনোব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম কী?

খ. বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন? 

গ. উদ্দীপকের প্রাণীদের দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে কী ধরনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি মানবজীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? যুক্তিসহ মতামত দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

ক. কুনোব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Duttaphiryms melanostictus 

খ. বংশগতিবিদ্যায় জীবের তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জীবের বংশগতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায় তবে এ শাখায় বংশগতি সম্পর্কিত কোনো প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় না। 

এখানে জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় ।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি জীবই প্রাণী বলে তাদেরকে অ্যানিমেলিয়া জগতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর তাদের সমগোত্রীয় বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী | নির্দিষ্ট পর্বে সাজানো হয় । 

অতঃপর তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে শ্রেণি, বর্ণ, গোত্র ও গণে স্থাপন করা হয়। সবশেষে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের আলোকে তাদের ভিন্ন প্রজাতিভুক্ত করা হয়। 

এভাবে দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয় । উদ্দীপকের প্রাণীদ্বয়ের দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে এরূপ ধারাবাহিকতা রক্ষা না করলে তাদেরকে ভিন্ন প্রজাতিতে স্থাপন করা সম্ভব হয় না। 

ফলে তাদেরকে পৃথকভাবে সম্পূর্ণরূপে জানা যায় না । সুতরাং, উদ্দীপকের প্রাণীদ্বয়ের ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণে উপর্যুক্ত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি হলো জীবের শ্রেণিবিন্যাস। জীবের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দলে বিভক্তিকরণই হলো জীবের শ্রেণিবিন্যাস। মানবজীবনে শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব অপরিসীম। 

জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য মূলত এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা। কারণ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্ভিদের প্রায় চার লক্ষ ও প্রাণীর তের লক্ষ প্রজাতির নামকরণ ও বর্ণনা করা হয়েছে। 

এত প্রজাতির নাম ও বর্ণনা আলাদা করে মনে রাখা অসম্ভব। এছাড়াও কোন জীবটি উপকারি এবং কোনটি অপকারি তা জীবটি দেখে বোঝা যায় না। আবার কোন জীবটি মানব কল্যাণে অতীব প্রয়োজনীয় তাও সহজে জানা সম্ভব নয়। 

কিন্তু শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে কোনো জীবের দল, উপদল, বর্গ, শ্রেণি ইত্যাদি ভাগে শ্রেণিকরণ করা যায় বিধায় খুবই অল্প সময়ে জীবটি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ সম্ভব হয়। এর ফলে আমরা জীবের সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পেতে পারি। 

পাশাপাশি এর মাধ্যমে মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। 

এছাড়াও কোনো জীবের নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্ট হয়েছে কিনা কিংবা কোনো প্রজাতি বিলুপ্ত হলো কী না তাও শ্রেণিবিন্যাসের আলোকে লক্ষ করা সম্ভব। তাই বলা যায়, মানবজীবনে শ্রেণিবিন্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বংশগতি বিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেনযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ