রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো

রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো
রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো

রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো

ক. পিউরিন কী? 

খ. রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।

গ. চিত্র-R এ উল্লিখিত Q চিহ্নিত অংশটির গঠন ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ. চিত্র-S নির্ধারণে 'P' চিহ্নিত অংশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশ্লেষণ করো

 প্রশ্নের উত্তর

. DNA-এর এডিনিন ও গুয়ানিন নাইট্রোজেন বেস হলো পিউরিন। 

. থ্যালাসেমিয়া হলো রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ। এই রোগে লোহিত রক্তকণিকাগুলো নষ্ট হয়ে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই রোগ বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে। দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়- আলফা (c) ও বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া। 

. উদ্দীপকের চিত্র-R এ উপরে উল্লিখিত Q চিহ্নিত অংশটি হলো DNA অণু। নিচে এর গঠন ব্যাখ্যা করা হলো—

DNA দ্বিসূত্রক। দু'টি পলিনিউক্লিওটাইড সূত্র পরস্পরের সাথে লোহার সিঁড়ির মতো ডান দিকে প্যাচানো থেকে একটি ডাবল হেলিক্স গঠন করে। এ সিঁড়ির হাতল তৈরি হয় পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট শর্করা (ডি- অক্সিরাইবোজ), নাইট্রোজেনঘটিত বেস ও অজৈব ফসফেট দ্বারা। 

DNA-এর নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, থাইমিন ও সাইটোসিন। একটি সূত্রের এডিনিন অন্য সূত্রের থাইমিনের সাথে দু'টি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা (A=T) যুক্ত থাকে; আর গুয়ানিন অন্য সূত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা যুক্ত (GC) থাকে। 

হেলিক্সের প্রতিটি পূর্ণ ঘূর্ণন ৩৪Å দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। একটি পূর্ণ ঘূর্ণনের | মধ্যে ১০টি নিউক্লিওটাইড থাকে। তাই পার্শ্ববর্তী দু'টি নিউক্লিওটাইডের দূরত্ব ৩.৪Å। DNA ডাবল হেলিক্সের ব্যাস সর্বত্র ২০Å ।

. উদ্দীপকের P চিহ্নিত অংশটি হলো ক্রোমোসোম। মানবদেহে অটোসোম ও সেক্স ক্রোমোসোমের মধ্যে মূলত সেক্স ক্রোমোসোম S অর্থাৎ লিঙ্গ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে তা বিশ্লেষণ

করা হলো-

সেক্স ক্রোমোসোমের সংখ্যা দুটি, যার মধ্যে একটি X এবং অপরটি Y নামে পরিচিত। স্ত্রীলোকের ডিপ্লয়েড কোষে দুটি সেক্স ক্রোমোসোমই X ক্রোমোসোম, অর্থাৎ XX । কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে দুটির মধ্যে একটি X এবং অপরটি Y, অর্থাৎ XY। 

স্ত্রীলোকের ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু সৃষ্টির সময় যখন মিয়োসিস বিভাজন ঘটে তখন প্রতিটি ডিম্বাণু অন্যান্য ক্রোমোসোমের সাথে একটি করে X ক্রোমোসোম লাভ করে। 

অপরপক্ষে, পুরুষে শুক্রাণু সৃষ্টির সময় অর্ধেক সংখ্যক শুক্রাণু একটি করে X ক্রোমোসোম এবং অবশিষ্ট অর্ধেক শুক্রাণু একটি করে Y ক্রোমোসোম লাভ করে। 

ডিম্বাণু পুরুষের X বা Y বহনকারী যেকোনো একটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হতে পারে। ফলে জাইগোট দুটি X অথবা একটি Y ক্রোমোসোম বিশিষ্ট হতে পারে। 

দুটি X নিয়ে অর্থাৎ XX নিয়ে যে শিশু জন্মাবে সে হবে মেয়ে আর যে শিশু একটি X এবং একটি Y অর্থাৎ XY ক্রোমোসোম নিয়ে পৃথিবীতে আসবে সে হবে ছেলে ।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, s অর্থাৎ লিঙ্গ নির্ধারণে P অর্থাৎ ক্রোমোসোমের ভূমিকা অপরিসীম।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগ কোনটি? ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ