হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়

হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়
হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়

আরিফ সাহেব বাড়ি ফেরার পথে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন এবং রক্ত পরীক্ষা না করে একজন পেশাদার রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করেন। এতে কিছুদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন এবং ডাক্তার তার রক্তে এক বিশেষ ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ করেন এবং বলেন এ রোগের ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি।

ক. হরমোন কী?

খ. হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়? ব্যাখ্যা করো।

গ. আরিফ সাহেবের দেহে কী ধরনের লক্ষণ দেখা দেবে? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের রোগটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা— বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. মানবদেহ ও বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে নিঃসৃত রস যা দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাই হলো হরমোন।

. হাঙ্গরে অন্তঃনিষেক হয়। সাধারণত পানিতে বাস করে এমন প্রাণীদের বহিঃনিষেক হলেও হাঙ্গর তাদের ব্যতিক্রম। হাঙ্গরের স্ত্রীদেহের জননাঙ্গে নিষেক সংঘটিত হয়। সাধারণত শারীরিক মিলনের মাধ্যমে পুরুষ প্রাণী তার শুক্রাণু স্ত্রী জননাঙ্গে প্রবেশ করিয়ে এ ধরনের নিষেক ঘটায়।

. উদ্দীপকের আরিফ সাহেবের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি এইডস এ আক্রান্ত । উক্ত রোগে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

অতি দ্রুত রোগীর ওজন কমতে থাকে। এক মাসেরও বেশি সময়ব্যাপী একটানা জ্বর থাকে অথবা জ্বর জ্বর ভাব দেখা যায়। একমাস বা তারও বেশি সময় ধরে পাতলা পায়খানা হয়।

অনেকদিন ধরে শুকনো কাশি হতে থাকে। ঘাড় ও বগলে ব্যথা অনুভব হয়, মুখ-মণ্ডল খসখসে হয়ে যায়। মুখমণ্ডল, চোখের পাতা, নাক ইত্যাদি অঙ্গ হঠাৎ ফুলে যায় ও সহজে ফোলা কমে না। সারা দেহে চুলকানি হয় ।

. আরিফ সাহেব HIV ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। HIV ভাইরাসের সংক্রমণে AIDS হয়। এ রোগের এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই রোগটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা ।

বর্তমান বিশ্বে এইডস একটি মারাত্মক ঘাতক ব্যাধি। এই ভাইরাস মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় অনেক দিন থাকতে পারে। এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায় বলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়ে। 

জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এইডস রোগ প্রতিরোধে সকলের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত। 

সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে। রক্ত গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে HIV আছে কি না। 

অন্যের ব্যবহৃত ইনজেশনের সিরিঞ্জ, সূঁচ ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এছাড়াও এইডস প্রতিরোধে প্রত্যেকের করণীয় হলো সমাজের অন্য মানুষদের এইডস সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। সকলে সচেতন হলেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হাঙ্গরে কী ধরনের নিষেক হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ