গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়

গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়
গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়

গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়

ক. মেডুলা কী?

খ. গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়?

গ. চিত্র-A কে ছাঁকনির সাথে তুলনা করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. চিত্র- A বিকল হলে কীভাবে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? মতামত দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

. বৃক্কের ভেতরের গাঢ় কালচে রঙের অংশই হলো মেডুলা।

. রেনাল ধমনি থেকে সৃষ্ট অ্যাফারেন্ট আর্টারিওল ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকে প্রায় ৫০টি কৈশিক নালিকা তৈরি করে । 

এগুলো আবার বিভক্ত হয়ে সূক্ষ্ম রক্তজালিকার সৃষ্টি করে এবং বল আকৃতি গঠন করে। নেফ্রনের বোম্যান্স ক্যাপসুলের ভেতর এই একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি অঙ্গই হলো গ্লোমেরুলাস। গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে রক্ত থেকে পরিস্রুত তরল উৎপন্ন করে।

. উদ্দীপকের চিত্র-A হলো মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ রেচন অঙ্গ বৃক্ক। রেচন মানবদেহের 'একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহে বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থগুলো বাইরে নিষ্কাশিত হয়। 

বিপাক ক্রিয়ায় আমাদের দেহে যে সকল বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয় তা হলো— ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, লবণ, ক্রিয়েটিনিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। 

এগুলো রক্তের সাথে মিশে থাকে। বৃক্কের কার্যকরী একককে বলা হয় নেফ্রন। নেফ্রনের বোম্যান্স ক্যাপসুলের ভেতর থাকে একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গ্লোমেরুলাস । 

গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে। বিপাক ক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থসহ রক্ত যখন গ্লোমেরুলাসে আসে তখন রক্ত থেকে সক্রিয় ছাঁকন পদ্ধতিতে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থগুলো বোম্যান্স ক্যাপসুলের গহ্বরে প্রবেশ করে। 

ফলে রক্ত পরিশোধিত হয়। বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থগুলো পরবর্তীতে মূত্রের সঙ্গে বাইরে বের হয়ে আসে। যেহেতু বৃক্কের গ্লোমেরুলাস মূলত ছাঁকন পদ্ধতিতে রক্ত থেকে বর্জ্য বা দূষিত পদার্থগুলোকে অপসারণ করে তাই বৃদ্ধকে ছাঁকনির সাথে তুলনা করা হয় ।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র—A হলো বৃদ্ধ। বৃক্ক বিকল হলে একমাত্র প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেই এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। 

যখন কোনো ব্যক্তির বৃক্ক বিকল হয়ে পড়ে তখন কোন সুস্থ ব্যক্তির বৃক্ক তার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। তখন একে বৃদ্ধ সংযোজন বলে। বৃদ্ধ সংযোজন দুভাবে করা যায়, 

যথা— 

i. নিকট আত্মীয়ের বৃদ্ধ কিংবা 

ii. মূত ব্যক্তি বা ‘ব্রেন ডেড’ ব্যক্তির বৃক্ক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন । 

নিকট আত্মীয় বলতে বাবা, মা, ভাই, বোন, মামা, খালাকে বোঝায় । আবার মৃত ব্যক্তির বৃক্ক নিয়ে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়। মৃত ব্যক্তি বলতে ‘ব্রেন ডেড' বোঝায়। 

তাছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো মরণোত্তর বৃক্কদানের মাধ্যমে একজন বৃক্ক বিকল বা অকেজো রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভবপর হতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ বৃক্ক অকেজো রোগী বৃক্ক সংযোজনের মাধ্যমে সুস্থ জীবন যাপন করছে। 

বৃক্ক প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে টিস্যু ম্যাচ করে নেওয়া আবশ্যক। পিতামাতা, ভাইবোন ও নিকট আত্মীয়ের বৃক্কের টিস্যু ম্যাচ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, এ কারণে পিতা মাতা, ভাইবোন বা নিকট আত্মীয়ের বৃদ্ধ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিকল । বৃক্কের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ঝুঁকির হার অনেক কম থাকে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গ্লোমেরুলাস বলতে কী বোঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 25 November

    Thank you so much 😊😊

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ