অঙ্গ তন্ত্রের একক ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো

অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো
অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো

ক. গ্লাইকোলাইসিস কী?

খ. অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো।

গ. চিত্র-X এর 'Q' সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

ঘ. চিত্র Y-এ P এর বিকাশে R এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো। 

প্রশ্নের উত্তর

. কোষের সাইটোপ্লাজমে এক অণু গ্লুকোজ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক এসিড তৈরির প্রক্রিয়াই হলো গ্লাইকোলাইসিস।

. এক বা একাধিক টিস্যু দিয়ে তৈরি এবং একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে সক্ষম প্রাণিদেহের অংশবিশেষকে অঙ্গ বলে। 

অর্থাৎ কোনো অঙ্গে একই অথবা একাধিক ধরনের টিস্যু থাকে এবং সেই অঙ্গ কোনো না কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে। আবার জীবদেহের কতগুলো অঙ্গের | সমন্বয়ে বিভিন্ন তন্ত্র গঠিত হয়। সুতরাং, অঙ্গই হলো তন্ত্রের একক।

. উদ্দীপকে চিত্র-X হলো ভূণথলি। ভ্রুণথলিতে 'Q' চিহ্নিত অংশটি হলো ডিম্বাণু। নিচে Q অর্থাৎ ডিম্বাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো- 

ফুলের গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে এ ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়। গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে যেখানে স্ত্রীজনন মাতৃকোষ (2n) সৃষ্টি হয়। এ কোষটি (2n) "মিয়োসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড কোষ (n) সৃষ্টি করে। সর্বনিম্ন কোষটি ছাড়া বাকি তিনটি কোষ বিনষ্ট হয়ে যায়। 

জীবিত কোষটির (n) নিউক্লিয়াস মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দু'টি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং ভূণথলির দু'মেরুতে অবস্থান নেয়। এ দু'টি নিউক্লিয়াসের প্রতিটি পরপর দু'বার বিভক্ত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াসের (n) সৃষ্টি করে। 

এরপর দুই মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস ভ্রূণথলির কেন্দ্রস্থলে এসে মিলিত হয়ে গৌণ কেন্দ্রিকা (2n) সৃষ্টি করে। দুই মেরুর নিউক্লিয়াসগুলো সামান্য সাইটোপ্লাজম সহকারে কোষের সৃষ্টি করে। ডিম্বকরন্ধ্রের দিকের কোষ তিনটিকে গর্ভযন্ত্র বলে, 

যার মাঝের বড় কোষটিই হলো ডিম্বাণু (n) এবং অন্য কোষ দু'টিকে সহকারি কোষ (n) বলে । এভাবেই ভ্রূণথলির (X) অভ্যন্তরে ডিম্বাণু (Q) সৃষ্টি হয়।

. উদ্দীপকের চিত্রে P ও R হলো যথাক্রমে ভ্রূণ ও অমরা । নিম্নে ভ্রূণের বিকাশে অমরার ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হলো—

ক্রমবর্ধনশীল ভ্রূণের কিছু কোষ এবং মাতৃ জরায়ুর অন্তঃস্তরের কিছু কোষ মিলিত হয়ে ডিম্বাকার ও রক্তনালি সমৃদ্ধ অমরা গঠন করে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। এতে ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হয় না। 

ভূণের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি ও খনিজ লবণ ইত্যাদি অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে ভ্রূণের রক্তে পৌঁছে। 

অমরা অনেকটা ফুসফুসের মতো কাজ করে। অমরার মাধ্যমে মায়ের রক্ত থেকে অক্সিজেন গ্রহণ এবং ভ্রূণ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বিনিময় ঘটে। 

অমরা বৃক্কের মতো কাজ করে। এটি বিপাকের ফলে ভ্রূণের দেহে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ করে থাকে। অমরা থেকে উৎপন্ন হরমোনও ভ্রূণের নানাবিধ কাজে লাগে। সর্বোপরি অমরার মাধ্যমে মাতৃদেহ ও ভূণের মধ্যে এমন সম্পর্ক স্থাপিত হয় যে, সকল পদার্থ

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অঙ্গ, তন্ত্রের একক-ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ