লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন? জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন?

লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন
লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন

ক. প্রাককেন্দ্রিক কোষ কী?

খ. লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র 'X' এর গঠন ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্ভিদের জীবনধারণে উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র 'Y' এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো ।

প্রশ্নের উত্তর

. যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় তাই প্রাককেন্দ্রিক কোষ।

খ. লাইসোজোম জীব কোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এর থেকে নির্গত উৎসেচকসমূহ আগত জীবাণুগুলোকে হজম করে ফেলে। এর পরিপাক করার উৎসেচকগুলো একটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। 

দেহে অক্সিজেনের অভাব হলে লাইসোজোমের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কোষমধ্যস্থ অঙ্গাণুগুলো বিনষ্ট ও হজম হয়ে যায়। এজন্যই লাইজোসোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয়।

. উদ্দীপকের 'X' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। নিচে এর গঠন ব্যাখ্যা করা হলো-

মাইটোকন্ড্রিয়া গোলাকার বা দণ্ডাকৃতির হয়ে থাকে। এটি দুই স্তরবিশিষ্ট - আবরণী দিয়ে ঘেরা। আবরণী দুটি যথাক্রমে বহিঃআবরণী এবং অন্তঃআবরণী নামে পরিচিত। বহিঃআবরণী মসৃণ কিন্তু অন্তঃআবরণী নানাভাবে ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাকে। 

এই ভাঁজগুলোকে বলা হয় ক্রিস্টি। ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, একে অক্সিজোম বলে। অক্সিজোমে বিভিন্ন ধরনের উৎসেচক সাজানো থাকে। 

মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরে অর্ধতরল দানাদার পদার্থ থাকে, যাকে ম্যাট্রিক্স বলে। মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রায় ৭৩% প্রোটিন, ২৫% লিপিড এবং ০.৫% RNA থাকে।

. উদ্দীপকের চিত্র-Y হলো ক্লোরোপ্লাস্ট, উদ্ভিদের জীবনধারণে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ।

সবুজ উদ্ভিদে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকায় এরা নিজেই নিজের খাদ্য সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করে থাকে। উদ্ভিদের প্লাস্টিডের গ্রানা অংশ সূর্যালোককে আবদ্ধ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। 

এই আবদ্ধ সৌরশক্তি উৎসেচক, CO, এবং কোষের ভিতরকার পানি ব্যবহার করে উদ্ভিদ সরল শর্করা তৈরি করে। এ প্রস্তুতকৃত খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে শক্তি জোগায়। 

ফলে উদ্ভিদ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে ফুল ধারণ করে। পরাগায়ন ও নিষেকের মাধ্যমে ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়ে প্রজাতির ধারা অব্যহত থাকে। 

আবার ক্লোরোপ্লাস্টে সালোকসংশ্লেষণের সময় উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে CO, গ্রহণ করে এবং O, ত্যাগ করে, ফলে পরিবেশে গ্যাসীয় ভারসাম্য রক্ষা পায়। 

এই ভারসাম্য রক্ষিত না হলে উদ্ভিদের টিকে থাকা সম্ভব হতো না। তাই উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য ক্লোরোপ্লাস্টের ভূমিকা অপরিসীম ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন?

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষক বলা হয় কেন? যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ