লসিকা তন্ত্র কাকে বলে | লসিকা তন্ত্র বলতে কী বোঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ

লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ
লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ
লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ

ক. শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?

খ. লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অংশের গঠন ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের ‘B' ও 'C' কোষ হওয়া সত্ত্বেও গঠন ও কার্যিক অমিল-যুক্তি সহকারে মূল্যায়ন করো।

প্রশ্নের উত্তর

. পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে সাজানো বা বিন্যাসকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।

. মানবদেহে বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে জলীয় পদার্থ জমা হয়ে কতকগুলো ছোট নালির মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে একটি স্বতন্ত্র নালিকাতন্ত্র গঠন করে, এই বিশেষ তন্ত্রকে লসিকাতন্ত্র বলে। টনসিল লসিকাতন্ত্রের অংশ।

. চিত্র-B হলো প্রাণিকোষ এবং A চিহ্নিত অঙ্গাণুটি হলো সেন্ট্রোজোম । নিচে সেন্ট্রোজোমের গঠন ব্যাখ্যা করা হলো- প্রতিটি সেন্ট্রোজোম সেন্ট্রোস্ফিয়ার ও সেন্ট্রিওল নামক দু'টি অংশ নিয়ে গঠিত। 

সেন্ট্রোজোমের গাঢ় তরল মাতৃকাকে বলা হয় সেন্ট্রোস্ফিয়ার। সেন্ট্রোস্ফিয়ারের মাঝে দু'টি ফাঁপা নলাকার যে অঙ্গাণু দেখা যায়, তাদের সেন্ট্রিওল বলে। 

সেন্ট্রিওল সাধারণত একটি স্বচ্ছ দানাবিহীন সাইটোপ্লাজম দ্বারা আবৃত থাকে। একটি পরিণত সেন্ট্রিওলের আকার ০.২৫ um ×৩.৭  ́um । সেন্ট্রিওলগুলো দু'মুখ খোলা লম্বা পিপার মতো । প্রত্যেক সেন্ট্রিওল প্রধানত ৩টি অংশ দ্বারা গঠিত। 

যেমন- প্রাচীর, অণুনালিকা এবং লিংকার। এদের প্রাচীর ৯টি ত্রয়ী অণুনালিকা দ্বারা গঠিত। আবার প্রতিটি অণুনালিকা সমদূরত্বে অবস্থিত ৩টি উপনালিকা এবং তার সাথে লিংকার নামক ঘন তত্ত্বর সাহায্যে যুক্ত। সেন্ট্রিওল প্রধানত প্রোটিন, লিপিড ও ATP নিয়ে গঠিত।

. উদ্দীপকে চিত্র-13 হলো প্রাণীর দেহকোষ এবং চিত্র-C হলো জননকোষ। গঠন ও কার্যিক দিক থেকে এদের মাঝে বেশ কিছু অমিল রয়েছে। যেমন- দেহকোষ ডিপ্লয়েড প্রকৃতির কিন্তু জননকোষ হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির। 

দেহকোষে নিউক্লিয়াসটি কেন্দ্রে অবস্থান করে, কিন্তু স্ত্রী জননকোষে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করে। আবার পুং জননকোষে নিউক্লিয়াস মাথায় অবস্থান করে। প্রাণী দেহকোষ অনেকটা ডিম্বাকৃতির, কিন্তু স্ত্রী জননকোষ বৃত্তাকার এবং পুং জননকোষ ব্যাঙাচি আকৃতির। 

পুং জননকোষ মাথা, মধ্যখণ্ড এবং লেজ সমন্বয়ে গঠিত। প্রাণী দেহকোষে মাইক্রোভিলাই দেখা গেলেও জননকোষ দু'টিতে তা অনুপস্থিত। 

অন্যদিকে, দেহকোষ মাইটোসিস (উন্নত জীবের ক্ষেত্রে) এবং অ্যামাইটোসিস (অনুন্নত জীবের ক্ষেত্রে) প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দেহ গঠন, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণে অংশ নেয়। জনন কাজে এদের কোন ভূমিকা নেই। 

অপরদিকে জননকোষ মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে জীবের জনন কার্যে ভূমিকা রাখে। একইভাবে জননকোষ জীবের দেহ গঠনে কোনো ভূমিকা রাখে না। 

সুতরাং এ আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, চিত্র- 'B' ও 'C' কোষ হওয়া স্বত্ত্বেও এদের গঠন ও কাজে যথেষ্ট অমিল রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লসিকাতন্ত্র বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ