c4 উদ্ভিদ বলতে কি বুঝায়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়

c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়
c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়

c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়

ক. ফটোলাইসিস কী?

খ. C4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ?

গ. উক্ত প্রক্রিয়ায় P ও Q এর ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ায় X উৎপন্ন না হলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকিস্বরূপ— যুক্তিসহ তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। 

প্রশ্নের উত্তর

. সূর্যালোক ও ক্লোরোফিলের সহায়তায় পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ফটোলাইসিস ।

. যে সকল উদ্ভিদে শর্করা তৈরির প্রক্রিয়ায় প্রথম স্থায়ী পদার্থ ৪- কার্বনবিশিষ্ট অক্সালো অ্যাসিটিক এসিড তাদের C, উদ্ভিদ বলে। যেমন: ভুট্টা। 

সবুজ উদ্ভিদে সংঘটিত সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়ে CO2 বিজারণের তিনটি গতিপথের একটি হলো হ্যাচ ও স্ম্যাক চক্র বা Ca গতিপথ। এ চক্রের প্রথম স্থায়ী পদার্থ হলো ৪-কার্বনবিশিষ্ট অক্সালো- অ্যাসিটিক এসিড ।

. এ উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ এবং P ও Q হলো যথাক্রমে আলো এবং ক্লোরোফিল। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলো ও ক্লোরোফিলের ভূমিকা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো- 

সালোকসংশ্লেষণে আলোর ভূমিকা; পানি ও CO2 থেকে শর্করা ' তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস হলো আলো। সূর্যালোক ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে অংশগ্রহণ করে। সূর্যালোকের প্রভাবেই পত্ররন্ধ্র

উন্মুক্ত হয়, CO, পাতার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে এবং খাদ্য প্রস্তুতকরণে অংশগ্রাহণ করে। কিন্তু আলোর পরিমাণ অত্যধিক মেয়ে গেলে পাতার অভ্যন্তরে যায়, ক্লোরোফিল উৎপাদন কম হয়। ফলে সালোকসংশ্লেষণের হারও কমে যায়। 

1. সালোকসংশ্লেষণে ক্লোরোফিলের ভূমিকা: একমাত্র কোরোফিলই আলোকশক্তি গ্রহণ করতে সক্ষম। তাই পুরাতন ক্লোরোপ্লাস্ট নী হয়ে গেলে নতুন ক্লোরোরাণী সংশ্লেষিত হয়। 

আমরা জানি, নতুন ক্লোরোপ্লাস্ট এবং ক্লোরোগাস্টের উপাদান সৃষ্টির ধারের উপর সালোকসংশ্লেষণের হার নির্ভরশীল। সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা রক্ষ করার জন্য ক্লোরোপ্লাস্টের বিভিন্ন উপাদান দ্রুত পূর্ণগঠিত হওয়া প্রয়োজন।

. উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো সালোকসংশ্লেষণ এবং 'X' হচ্ছে শর্করা বা গ্লুকোজ। সালোকসংশ্লেষণে শর্করা উৎপন্ন না হলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো- | প্রতিটি জীবেরই বেঁচে থাকার জন্য শক্তির প্রয়োজন। 

জীব খাদ্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত রাসায়নিক শক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া সচল রাখে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ নিজের খাদ্য | 

নিজেই প্রস্তুত করে থাকে কিন্তু প্রাণীরা তা পারে না। ফলে তারা খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল হয়। উদ্ভিদ তার প্রস্তুতকৃত খাদ্য বিভিন্ন জৈবিক কাজের জন্য ব্যবহার করে এবং বাকি অংশ সঞ্চিত রাখে। 

এই খাদ্য খেয়ে প্রাণীরা জীবনধারন করে। আমরা খাদ্য হিসেবে ভাত, রুটি, ফলমূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি যাই গ্রহণ করি না কেন তার সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ থেকে আসে। 

উদ্দীপকের প্রক্রিয়ায় শর্করা উৎপন্ন না হলে উদ্ভিদ ও প্রাণী জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি লাভ করতে পারতো না। ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম c4 উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Follow Our Google News