সবাত শ্বসন কাকে বলে

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সবাত শ্বসন কাকে বলেজেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সবাত শ্বসন কাকে বলে

সবাত শ্বসন কাকে বলে
সবাত শ্বসন কাকে বলে

(i) 6CO2 + 12H2O→ C6H12O6 + 602 + 6H2O

(ii) C6H12O6 + O2 →6CO2 + 12H2O + ATP

ক. শক্তিমুদ্রা কী?

খ. সবাত শ্বসন কাকে বলে?

গ. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে উদ্দীপকের (i) নং বিক্রিয়াটি কীভাবে ঘটে? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবের জীবন (i) ও (ii) উভয় প্রক্রিয়ার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল- ব্যাখ্যা করো।

প্রশ্নের উত্তর

. ATP-ই হলো শক্তিমুদ্রা, যা উচ্চশক্তি জমা রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে।

. যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু (শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড) সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে CO2, H2O ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলে ।

সবাত শ্বসনই হলো উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রক্রিয়া। সবাত শ্বসনের রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ-

                               C6H12O2+602 →বিভিন্ন এনজাইম, 6CO2 + 6H2O

                                                                                                          + শক্তি ( 688KCal/mol)

. উদ্দীপকে (i) নং এ উল্লিখিত জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি আলোক ও অন্ধকার এ দুটি পর্যায়ে স হয়। এর প্রথমটি হলো আলোক পর্যায়।

এ পর্যায়ে ATP ও NADPH তৈরি হয় এবং O, নির্গত হয়। আলোর অর্থাৎ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিল অণু হতে ইলেকট্রন উৎক্ষিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন বাহকের মধ্যে দিয়ে পূর্বের ক্লোরোফিল অণুতে অথবা অন্য ক্লোরোফিল অণুতে পৌছার 

এ সময় পথিমধ্যে ATP তৈরি হয়। আবার অচক্রীয় পথে NADPH হয়। সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ের অচক্রীয় পথে Hor  সালোক বিভাজন ঘটে এবং সেখানে থেকে O2 নির্গত হয়।

. উদ্দীপকের উল্লিখিত (i) ও (ii)নং প্রক্রিয়া দুটি হলো সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন। জীবের জীবন উক্ত প্রক্রিয়া দুটির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

প্রকৃতিতে একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি | করতে পারে। কোনো প্রাণীই তার নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য তাই সমগ্র প্রাণিকুলকে সম্পূর্ণভাবে সবুজ উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়। 

কাজেই বলা যায়, পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য তৈরি হয় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে O2 ও CO2 এর সঠিক অনুপাত রক্ষায় সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন প্রক্রিয়া এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সকল জীব শ্বসন প্রক্রিয়ায় O গ্রহণ করে এবং CO, ত্যাগ করে। 

কেবল শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে বায়ুমণ্ডলে O2 এর স্বল্পতা এবং CO2 এর | আধিক্য দেখা দিবে। কিন্তু সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO গ্রহণ ও O2 ত্যাগ করে বলে বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 গ্যাসের ভারসাম্য | বজায় থাকে। এজন্য জীবকূল সুষ্ঠুভাবে বেঁচে রয়েছে। 

তাই বলা যায়, জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় তথা জীবের জীবন সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন প্রক্রিয়া দুটির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সবাত শ্বসন কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সবাত শ্বসন কাকে বলেযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ