সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেনজেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন

সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন
সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন

সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন

ক. জৈবমুদ্ৰা কী?

খ. সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন? 

গ. চিত্র: X এ সংঘটিত প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

ঘ. জীবজগতে উক্ত প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. উচ্চ শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য প্রক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে এমন শক্তিসমৃদ্ধ যৌগই হলো জৈবমুদ্রা।

. সবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে এক অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়। অপরদিকে অবাত শ্বসনে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ ঘটে। সবাত শ্বসনে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন ঘটলেও অবাত শ্বসনে অক্সিজেনের অভাবে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশনও চলে না। এসব কারণেই অবাত শ্বসন অপেক্ষা সবাত শ্বসনে বেশি শক্তি উৎপন্ন হয়।

. চিত্র -X এ সংঘটিত প্রক্রিয়াটি হলো--

সালোকসংশ্লেষ আলো ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে CO, ও পানির রাসায়নি বিক্রিয়ায় শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি হয় এবং O, নির্গত হয়। প্রক্রিয়াি আলোক ও অন্ধকার পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। 

আলোক পর্যায়ে সৌরশি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এ পর্যায়ে ATP ও NADPH, তৈরি | হয়। আলোর উপস্থিতিতে ক্লোরোফিল অণু হতে ইলেকট্রন (5) ক্ষ হয় এবং বিভিন্ন বাহকের মধ্য দিয়ে পূর্বের ক্লোরোফিল অণুতে অথ অন্য ক্লোরোফিল অণুতে পৌছায়। 

এ সময় পথিমধ্যে ATPআবার অচক্রীয় পথে NADPH, তৈরি হয়। সালোকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ের অচক্রীয় পথে পানির সালোক বিভাজন ঘটে এবং সেখান থেকে নির্গত হয়। 

অন্ধকার পর্যায়ে আলোর কোনো প্রয়োজন হয় না। এ পর্যায়ে আলোক পর্যায়ে উৎপন্ন ATP ও NADPH, এর সহায়তায় CO2 বিজারিত হয়ে শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্লুকোজ তৈরি হয়।

. জীবজগতের জন্য এ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি অপরিহার্য। প্রকৃতিতে একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে। 

কোনো প্রাণীই তার নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য তাই সমগ্র প্রাণিকুলকে সম্পূর্ণভাবেই সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কাজেই বলা যায়, পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি হয়। 

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে O2 ও CO2 এর সঠিক অনুপাত রক্ষায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা হবে জীবজগতের জন্য হুমকিস্বরূপ। সকল জীব শ্বসন প্রক্রিয়ায় O2 গ্রহণ করে এবং CO ত্যাগ করে। 

কেবলমাত্র শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে বায়ুমণ্ডলে O2 গ্যাসের স্বল্পতা এবং CO2 গ্যাসের আধিক্য দেখা দিত। কিন্তু, সবুজ উদ্ভিদ | সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে বলে | এখনও বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রয়েছে, বেঁচে রয়েছে জীবকুল। 

তাই বলা যায়, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি শুধু উদ্ভিদদেহে সম্পন্ন হলেও সকল জীবের জন্য প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অপরিসীম ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে বেশি শক্তি তৈরি হয় কেনযদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ