৫০টি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ।

৫০টি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন
৫০টি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন

৫০টি মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন

■ লেখক-পরিচিতি

প্রশ্ন-১. আবুল ফজল কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: আবুল ফজল ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ।

প্রশ্ন-২. ছাত্রজীবনে আবুল ফজল কোন আন্দোলনে যুক্ত হন? 

উত্তর: ছাত্রজীবনে আবুল ফজল বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে যুক্ত হন । 

প্রশ্ন-৩. অন্যদের সঙ্গে মিলে আবুল ফজল কী প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: অন্যদের সঙ্গে মিলে আবুল ফজল মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন ।

প্রশ্ন-৪. আবুল ফজলের লেখা ‘চৌচির' কোন জাতীয় রচনা? 

উত্তর: আবুল ফজলের লেখা ‘চৌচির’ একটি উপন্যাস ।

প্রশ্ন-৫. ‘রাঙা প্রভাত' কী ধরনের রচনা?

উত্তর: ‘রাঙা প্রভাত’ একটি উপন্যাস ।

প্রশ্ন-৬. আবুল ফজল কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? 

উত্তর: আবুল ফজল ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন । 

প্রশ্ন-৭. আবুল ফজল কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? 

উত্তর: আবুল ফজল চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন-৮, আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব-কল্যাণ কথাটা কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে?

উত্তর: আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব-কল্যাণ কথাটা অনেকখানি সস্তা আর মামুলি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

প্রশ্ন-৯. নিচের হাত মানে কী?

উত্তর: নিচের হাত মানে গ্রহীতা বা যে মানুষ হাত পেতে গ্রহণ করে। 

প্রশ্ন-১০. ওপরের হাত মানে কী?

উত্তর: ওপরের হাত মানে দাতা বা যে হাত তুলে ওপর থেকে অনুগ্রহ বর্ষণ করে ।

প্রশ্ন-১১. দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর মাঝে কোনটি প্রতিফলিত হয়? 

উত্তর: দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর মাঝে দীনতা প্রতিফলিত হয়। 

প্রশ্ন-১২. দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা কোথায় প্রতিফলিত হয়? 

উত্তর: দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা তার সর্ব অবয়বে প্রতিফলিত হয়। 

প্রশ্ন-১৩, ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা তার সর্ব অবয়বে যেভাবে প্রতিফলিত. হয়, তার দৃশ্যকে লেখক কী বলে অভিহিত করেছেন?

উত্তর: ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা তার সর্ব অবয়বে যেভাবে প্রতিফলিত হয় তার দৃশ্যকে লেখক বীভৎস বলে অভিহিত করেছেন ।

প্রশ্ন-১৪. কোন দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে আকাশ- পাতাল তফাত?

উত্তর: মনুষ্যত্ব আর মানব-মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত।

প্রশ্ন-১৫. কোনটি জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনার প্রতীক? 

উত্তর: রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনার প্রতীক।

প্রশ্ন-১৬. প্রশাসন চালানো এবং জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা কার দায়িত্ব?

উত্তর: প্রশাসন চালানো এবং জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

প্রশ্ন-১৭, 'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধানুসারে রাষ্ট্রের বৃহত্তর দায়িত্ব কোনটি? 

উত্তর: ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধানুসারে রাষ্ট্রের বৃহত্তর দায়িত্ব হলো জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলা ।

প্রশ্ন-১৮. কোন ধরনের রাষ্ট্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে না?

উত্তর: যে রাষ্ট্র হাত পাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়, সে রাষ্ট্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে না ।

প্রশ্ন-১৯. লেখক কোন কাজকে মানব-কল্যাণ বলে মনে করেন না? 

উত্তর: লেখক দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাতকে মানব- কল্যাণ বলে মনে করেন না।

প্রশ্ন-২০. মানব-কল্যাণের উৎস কোথায় নিহিত?

উত্তর: মানব-কল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যে নিহিত ।

প্রশ্ন-২১. ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে বর্ণিত, একদিন এক ব্যক্তি কার কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল?

উত্তর: ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে বর্ণিত, একদিন এক ব্যক্তি ইসলামের নবির কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল ।

প্রশ্ন-২২. ইসলামের নবি ভিক্ষুককে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন? 

উত্তর: ইসলামের নবি ভিক্ষুককে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন-২৩. প্রত্যেক মানুষ কীসের সাথে সম্পর্কিত? 

উত্তর: প্রত্যেক মানুষ সমাজের সাথে সম্পর্কিত।

প্রশ্ন-২৪. প্রত্যেক মানুষের কল্যাণ কীসের সঙ্গে সম্পর্কিত?

উত্তর: প্রত্যেক মানুষের কল্যাণ সমাজের ভালো-মন্দের সাথে সম্পর্কিত। 

প্রশ্ন-২৫. উপলব্ধি ছাড়া মানব-কল্যাণ কী হয়ে যায়?

উত্তর: উপলব্ধি ছাড়া মানব-কল্যাণ স্রেফ দান-খয়রাত আর কাঙালি ভোজনের মতো মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি হয়ে যায় ।

প্রশ্ন-২৬. বর্তমানে কোনটি মানুষকে মেলায় না, করে বিভক্ত? 

উত্তর: বর্তমানে রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা মানুষকে মেলায় না, করে বিভক্ত।

প্রশ্ন-২৭. কোন পথে মানুষের কল্যাণ করা যায়?

উত্তর: সমতা আর সংযোগ-সহযোগিতার পথে মানুষের কল্যাণ করা যায়। 

প্রশ্ন-২৮. কোন মনোভাব নিয়ে মানুষের কল্যাণ করা যায় না? 

উত্তর: বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে মানুষের মঙ্গল করা যায় না। 

প্রশ্ন-২৯. সত্যিকার মানব-কল্যাণ কীসের ফসল?

উত্তর: সত্যিকার মানব কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনার ফসল ।

প্রশ্ন-৩০. বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই কী রেখে গেছেন?

উত্তর: বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।

প্রশ্ন-৩১. কোন উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি? 

উত্তর: বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভাদের রেখে যাওয়া মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি 

প্রশ্ন-৩২. বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক উক্তি কোনটি? 

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক উক্তি হলো, “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?”

প্রশ্ন-৩৩. অন্তর-জগতের বাইরে যে জগৎকে আমরা অহরহ দেখতে পাই তার মৌলিক সত্য কী?

উত্তর: অন্তর-জগতের বাইরে যে জগৎকে আমরা অহরহ দেখতে পাই তার মৌলিক সত্য হলো পারস্পরিক সংযোগ-সহযোগিতা ।

প্রশ্ন-৩৪. কোন সম্পর্কের অভাব ঘটলে মানব-কল্যাণ কথাটা স্রেফ ভিক্ষা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কে পরিণত হয়?

উত্তর: পারস্পরিক সংযোগ-সহযোগিতার অভাব ঘটলে মানব-কল্যাণ কথাটা স্রেফ ভিক্ষা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কে পরিণত হয় ।

প্রশ্ন-৩৫. লেখক বর্তমানে পৃথিবীতে কোন ধরনের শব্দের প্রয়োগ বৃদ্ধি হওয়ায় কথা বলেছেন?

উত্তর: লেখক বর্তমানে পৃথিবীতে রিলিফ, রিহেবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দের প্রয়োগ বৃদ্ধি হওয়ার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন-৩৬. আমরা বর্তমানে কীসের অংশ?

উত্তর: আমরা বর্তমানে বৃহত্তর মানবতার অংশ ।

প্রশ্ন-৩৭. কালের বিবর্তনে আমরা এখন আর কী নই?

উত্তর: কালের বিবর্তনে আমরা এখন আর Tribe বা গোষ্ঠীবদ্ধ জীব নই। 

প্রশ্ন-৩৮. লেখকের মতে, সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে?

উত্তর: লেখকের মতে, সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে।

প্রশ্ন-৩৯. সমস্যা যত বড়ো আর যত ব্যাপকই হোক না তার মোকাবিলা করতে হবে কীসের সাথে?

উত্তর: সমস্যা যত বড়ো আর যত ব্যাপকই হোক না কেন তার মোকাবিলা করতে হবে সাহস ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ।

প্রশ্ন-৪০. কীসের সহায়তায় কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব?

উত্তর: মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় সুপরিকল্পিত পথে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব।

■ শব্দার্থ ও টীকা

প্রশ্ন-৪১. ‘অনুগৃহীত’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: অনুগৃহীত শব্দের অর্থ— উপকৃত বা অনুগ্রহ বা আনুকূল্য পেয়েছে এমন ।

প্রশ্ন-৪২. 'মনীষা' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘মনীষা' শব্দের অর্থ— বুদ্ধি, মনন, প্রতিভা, প্রজ্ঞা ।

প্রশ্ন-৪৩. 'র‍্যাশনাল' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘র‍্যাশনাল' শব্দের অর্থ— বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন।

প্রশ্ন-৪৪. মুক্তবুদ্ধি কী?

উত্তর: মুক্তবুদ্ধি হলো— সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামিমুক্ত উদার মানসিকতা ।

পাঠ-পরিচিতি

প্রশ্ন-৪৫. ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটির রচয়িতার নাম কী?

উত্তর: ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটির রচয়িতার নাম আবুল ফজল । 

প্রশ্ন-৪৬. আবুল ফজলের ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি কত খ্রিষ্টাব্দে রচিত? 

উত্তর: আবুল ফজলের ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত । 

প্রশ্ন-৪৭. ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি প্রথম কোন গ্রন্থে সংকলিত হয়? 

উত্তর: ‘মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধটি প্রথম ‘মানবতন্ত্র' গ্রন্থে সংকলিত হয়। 

প্রশ্ন-৪৮. লেখকের মতে, মানব-কল্যাণ কী?

উত্তর: লেখকের মতে, মানব-কল্যাণ হলো— মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস ।

প্রশ্ন-৪৯. লেখকের মতে, কোন ধারণা সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক? 

উত্তর: লেখকের মতে, করুণাবশত দান-খয়রাত করা সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক।

প্রশ্ন-৫০. মানব-কল্যাণের লক্ষ্য কী?

উত্তর: মানব-কল্যাণের লক্ষ্য হলো— সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মানব কল্যাণ প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ