২১টি আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ।

আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

২১টি আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-১. ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? 

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে তরুণদের এক কঠিন ও অসহনীয় সময় অতিক্রম করতে হয় বলে এ বয়সকে দুঃসহ বলা হয়েছে ।

আঠারো বছর বয়স মানবজীবনে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময় । এ সময় অন্যদের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। 

এ কারণে কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। আলোচ্য কবিতাটিতে কবি আঠারো বছর বয়সের এমন কঠিন পরিস্থিতির কথা ভেবেই এ বয়সকে দুঃসহ বলেছেন ।

প্রশ্ন-২. ‘স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি।'— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো । 

উত্তর: যৌবনে উত্তরণকালীন পর্বে মানুষ অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি নিতে শেখে— উক্তিটি এ অর্থই বহন করছে। আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের উত্তরণকালীন পর্যায়। 

এ সময় অনেক মনোদৈহিক পরিবর্তন সাধিত হয়। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় সে। তাই আঠারো বছর বয়সে মানুষ মাথা তোলার ঝুঁকি নেয়।

প্রশ্ন-৩. আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: সৃষ্টিশীল মানসিকতার যে তাড়না তারুণ্যের বুকে তাড়িত হয়, সে বিচারে দেখা যায়— আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

আঠারো বছর বয়স মানেই তারুণ্য আর সৃষ্টিশীল মানসিকতা। জীর্ণকে ধ্বংসের মাধ্যমে নবসৃষ্টিতেই তারুণ্য বেশি তৃপ্তি লাভ করে। আর এ জন্য প্রয়োজন বুকভরা দুঃসাহস। 

আঠারো বছর বয়স দুঃসাহসকে পুঁজি করেই সম্মুখ সমরে অগ্রগামী হয় বলে আঠারো বছর বয়সের সাথে দুঃসাহসের সম্পর্ক চিরদিনের

প্রশ্ন-৪. আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চায় কেন? 

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে দুঃসাহসিকতা ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকে বলে পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চায়।

‘আঠারো বছর বয়স' কবিতায় কবি 'অত্যন্ত স্পষ্টতার সাথে উচ্চারণ করেছেন যে, এ বয়সে মানুষের মনে ভয়, পরাজয়, কাপুরুষতা ও গুটিয়ে থাকার প্রবণতা ইত্যাদি থাকে না। 

ফলে মনের মতো করে সকল হতাশা, নিরাশা, দুরাশা ও গ্লানিকে মুছে একটি সুন্দর ও সার্থক জীবন গঠন করা যায়। সকল বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতাকে মুহূর্তেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করা সম্ভব হয় এ বয়সের সাহসী মনের প্রভাবে।

প্রশ্ন-৫. 'আঠারো বছর বয়স মাথা নোয়াবার নয় – কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সে মানুষ যৌবনে পদার্পণ করে আত্মপ্রত্যয়ী ও সাহসী হয়ে ওঠে বলে কারও কাছে মাথা নোয়ায় না।

শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলো সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয় আঠারো বছর বয়সের তরুণেরা। 

এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উদ্যমী এ বয়সের তরুণেরা। কোনো অন্যায় ও প্রতিবন্ধকতার কাছে মাথা নত করে না এ বয়সের তরুণ প্রাণ। কবি তাই এ বয়সটিকে দুঃসাহসী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

প্রশ্ন-৬. ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য – এ কথার তাৎপর্য কী?

উত্তর: যেকোনো মহৎ কাজে আঠারো বছর বয়সি তরুণদের আত্মত্যাগী মানসিকতা বোঝাতে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন ।

দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে তরুণেরাই এগিয়ে এসেছে সবচেয়ে বেশি। সমস্ত বিপদ মোকাবিলায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। 

প্রাণ দিয়েছে দেশ ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে। যেকোনো অন্যায়-অবিচারের 'প্রতিবাদ করতে এ বয়সের তরুণেরা পিছপা হয় না'। তাই কবি বলেছেন, 'এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য।'

প্রশ্ন-৭. 'তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

উত্তর: সমাজজীবনে অন্যায়, শোষণ, নিপীড়ন ও ভেদ-বৈষম্য অবলোকন করে আঠারো বছর বয়সি যুবকেরা অসহ্য যন্ত্রণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

আঠারো বছর বয়সি তরুণদের প্রাণ থাকে তীব্র আর প্রখর। মন থেকে ভয় ও শঙ্কা দূর করে এ বয়সের তরুণরা দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলে । চারপাশের অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ-নিপীড়ন আর শ্রেণি-বৈষম্য দেখে তরুণরা ভীষণ যন্ত্রণা অনুভব করে। এসব অনাচার তাদের মনকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। 

এ সময় তারা বিভেদহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে উদ্যোগী হয়ে ওঠে । প্রশ্নোক্ত চরণটির মাধ্যমে তারুণ্যের এই বৈশিষ্ট্যের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৮. ‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে'- ব্যাখ্যা করো।

সিলেট ক্যাডেট কলেজ। উত্তর: আঠারো বছর বয়সে সঠিক পথে চালিত না হলে ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে।

আঠারো বছর বয়স উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ঝুঁকি নেওয়ার উপযোগী। অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা বয়সীদের জীবনে বিশেষ তীব্র হয়ে দেখা দেয়। 

সচেতন ও সচেষ্ট হয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে জীবন পরিচালনা করতে না পারার অজস্র দীর্ঘশ্বাসে এ বয়স নেতিবাচক কালো অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে। আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা কবি মূলত এ বয়সের সংবেদনশীলতাকে বোঝাতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন-৯. ‘তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি'– সপ্রসঙ্গ পক্তিটি ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: আঠারো বছর বয়সি তরুণদের দুর্জয় মনোভাব এবং অপার সম্ভাবনার দিক বিবেচনায় কবি প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিটির অবতারণা করেছেন । মানুষের জীবনে আঠারো বছর বয়স খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। 

কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত- প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। আর প্রবল প্রাণশক্তির অধিকারী তরুণেরা শত দুর্যোগ মোকাবিলা করে অদম্য মনোভাব নিয়ে সামনে এগিয়ে চলে । 

তারুণ্যের শক্তিতে দুর্জয়কে জয় করে দেশ ও জাতির জন্য অমিত সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয় তারা। তারুণ্যের এ অমিত শক্তি এবং ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য লক্ষ করেই কবি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন ।

প্রশ্ন-১০. 'এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে’– কেন?

উত্তর: আঠারো বছর বয়সি তরুণদের অদম্য প্রাণশক্তি থাকে বলে তারা প্রচণ্ড দুর্যোগেও টিকে থাকতে পারে ।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতে, আঠারো বছর বয়স খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি মানবজীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ সময়টিতে তরুণদের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়। 

আর প্রবল প্রাণশক্তির অধিকারী তরুণেরা শত দুর্যোগ মোকাবিলা করে অদম্য লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে চলে। তারুণ্যের শক্তিই তাদের দুর্জয়কে জয় করার প্রেরণা জোগায়। দুর্দমনীয় এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

প্রশ্ন-১১. ‘এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে?'- বুঝিয়ে দাও ।

(শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ | উত্তর: চিরাচরিত প্রথাবদ্ধ জীবনধারাকে ভেঙে এ বয়সি তারুণ্য নতুন স্বপ্ন নিয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে চলে ।

আঠারো বছর বয়সের তরুণরা প্রবল আবেগে ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম গতিতে জীবনসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ বয়সেই মানুষ অদম্য দুঃসাহসে কঠিন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। 

বিপদের সময় তারাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ বয়স তাই বিপৎসংকুল। কিন্তু সমাজ ও জাতি গঠনে তরুণদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। আর তাই কবি তারুণ্যের জয়গান গেয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।

প্রশ্ন-১২. ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।'- ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: কবি উক্ত পঙক্তিটির মাধ্যমে প্রত্যাশা করেছেন, আঠারো বছর বয়সের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। 

আঠারো বছর বয়স বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এ বয়সের তরুণরা -- জড়-নিশ্চল প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে সব সময় নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন দেখে। 

কল্যাণচিন্তা, সেবাব্রত, উদ্দীপনা, সাহসিকতা, চলার দুর্বার গতি— এসবই আঠারো বছর বয়সি তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য। কবির কামনা এসব বৈশিষ্ট্য দিয়েই যেন তরুণরা জাতীয় জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায় ।

প্রশ্ন-১৩. কবি কেন যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন?

উত্তর: যৌবনের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন। আঠারো বছর বয়সের তরুণরা শৈশব-কৈশোরের পরনির্ভরতার দিনগুলো সচেতনভাবে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে। 

অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এ বয়সের তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । এ বয়সের তরুণপ্রাণ কারও কাছে মাথা নিচু করে না। আর এ কারণেই কবি যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন ।

প্রশ্ন-১৪. আঠারো বছর বয়সে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে কেন?

উত্তর: 'আঠারো বছর বয়সে জীবনের নানা জটিলতা অতিক্রম করতে হয় বলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে।

‘আঠারো বছর বয়স' কবিতায় কবি আঠারো বছর বয়সের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা জটিলতাকে অতিক্রম করতে হয়। 

তাছাড়া যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ বয়স যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমূহ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও এ বয়সে বেশি। তাই এ সময় সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে পদস্থলন হতে পারে। জীবনে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা থাকে।

প্রশ্ন-১৫, কবি চেতনায় আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি চিরতারুণ্যকে তাঁর মধ্যে ধারণ করেন বলেই আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশা করেন ।

আঠারো বছর বয়স অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে। এক্ষেত্রে তারা কিছুটা ঝুঁকি নেয় সত্য, তবে শেষ পর্যন্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। 

প্রবল গতিশীলতার কারণে এ বয়সিরা অনেক সময় বিপদের কারণ ঘটায়। কিন্তু তারপরও এ বয়স তারুণ্যকে অন্তরে ধারণ করে বলেই কবি আঠারো বছর বয়সকে প্রত্যাশা করেন।

প্রশ্ন-১৬. কীভাবে আঠারো বছর বয়স জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে?

উত্তর: ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই 'আঠারো বছর বয়স' জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে ।

নানান ইতিবাচক গুণের সমষ্টি নিয়ে ‘আঠারো বছর বয়স' এক বিশাল শক্তির প্রতীক হয়ে মানবজীবনের চলার পথে ভূমিকা রাখে। জড়, নিশ্চল ও প্রথাবদ্ধ জীবনকে পায়ে ঠেলে নতুন জীবনের পথে এগিয়ে চলে আঠারো বছর বয়স। 

নতুন স্বপ্নে উদ্দীপিত হয়ে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়ে আঠারো বছর বয়সি তরুণরা তাদের উদ্দীপনা, সাহসিকতা ও চলার দুর্বার গতিকে যথোপযুক্তভাবে প্রয়োগ করে। আর এভাবেই তারা হয়ে ওঠে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি ।

প্রশ্ন-১৭. আঠারো বছর বয়সকে কেন মানবজীবনের উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয়?

উত্তর: আঠারো বছর বয়স কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের সময় বলে আঠারো বছর বয়সকে মানবজাতির উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয়।

আঠারো বছর বয়স হচ্ছে মানুষের যৌবনে পদার্পণের সময়। এই সময়ে মানুষের দৈহিক ও মানসিক গঠনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়। মানুষ হয়ে ওঠে সাহসী, আবেগী ও সংবেদনশীল । এই বয়সে মানবচিন্তা ও আচরণের পরিপূর্ণ বিকাশ হয় বলে এই সময়কে মানবজাতির উত্তরণকালীন পর্যায় বলা হয় ।

প্রশ্ন-১৮. আঠারো বছর বয়সি তারুণ্য ঝুঁকি নিতে চায় কেন?

উত্তর: অদম্য প্রাণশক্তির বলে তরুণরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় বিধায় তারা ঝুঁকি নিতে তৎপর হয়।

আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের উত্তরণকালীন পর্যায়। এ সময় অনেক মনোদৈহিক পরিবর্তন সাধিত হয়। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে চায় সে। তাই আঠারো বছর বয়সে তারুণ্য মাথা -তোলার ঝুঁকি নেয় ।

প্রশ্ন-১৯. ‘আঠারো বছর বয়স' কবিতা অনুযায়ী তারুণ্যের আত্মত্যাগ কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স' কবিতা অনযায়ী তারুণ্যের আত্মত্যাগ হওয়া উচিত কল্যাণকর ও দেশসেবামূলক কাজে ।

তারুণ্য এক অসীম প্রাণশক্তির প্রতীক। দুর্বার গতিসম্পন্ন দুঃসাহসিক তরুণ ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ক্ষেত্রেই তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। ‘আঠারো বছর বয়স' কবিতায় কবি এ শুভবোধকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। 

সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়েই তরুণদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। তবেই তারুণ্যের আত্মত্যাগ হবে কেবল শুভ ও মহৎ কাজে ।

প্রশ্ন-২০. আমাদের দেশের তরুণরা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না কেন?

উত্তর: তারুণ্যের নেতিবাচক দিকগুলোর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হওয়ায় এ দেশের তরুণরা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না । তরুণদের কানে চারপাশ থেকে নানা ধরনের মন্ত্রণা আসে ।

তাই এ সময় সিদ্ধান্তহীনতা ও বিভ্রান্তির কারণে তাদের পক্ষে ঠিকভাবে জীবনের হাল ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আর যদি এসব নেতিবাচকতা তাদের বেশি প্রভাবিত করে ফেলে তবে তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ হয়। 

আর এদেশের তরুণেরা নেতিবাচকতা দ্বারা অধিক প্রভাবিত হচ্ছে বলেই জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না।

প্রশ্ন-২১. 'আঠারো বছর বয়স' কবিতায় কবির যে অনুভবের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখো ।

উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স' কবিতায় কবি এ বয়স সম্পর্কে আপন অনুভবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

কবি আঠারো বছর বয়সকে বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত করেছেন। তিনি অনুভব করেছেন, প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই এ বয়সের অন্যতম চেতনা। 

কিছু নেতিবাচক দিক থাকলেও এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আর দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য শক্তি সর্বোপরি কবির অনুভবে আঠারোর জয়গানই গীত হয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ