আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ ।

আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ
আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ

আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ

  • আল সামাহ ইবনে মালিকের পরিচয় দাও ৷ 
  • অথবা, আল সামাত্রে কৃতিত্ব লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : দামেস্কে স্পেনে অধীনস্থ আমিরদের শাসনের ইতিহাসে আল সামাহ ইবনে আল মালিকের শাসনকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আল সামাহ খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজিজ কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে স্পেনের গভর্নর পদে আসীন হন। 

তিনি ছিলেন একজন সমরকুশলী ও যোদ্ধা। তিনি বীরত্বের সাথে তুলুসের যুদ্ধ পরিচালনা করে শহিদ হন। তিনিই প্রথম শাসক যিনি ফ্রান্সে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেন। নিম্নে আল সামাহর পরিচয় তুলে ধরা হলো :

→ আল সামাহর পরিচয় : আল হুর ইবনে আব্দুর রহমান আল গাফিকি স্পেনে গভর্নর থাকাকালীন তার কূশাসনে জনগণ খলিফার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । তখন খলিফা আব্দুল আজিজ সামাহকে গভর্নর পদে নিয়োগ দিয়ে স্পেনে প্রেরণ করেন। 

তিনি দক্ষ, যোগ্য ও সমরকুশলী হিসেবে যথেষ্ট সুনামের অধিকারী ছিলেন। তিনি স্পেন থেকে আদায়কৃত করের এক-পঞ্চমাংশ দামেস্কে প্রেরণ করতেন। তিনি স্পেনের সমগ্র দেশব্যাপী বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের লোকের আদমশুমারি করেন এবং ভূমি ও শহরগুলোর জরিপ করেন। এ সময় দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার ক্ষেত্রে অনেক সমাধান সূচিত হয় ।

সেপটিমানিয়া দখল : এ সময় ফ্রান্স গল নামে অভিহিত হতো। কিন্তু আরবদের নিকট এটি ছিল একটা বিশাল দেশ পিরেনিজ এর ঠিক অপর পার্শ্বস্থ দক্ষিণপূর্ব গল টলেডোর বিলুপ্ত গথ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অঞ্চলটির নাম দেওয়া হয়েছিল সেপটিমানিয়া। 

এটি সপ্তনগরী নামে খ্যাত। এখানে নারবোন, আগদে, বেজিয়ার্স, লোডিভে, কারকাসোনে, নিমেস ও মাগলোন নামে সাতটি শহর সমন্বয়ে এই সেপটিমানিয়া গঠিত। এগুলোর সবচেয়ে বড়টি ছিল ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত নারবোন। 

ফলে এটি মুসলিম' সেনাদের সামরিক তৎপরতার লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয়। আল সামাহ ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে সেপটিমানিয়া দখল করেন। কিন্তু তা ছিল স্বল্পকালীন। তুলুসের যুদ্ধে তার পরাজয়ে পুনরায় তা ফ্রান্স দখল করে নেয়।

তুলুসের যুদ্ধ : সামাহ বিন মালিকের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ফ্রান্সের সাত শহরবিশিষ্ট নগরী সেপটেমানিয়া দখল করে অ্যাকুইটেনের রাজধানী তুলুস এর দিকে অভিযান পরিচালনা করেন। 

৭২১ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে তুলুস অবরোধ করেন এবং অ্যাকুইটেনের ডিউক এক বিশাল বাহিনীসহ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন । তিনি প্রচণ্ড বিক্রমে যুদ্ধ করেন কিন্তু সংখ্যাধিক্য খ্রিস্টান বাহিনীর নিকট তিনি পরাজিত ও নিহত হন। পরাজিত ও বিধ্বস্ত মুসলিম বাহিনী আব্দুর রহমান আল গাফিকির নেতৃত্বে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে জয় অসম্ভব দেখে আব্দুর রহমান আল গাফিকির নেতৃত্বে অ্যাকুইটেন থেকে অবরোধ তুলে নেন। মুসলিম বাহিনী পশ্চাৎপসারণ করে কিন্তু নারবোন তাদের হাতেই থেকে যায় । 

আল সামাহর মৃত্যুর পর ছত্রভঙ্গ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আব্দুর রহমান অসাধারণ ধৈর্য ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের পরিচয় দেন। এর প্রতিশোধ বিধান টুরসের যুদ্ধের পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলতে পারি যে, আল সামাহ ছিলেন একজন দক্ষ শাসক। তিনি তুলুসের যুদ্ধে পরাজয়বরণ না করলেও টুরসের যুদ্ধের মতো এতো বড় বিপর্যয় ঘটতো না এবং খ্রিস্টানরা এতো সাহসী হতে পারতো না। আল সামাহর তুলুসের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধের জন্যই পরবর্তীতে টুরসের যুদ্ধ সংঘটিত হয় । সেখানেও মুসলমানদের পরাজয় হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল সামাহ ইবনে মালিক সম্পর্কে যা জান লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ