ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ
ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ

ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ

ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ কি 

উত্তর : ভূমিকা : ৭১১ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের স্পেন বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। দীর্ঘকাল আইবেরীয় উপদ্বীপে সামাজিক অসাম্য, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক অবকাঠামো স্পেনের জনগণের জন্য এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং স্পেনের পতনের পথকে ত্বরান্বিত করে। 

এ অবস্থায় বিশ্বমানবের পথিকৃত মুসলমানগণ অষ্টম শতাব্দীর প্রারাম্ভে তাদেরকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসে। বার্বার সেনাপতি তারিক বিন জিয়াদের নেতৃত্বে স্পেনে অভিযান পরিচালিত হয়। স্পেনের খ্রিস্টান রাজা রডারিক ও তারিকের মধ্যে যে যুগান্তকারী যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাই ওয়াদি লাক্কোরের যুদ্ধ নামে অভিহিত ।

→ ওয়াদি লাক্কোর বা বাক্কোর যুদ্ধ : স্পেনের মূল ভূ-খণ্ডে অবতরণ করে তারিক তার বাহিনী নিয়ে প্রথমে কর্টেজ দখল করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। মুসলমানরা যখন স্পেন আক্রমণ করে তখন রাজা রডারিক দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত। 

তারিকের আগমনের খবর পেয়ে রডারিক খুবই দ্রুততার সাথে রাজধানী টলেডোতে প্রত্যাবর্তন করেন। মুসলিম বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি ১,০০,০০০ সৈন্য সংগ্রহ করেন। মুসলিম বাহিনী মাত্র ১২,০০০ সৈন্য নিয়ে রডারিকের মোকাবিলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। 

উভয় সৈন্যদল ৭১১ খ্রিস্টাব্দে ওয়াদি লাক্কো বা বাক্কোর নিকটবর্তী সারিস বা জেরেযে এর নিকট ল্যাগ দা জান্দার উপকূলে মিলিত হয়। সাধারণভাবে এখানে সংঘটিত সংঘর্ষ গুয়াদিল বেকার বা হিট্টির যুদ্ধ নামে পরিচিত। তারিক মুসলিম বাহিনীর মধ্যে উৎসাহ আনার জন্য এক জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। 

তিনি বলেন, “প্রিয় সৈন্যগণ তোমাদের সামনে শত্রু, পেছনে সমুদ্র, পালানের কোনো পথ নেই, সাহস ও বীরত্বের সাথে যুদ্ধ না করলে বাঁচার কোনো পথ খোলা নেই। কোনোভাবে সাহস হারাবে না। 

মহান খলিফা আল ওয়ালিদ তোমাদের এ কাজ সমাধান করার জন্য নির্বাচিত করেছেন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখো, জয় আমাদের হবেই। সবার সামনে আমি থাকবো। আমি যদি মারা যাই, তাহলে তোমরা অভিযান চালিয়ে যাবে এবং জয় ছিনিয়ে আনবে।” উভয় পক্ষের মধ্যে সাত দিন ধরে তুমুল যুদ্ধ চলে। 

মুসলিম বাহিনীর প্রবল আক্রমণে রাজা রডারিক যুদ্ধে পরাজিত হয় এবং পালানোর সময়ে নদী পার হতে গিয়ে নিহত হন। তারিক বিজয় অব্যাহত রেখে পর্যায়ক্রমে এলভিরা, অর্কিডোনার পতন ঘটান ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ওয়াদি লাক্কোরের যুদ্ধে রডারিকের পরাজয় এবং আরবদের বিজয় স্পেনে এক নবযুগের সূচনা করে । 

ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি বলেন, “ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিম ফটক হিসেবে আইবেরীয় উপদ্বীপে মুসলিম অভিযান ছিল আরবদের সর্বশেষ, অত্যন্ত নাটকীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান। এটা মুসলমানদের আফ্রিকা ইউরোপে পরিচালিত অভিযানসমূহের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।”

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ওয়াদি লাক্কোর যুদ্ধ বা বাক্কোর যুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ