পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো ইমবাইবিশন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন

পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন
পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন

              C6H12O6 + 602 → 6. CO2 + 6H2O+ A

                               C6H12O6_এনজাইম_→ B+ A

ক. এনাটমি কী?

খ. “পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন”- ব্যাখ্যা করো ।

গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় সমীকরণ B- সৃষ্টির প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।

ঘ. উদ্দীপকের প্রথম ও দ্বিতীয় সমীকরণে A-উৎপাদনের পরিমাণগত ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের অভ্যন্তরীণ গঠন, বিভিন্ন তন্ত্রের অবস্থান ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়, সে শাখাই হলো এনাটমি ।

. কলয়েড জাতীয় শুকনা বা আধাশুকনা পদার্থ কর্তৃক তরল পদার্থ শোষণের বিশেষ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ইমবাইবিশন। 

কোষপ্রাচীর ও প্রোটোপ্লাজম কলয়েডধর্মী হওয়ায় ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়। এ ছাড়া অঙ্কুরোদগমের পূর্বে শুষ্ক বীজ ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়। তাই বলা যায়, পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো ইমবাইবিশন।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত দ্বিতীয় সমীকরণে B হলো ইথাইল অ্যালকোহল (C,H,OH)। নিচে ইথাইল অ্যালকোহল সৃষ্টির প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো— 

অবাত শ্বসনে গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণে ও পাইডিক এসিডের বিজারণে ইথাইল অ্যালকোহল সৃষ্টি হয়। কিছু নিম্নশ্রেণির জীব 

যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ইত্যাদিতে অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই অবাত শ্বসনের মাধ্যমে শ্বসনিক বস্তু কোনো মধ্যস্থ এনজাইম দ্বারা আংশিকরূপে জারিত হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল, CO, ও সামান্য পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় । 

অবাত শ্বসনের বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :

                          বিভিন্ন এনজাইম

      C6H12O6               →                   2C2H5 OH + 2CO2 + শক্তি 

     গ্লুকোজ                                           ইথাইল অ্যালকোহল

অবাত শ্বসন প্রক্রিয়াটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। যথা-

ধাপ-১: গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ: এই ধাপে এক অণু গ্লুকোজ থেকে দুই অণু পাইরুভিক এসিড, চার অণু ATP, দুই অণু NADH + H' উৎপন্ন হয়। ধাপ-২: পাইরুভিক এসিডের বিজারণ: সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইমের কার্যকারিতায় পাইরুভিক এসিড বিজারিত হয়ে CO2 এবং ইথাইল অ্যালকোহল উৎপন্ন করে।

. উদ্দীপকের প্রথম ও দ্বিতীয় সমীকরণে যথাক্রমে সবাত ও অবাত শ্বসন প্রক্রিয়াকে দেখানো হয়েছে এবং A দ্বারা ATP তথা শক্তিকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দুটিতে শক্তির পরিমাণের পার্থক্য রয়েছে। নিচে তার কারণ বিশ্লেষণ করা হলো-

সবাত শ্বসন প্রক্রিয়া চারটি ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। গ্লাইকোলাইসিস ধাপে ১ অণু গ্লুকোজ থেকে ২ অণু পাইরুভিক এসিড তৈরি হয়। এসময় ১০ অণু ATP তৈরি হয়। যার ২ অণু খরচ হয়ে যায়। অ্যাসিটাইল Co-A ধাপে প্রতি অণু পাইরুভিক এসিড পর্যায়ক্রমে ১ | অণু অ্যাসিটাইল Co-A, ১ অণু CO2 ও ১ অণু NADH, উৎপন্ন করে। 

এসময় ৩ অণু ATP তৈরি হয় (২ অণু পাইরুভিক এসিড থেকে ৬ অণু ATP)। ক্রেবস চক্রে এক অণু অ্যাসিটাইল Co-A থেকে ৩ অণু NADH2, ১ অণু FADH, ও ১ অণু GTP উৎপন্ন হয়। এসময় ১২ অণু ATP তৈরি হয় (২ অণু পাইরুভিক এসিড থেকে ২৪ অণু)। 

উক্ত ধাপ সমূহে উৎপন্ন NADH + H", FADH, ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্রে জারিত হয়ে ATP, পানি, ইলেকট্রন ও প্রোটন উৎপন্ন হয়। এভাবে শ্বসন প্রক্রিয়ায় ১ অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে 38 টি ATP উৎপন্ন করে।

অন্যদিকে, অবাত শ্বসনে গ্লাইকোলাইসিসে উৎপন্ন বিজারিত NAD জারিত হয়ে ইলেকট্রন, প্রোটন ও শক্তি নির্গত করে। এগুলো ব্যবহৃত হয় পাইরুভিক এসিড থেকে ল্যাকটিক এসিড বা ক্ষেত্র বিশেষে ইথানল উৎপাদনের জন্য। 

আবার, অক্সিজেনের অভাবে তখন অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশনও চলেনা। তাই অবাত শ্বসনে এক অণু গ্লুকোজ থেকে নিট মাত্র 2 অণু ATP পাওয়া যায়।

উপরিউক্ত ATP এর হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, উদ্দীপকের সমীকরণ দুটিতে ATP উপাদানের পরিমানগত ভিন্নতা রয়েছে এবং অবাত শ্বসন থেকে সবাত শ্বসনে অধিক পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পানি শোষণের অন্যতম প্রক্রিয়া হলো: ইমবাইবিশন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ