ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন

ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন
ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন

জীবকোষে অবস্থিত একটি অঙ্গাণু দেহ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উক্ত অঙ্গাণুতে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপ ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। উক্ত প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সংঘটিত না হলে জীবকূল ধ্বংসের সম্মুখীন হতো।

ক. শ্বসনিক বস্তু কী?

খ. ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গাণুটিতে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধাপগুলো বর্ণনা করো। 

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সংঘটিত না হলে জীবকুল ধ্বংসের সম্মুখীন হতো।"- উন্নিটি বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. যে সকল বস্তু শ্বসন প্রক্রিয়ায় জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে তাই জীবের শ্বসনিক বস্তু।

. সবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণ জারিত হয়ে CO2, H2O এবং শক্তি উৎপন্ন করে। তবে ব্যাকটেরিয়া সাধারণত অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে থাকে। 

তাছাড়া কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাঁচতে পারে না। তাই ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না। এরা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে অবাত শ্বসন সম্পন্ন করে।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঙ্গাণুটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। মাইটোকন্ড্রিয়াতে শ্বসনের ক্রেবস চক্র ও ইলেকট্রন প্রবাহতত্ত্ব সংঘটিত হয়। নিচে ধাপদ্বয় বর্ণনা করা হলো -

ক্রেবস চক্র: ক্রেবস চক্রে ২ কার্বন বিশিষ্ট অ্যাসিটাইল কো-এ জারিত হয়ে দুই অণু CO2 উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড ছাড়াও এ চক্রে এক অণু অ্যাসিটাইল কো-এ থেকে তিন অণু NADH+H', এক অণু FADH, এবং এক অণু GTP উৎপন্ন হয়। 

ক্রেবস চক্রে মোট দুই অণু অ্যাসিটাইল কো-এ থেকে মোট চার অণু CO2, ৬ অণু NADH+H, দুই অণু FADH, এবং দুই অণু GTP উৎপন্ন হয়।

ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্র: এ ধাপে পূর্ব ধাপসমূহে উৎপন্ন NADH+H", FADH2 জারিত হয়ে ATP, পানি, ইলেকট্রন ও প্রোটন উৎপন্ন হয়। উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন প্রবাহতন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় শক্তি নির্গত হয়। সেই শক্তি ATP তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

. উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো জীবের শ্বসন প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সংঘটিত না হলে জীবকুল ধ্বংসের সম্মুখীন হতো। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি দিয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সব ধরনের ক্রিয়া- বিক্রিয়া ও কাজকর্ম পরিচালিত হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে ২৪ ঘন্টাই এ প্রক্রিয়া চলে। শ্বসনে নির্গত CO2, জীবের প্রধান খাদ্য শর্করা উৎপন্নের জন্য উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। 

এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদে খনিজ লবণ পরিশোষণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া চালু রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও কিছু আনুষঙ্গিক পদার্থ শ্বসন প্রক্রিয়া থেকে আসে। তাই এ প্রক্রিয়া জীবের দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে। 

এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপক্ষার ও জৈব এসিড সৃষ্টিতে সহায়তা করার মাধ্যমে জীবনের অন্যান্য জৈবিক কাজেও সহায়তা করে। শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন CO2, সালোকসংশ্লেষণে অংশ নিয়ে খাদ্য তৈরির পাশাপাশি O2 উৎপন্ন করে। এই O2 প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও প্রক্রিয়াটি পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে, যা সকল জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

কাজেই শ্বসন প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হলে উপরোক্ত সকল কার্যক্রম ব্যাহত হবে। জীবকূলে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে, জীবজগতের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। অর্থাৎ বলা যায়, শ্বসন প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সংঘটিত না হলে জীবকুল ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্যাকটেরিয়াতে সবাত শ্বসন হয় না কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ